সরকারকে পরাজিত করতে না পারলে মুক্তি পাবো না : দুদু
- অনলাইন প্রতিবেদক
- ০৪ জুন ২০২৪, ১৩:৪৩
গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সরকারকে পরাজিত করতে না পারলে হামলা মামলার জীবন থেকে আমরা মুক্তি পাবো না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
তিনি বলেন, ‘এই সরকারের বিরুদ্ধে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে রাস্তায় নেমে আসতে হবে। সাফল্য ব্যর্থতা যাই থাকুক না কেন, আমরা যতক্ষণ পর্যন্ত গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এই সরকারকে পরাজিত করতে না পারব, ততদিন পর্যন্ত আমাদের এই কষ্টকর জীবন, কারাগারের জীবন, হামলা মামলার জীবন, এটা থেকে মুক্তি পাবো না। সেই জন্য আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে এই সরকারকে গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে পরাজিত করি।
মঙ্গলবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় জিয়া শিশু কিশোর মেলা ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে বিএনপির প্রতিষ্ঠিতা জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘বাংলাদেশ সেইদিনই স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করবে যেদিন এদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে। মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে যে গণতন্ত্র স্বাধীনতা এবং মানুষের অধিকার আমরা অর্জন করেছিলাম সেটা পুন:প্রতিষ্ঠা করতে পারবে। এই ৫২-৫৩ বছরের পরে আমরা দুর্নীতিবাজদের সে দেশে থাকুক আর বিদেশে পালিয়ে যাক তাদের বিচারের আওতায় এনে যথাযথভাবে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে পারলে, আমরা মনে করব জাতির জন্য কিছু করতে পেরেছি দেশের জন্য কিছু করতে পেরেছি মানুষের জন্য কিছু করতে পেরেছি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এটা কি ভাবা যায়? ১০-১২ টি ব্যাংক একেবারে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে লুটপাট করে ফেলা হয়েছে, এটা ভাবা যায় না। আপনি ভারতে যান, পাকিস্তানে যান, শ্রীলঙ্কায় যান, সেসব দেশেও এত লুটপাট করা হয় না। আমি অন্য কোনো দেশের দৃষ্টান্ত দিচ্ছি না, এই দেশকে একটা লুটপাটের স্বর্গরাজ্যের দেশে রূপান্তরিত করেছে বর্তমান সরকার।
দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের স্মৃতিচারণ করে তিনি আরো বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের আদরের দুলাল ছিলেন। এত ভালবাসা, এত সম্মান, এত শ্রদ্ধা শহীদ জিয়াউর রহমানের আগে অন্য কোনো নেতা পেয়েছে কি না আমার জানা নেই। আমি এই কথা বলছি, এই কারণে তার মৃত্যুর পর যে জানাজা ঢাকা শহরে আমরা দেখেছি শুধু দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় নয়, সারাবিশ্বে এই ধরনের জানাজা আমরা খুবই কম দেখেছি।
দুদু বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার প্রশ্নে গণতন্ত্রের প্রশ্নে, বহুদলীয় রাজনীতির প্রশ্নে, কৃষকদের প্রতিষ্ঠার প্রশ্নে, তাদের পাশে দাঁড়ানোর প্রশ্নে, মজলুম মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রশ্নে, তিনি মহানায়ক ছিলেন। জিয়াউর রহমান দেশকে সারাবিশ্বের কাছে একটি সম্মান জনক জায়গায় নিয়ে গিয়েছিলেন।