দেশের জনগণ জামায়াতকে মুক্তির কাণ্ডারী হিসেবে পেতে চায় : রফিকুল ইসলাম খান
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৮ জুন ২০২৪, ২০:২৭
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, আমাদের প্রত্যয় একটাই আল্লাহর পথে মোরা চলব, নিকষ কালিমা ভরা আকাশে ধ্রুব জ্যোতি তারার মতো জ্বলব। বাংলাদেশের মানুষ আজ দিকভ্রান্ত তারার মতো মুক্তির পথ খুঁজছে। দেশের জনগণ জামায়াতে ইসলামীকে মুক্তির কাণ্ডারী হিসেবে পেতে চায়।
শুক্রবার (২৮ জুন) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঝিনাইদহ জেলা জামায়াত আয়োজিত জেলা আমির অধ্যাপক আলী আজম মো: আবুবকরের সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রটারি অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল আউয়ালের সঞ্চালনায় উপজেলা শূরা সদস্য সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দকে দেশ পরিচালনায়ও নেতৃত্ব দিতে হবে। এ জন্য জামায়াতের সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দকে যুগের চাহিদানুযায়ী দক্ষতা ও যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। সুখে-দুঃখে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। পাড়া-মহল্লায় স্কুল-কলেজ, মসজিদ, মাদরাসা, এতিমখানা, সমিতি, সংঘ, ক্লাব গড়ে তুলতে হবে এবং সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে হবে। শালিস-দরবারে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে হবে। বঞ্চিত, পথহারা ও এতিম শিশুদের অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করতে হবে। সর্বোপরি বেশি বেশি সামাজিক কাজের মাধ্যমে মানুষের আস্থা ও ভালোবাসা অর্জন করতে হবে। দেশ ও সমাজে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য গণমুখী চরিত্রের কোনো বিকল্প নেই।’
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চল পরিচালক জনাব মোবারক হোসাইন। আরও উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব আব্দুল আলীম, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ আব্দুল হাই, জেলা নায়েবে আমীর অধ্যাপক মতিয়ার রহমানসহ ঝিনাইদহ জেলার প্রত্যেকটি উপজেলা মজলিসে শূরা সদস্যবৃন্দ।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে ‘ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ বাংলাদেশ সীমান্তে প্রায়ই বিনা কারণে হত্যাকাণ্ড ঘটায়। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে হত্যাকাণ্ড শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসার জন্য ভারত বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও হত্যাকাণ্ড ক্রমাগতভাবেই বাড়ছে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বাংলাদেশীদের অন্যায় হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়া খুবই উদ্বেগজনক। আওয়ামী লীগ সরকারের নতজানু ও দুর্বল পররাষ্ট্র নীতির কারণেই ভারত বারবার বাংলাদেশ সীমান্তে হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে। এই হত্যাকাণ্ডের জন্য আওয়ামী লীগের ভারততোষণ নীতিই দায়ী। দেশবাসী মনে করে আওয়ামী লীগ ভারতের কাছে মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। তাই আওয়ামী লীগ সরকার ভারতের কোনো অন্যায় কাজের প্রতিবাদ করার সৎ সাহস পায় না। বাংলাদেশের জনগণ সব সময়ই প্রতিবেশীদের কাছে বন্ধু সুলভ আচরণ কামনা করে। আমরা আশা করব ভারত সরকার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অনাকাঙ্ক্ষিত হত্যাকাণ্ড বন্ধ করবে এবং প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে দোষীদের আইনানুগ শাস্তির ব্যবস্থা করবে।’
বিশেষ অতিথি জনাব মোবারক হোসাইন বলেন, ‘ইব্রাহীম ও ইসমাইল আ. আল্লাহর সামনে অবনত চিত্তে আনুগত্যের শীর নত করেছিলেন। জামায়াতের দায়িত্বশীলদেরকেও এ শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হতে হবে। জাতির সামনে আগামীর আন্দোলন-সংগ্রাম একটি বড় চ্যালেঞ্জ। দক্ষতা ও হিক্বমার সাথে জামায়াতের দায়িত্বশীলদেরকে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে। এ লক্ষ্যে জামায়াতের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের এখন থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।’
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা