১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৯ ভাদ্র ১৪৩১, ৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

বন্যার্ত মানুষের পাশে সর্বশক্তি নিয়ে দাঁড়াতে হবে : আ ন ম শামসুল ইসলাম

আ ন ম শামসুল ইসলামসহ নেতারা - ছবি : নয়া দিগন্ত

বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাবেক এমপি আ ন ম শামসুল ইসলাম বলেছেন, আকস্মিক বন্যায় এখনো বহু মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছে। এখনো তাদের উদ্ধার করে আশ্রয়কেন্দ্রে আনা যায়নি। এমতাবস্থায় দেশবাসীকে সর্বশক্তি নিয়ে বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।

তিনি আজ রাজধানীর শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে ফেডারেশনের ষাণ্মাসিক সেক্টর দায়িত্বশীল সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে আরো উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান, গোলাম রব্বানী, লস্কর মো: তসলিম ও কবির আহমাদ প্রমুখ।

আ ন ম শামসুল ইসলাম বলেন, বিপদ-আপদ আল্লাহর পক্ষ থেকে আসে। বিপদের সময় আমাদের নামাজ ও ধৈর্যের মাধ্যমে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করতে হবে। একইসাথে মুমিনের দায়িত্ব হচ্ছে বিপদগ্রস্ত ভাইবোনদের উদ্ধারে সর্বোচ্চ আত্মনিয়োগ করা। শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের নেতাকর্মীরা অতীতে যেভাবে দুর্যোগ মোকাবিলা করেছে। এবারো তাদের সে ভূমিকা পালন করতে হবে। আজকে যারা বিপদগ্রস্ত তারা আমাদের ভাইবোন। সুতরাং নিজ ভাইবোনদের উদ্ধারে যা যা করা প্রয়োজন তার সবটাই করতে হবে। আমাদেরকে কাঁধে কাঁধ লাগিয়ে এই জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, বন্যাদুর্গত এলাকায় বহু সমস্যা প্রকট ধারণ করে। তার মধ্যে শুকনা খাবার, পানীয়, জামা-কাপড় ও ওষুধের সঙ্কট মারাত্মকভাবে দেখা দেয়। আমাদের প্রতিটি টিমকে পর্যাপ্ত পরিমাণ শুকনা খাবার-ওষুধপত্রসহ যাবতীয় সরঞ্জাম নিয়ে দুর্গত এলাকায় যেতে হবে। অসহায় মানুষদের আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসার জন্য স্পিটবোট ও বড়ো ট্রলারের ব্যবস্থা করতে হবে।

তিনি বলেন, গত আওয়ামী সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে প্রতিবেশী দেশ আন্তর্জাতিক নিয়ম-নীতি তোয়াক্কা না করে অসম পানি চুক্তি আমাদের ওপর চাপিয়ে দিয়েছিল। আমাদের যখন পানির প্রয়োজন তখন তারা পানি আটকে এদেশকে মরুভূমি বানানোর চক্রান্ত করেছে। অপরদিকে যখন পানি প্রয়োজন নেই তখন পানির ঢল ছেড়ে দিচ্ছে। তাদের চক্রান্তে আমাদের জলাভূমিগুলো ভরাট হয়ে গেছে। আজকে পানি ধারণ করার অবস্থা নেই। ফলে আজকের এই বন্যার পেছনে একমাত্র ভারতের আগ্রাসী মনোভাব দায়ী। আমরা বর্তমান সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি, ভারতের সাথে সম্পাদিত পানি চুক্তিগুলো পরীক্ষণ নিরীক্ষণ করতে। এসব দেশবিরোধী চুক্তি থেকে সরে আসার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নিতে। আমরা কোনো দেশের সাথে অন্যায় করতে চাই না। কিন্তু ভাটির দেশ ও আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে প্রাপ্য অধিকার ফিরে পেতে চাই।

শামসুল ইসলাম বলেন, বিগত সরকারের সময় শ্রমিকদের ওপর ব্যাপক নির্যাতনের স্টিম রোলার চালানো হয়েছে। বিশেষ করে সরকারি পাটকল, বস্ত্রকল ও চিনি কল বন্ধ করে দিয়ে শ্রমিকদের রুটি রুজি ওপর আঘাত হেনেছে। গার্মেন্টসসহ অন্যান্য সেক্টরের অবস্থা নাজুক। প্রতিনিয়ত রুটি রুজির জন্য শ্রমিকদের লড়াই করতে হচ্ছে। শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের জন্য প্রতিটি সেক্টরের শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। বন্ধকৃত কলকারখানা চালু ও সকল শ্রমিকদের ন্যূনতম জাতীয় মজুরির জন্য রাজপথে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
কক্সবাজারে পাহাড়ধসে একই পরিবারের ৩ জনের মৃত্যু বাড়ছে রেমিট্যান্স প্রবাহ, এলো ৭ হাজার কোটি টাকা যেভাবে কাজ করবে রাষ্ট্র সংস্কারে ৬ কমিশন ব্যর্থতার দায় নিয়ে ইসরাইলি কমান্ডারের পদত্যাগ ইউক্রেনকে রাশিয়ার আরো গভীরে হামলার অনুমতি দেবে যুক্তরাষ্ট্র! পদত্যাগ করতে রাজি : অপেক্ষার পর বললেন মমতা মধু ব্যবসায় ভাগ্য খুলেছে মুফতি হাবিবুল্লাহ জোয়ারদারের সাপের বিষের বিবর্তন ঘটছে, ভয় ধরাচ্ছে বিজ্ঞানীদের সমীক্ষা বঞ্চিত সেই ক্যাডাররা ফের বঞ্চনার শিকার : প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা ভারতে এবার ৭ বছরের মুসলিম ছাত্রের টিফিন নিয়ে বিতর্ক বঙ্গোপসাগর হয়ে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকছে রোহিঙ্গারা

সকল