জামায়াতের দায়িত্বশীলদের দেশ পরিচালনার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে : মিয়া গোলাম পরওয়ার
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২০ জুন ২০২৪, ২০:৪৮
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘নবী-রাসূলগণ যুগে যুগে পথহারা মানুষকে হেদায়েতের আলো পৌঁছে দিয়েছিলেন। আম্বিয়ায়ে কেরামগণ দ্বীন কায়েমকে জীবনোদ্দেশ্য বানিয়েছিলেন। আমরাও একই উদ্দেশ্যে নিজেদের জান ও মাল কুরবানি করার শপথ নিয়েছি। এই শপথের আলোকে আমাদের জীবন গঠন করতে হবে এবং দায়িত্ব পালন করতে হবে। আমাদের দেশ পরিচালনার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। রাসূল সা: আমাদের জ্ঞান ও হিকমত শিক্ষা দিয়েছেন। এই হিকমাতের আলোকে আমাদের প্রতিটি কাজ আঞ্জাম দিতে হবে।’
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) নড়াইল জেলা জামায়াত আয়োজিত জেলা আমির আতাউর রহমান বাচ্চুর সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারি মাওলানা ওবায়দুল্লাহ কায়সারের সঞ্চালনায় উপজেলা কর্মপরিষদ সদস্য সম্মেলন ও ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এসব কথা বলেন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চল পরিচালক মোবারক হোসাইন, খুলনা মহানগরী আমির অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, অঞ্চল টিম সদস্য মাওলানা মির্জা আশেক এলাহী। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন মাগুরা জেলা আমির অধ্যাপক এম বি বাকের, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য শামছুর রহমান, জেলা সহকারী সেক্রেটারি আবুল বাশার, অধ্যাপক আবদুস সামাদ ও আইয়ুব হোসেন খান, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য হাফেজ মাওলানা মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, ‘আমাদের সুন্দর চরিত্রের অধিকারী হতে হবে। কথা ও কাজে মিল থাকতে হবে। দায়িত্বশীলের ব্যবহার হতে হবে প্রীতি ও ঔদার্যপূর্ণ। মেজাজের ভারসাম্য ঠিক রাখতে হবে। শত্রুকেও কাছে টানার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। অশ্লীল কথা পরিহার করতে হবে। আমাদেরকে বিদ্রুপ ও গীবত পরিহার করতে হবে। রিয়া ও অহংকার পরিহার করতে হবে। আমাদেরকে উত্তম দায়ী হতে হবে। পরিবেশ পরিস্থিতি বুঝে মানুষকে দ্বীন বুঝাতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘সংগঠন পরিচালনার জন্য আমাদের যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। কর্মবন্টন সঠিকভাবে করে নিয়মিত যোগাযোগ করতে হবে। গণভিত্তি রচনায় আমাদের ভূমিকা পালন করতে হবে। সামাজিক প্রতিষ্ঠান তৈরি করতে হবে। সামাজিক অনুষ্ঠানে শামিল হতে হবে। যুব সমাজের কর্মসংস্থান তৈরির ব্যবস্থা করতে হবে। এতিমের পাশে দাঁড়াতে হবে। সমাজ উন্নয়নে ভূমিকা পালন করতে হবে। আল্লাহর সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে হবে। আল্লাহর সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধির জন্য একাগ্র চিত্তে ফরজ আদায়ের পাশাপাশি তাহাজ্জুদের নামাজও আদায় করতে হবে। রাসূল সা: ও তার সাহবীদের অনুসারী হতে হবে। আইয়ামে বিয এবং প্রত্যেক সোম ও বৃহস্পতিবার নফল রোযা রাখার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। সার্বক্ষণিক দোয়া ও যিকির করতে হবে। ইসলামী পরিবার গঠনে যত্নশীল হতে হবে। পরিবার ও সন্তানদের যৌক্তিক সময় দিতে হবে। প্রতিটি পরিবারকে ইসলামী আন্দোলনের দুর্গে পরিণত করতে হবে।’
বিশেষ অতিথি মোবারক হোসাইন বলেন, ‘হাদিসে এসেছে ‘কুরবানির দিনের আমলসমূহের মধ্য থেকে পশু কুরবানি করার চেয়ে কোনো আমল আল্লাহ তাআলার নিকট অধিক প্রিয় নয়। কিয়ামতের দিন এই কুরবানিকে তার শিং, পশম ও ক্ষুরসহ উপস্থিত করা হবে। আর কুরবানির রক্ত জমিনে পড়ার পূর্বেই আল্লাহ তাআলার নিকট কবুল হয়ে যায়। সুতরাং তোমরা সন্তুষ্টচিত্তে কুরবানি কর।’ কুরবানির ত্যাগ-উৎসর্গ আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের একটি অন্যতম মাধ্যম। পরিবার-পরিজন ও আত্মীয়স্বজনের জন্য আমরা আমাদের প্রিয় জিনিস উৎসর্গ করি। মহান আল্লাহ আমাদের সবচেয়ে প্রিয়। তাই কুরবানির মাধ্যমে আমার তাঁর জন্য আমাদের প্রিয় জিনিস উৎসর্গ করি। ইবাদতের মূলকথা হল আল্লাহ তাআলার আনুগত্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি অর্জন। তাই যেকোনো ইবাদতের পূর্ণতার জন্য দুটি বিষয় জরুরি। ইখলাস তথা একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে পালন করা এবং শরীয়তের নির্দেশনা মোতাবেক তা সম্পাদন করা।’
প্রেস বিজ্ঞপ্তি