১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১ পৌষ ১৪৩০, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

দেশবাসীকে সমস্ত ভয়-ভীতি কুরবানি দেয়ার আহ্বান মির্জা আব্বাসের

- ছবি - নয়া দিগন্ত

দেশবাসীর কাছে এই কুরবানির দিনে সমস্ত ভয়-ভীতি কুরবানি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

আজ সোমবার ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে শেরে- ই বাংলা নগরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বিএনপির পক্ষ থেকে দেশবাসীকে ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, আমাদের বহু নেতা-কর্মী জেলে অবস্থান করছেন। বহু নেতা-কর্মীর ঈদ জেলে কাটে, কারো কারো ফুটপাতে কাটে।

‘যারা ঘরে থাকতে পারেন না। সেই সকল নেতাকর্মীদের প্রতি সহনানুভূতি জ্ঞাপন ছাড়া আমাদের আর কোনো রাস্তা নেই।’

ঈদ মানে খুশি, এই খুশির মন-মানসিকতা আজ বাংলাদেশের জনগণের মাঝে নেই জানিয়ে স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, সকলের বেদনাকৃষ্ট মুখ, বেদনাভুত চেহারা। আজ সারাদেশের মানুষ অক্টোপাসের মত বন্দি অবস্থায় আছে। আমরা কোনোদিক দিয়ে ভালো অবস্থানে নেই। শান্তিতে আমরা নাই।

‘সেন্টমার্টিন একটি দ্বীপ, যেটি আমাদের অভ্যন্তরীণ কিন্তু সেটি আজ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, সেখানে খাদ্য সামগ্রী পাঠানো যাচ্ছে না। কার ভয়ে? মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ভয়ে। অথচ এই মিয়ানমার সেনাবাহিনী ১৯৭৮ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রনায়ক শহীদ রাষ্ট্রপতির কাছে নত হয়ে মাফ চেয়ে বিদায় নিয়েছিল। সেই মিয়ানমারের আজ কতটুকু ঔদ্ধত্য হয়েছে, তারা আমাদের রক্ত চক্ষু দেখায়। কারণ এই দেশে এখন একটি অবৈধ সরকার, অনৈতিক সরকার। দেশ ও দেশের বাইরে তাদের কোনো সমর্থন নেই। এই কারণেই মিয়ানমার একটা সুযোগ নিচ্ছে।’

বহু দেশ বাংলাদেশের ওপরে আজ খবরদারি করছে- এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, দেশের প্রভুত্ব অন্য দেশের হাতে বিকিয়ে দিয়ে এই সরকার নিজে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। এ দেশের জনগণের যত কষ্ট এই অবৈধ সরকারের জন্যই। যদি ভোটে নির্বাচিত সরকার হতো, তাহলে দেশে জনগণের কোনো কষ্ট থাকত না। এটা প্রমাণিত।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ। নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন। তার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করেন তিনি ।

এদেশের মানুষ আজ কথা বলতে পারে না, কথা বলার অধিকার নেই, না খেয়ে মরে যাবে, তবুও কথা বলতে পারবে না। এ থেকে উত্তরণের জন্য দেশবাসীর কাছে এই কুরবানির দিনে সমস্ত ভয়-ভীতিকে কুরবানি দিয়ে এই সরকারকে অবশ্যই মোকাবেলার মতো তৌফিক আল্লাহ তায়ালা দিন- এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন মির্জা আব্বাস।

পুষ্পস্তবক অর্পণের সময় উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুক, আব্দুস সালাম আজাদ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুন নবী খান সোহেল, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা: রফিকুল ইসলাম, সহ অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, ক্রীড়া সম্পাদক আমিনুল হক, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সহ সভাপতি তৌহিদুর রহমান আউয়াল, চেয়ারপারসনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার, মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান প্রমুখ।


আরো সংবাদ



premium cement