‘জিয়া যে চেতনার অগ্নিশিখা প্রজ্বলিত করেছেন তা আজও অম্লান’
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ৩০ মে ২০২৪, ১৬:৫৩
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহদাত বার্ষিকী উপলক্ষে তার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, মাজার জিয়ারত ও মোনাজাত করেন পেশাজীবীরা।
আজ বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সকালে শেরে বাংলা নগরস্থ শহীদ জিয়ার কবরে যান তারা। সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়েরর শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী,সাংবাদিক, আইনজীবী, কৃষিবিদ, সাংস্কৃতিক কর্মীরা এখানে সমবেত হন। এরপর সকাল সাড়ে ১০টায় বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক প্রফেসর ডা: এজেডএম জাহিদ হোসেন ও সদস্য সচিব সাংবাদিক কাদের গনি চৌধুরীর নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পেশাজীবী কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ডা: ফরহাদ হালিম ডোনার, প্রফেসর ডা: আবদুল কুদ্দুস, প্রফেসর ডা: সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, প্রফেসর ডা: হারুন আল রশিদ, প্রফেসর ড. লুৎফর রহমান, কৃষিবিদ রাশিদুল হাসান হারুন, এডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার,ইঞ্জিনিয়ার রিয়াজুল ইসলাম রিজু, ইঞ্জিনিয়ার আলমগীর হাসিন আহমেদ, প্রফেসর ড. শামসুল আলম সেলিম, প্রফেসর ড. নুরুল ইসলাম, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম,ডা: মেহেদী, ডা: শাকিল ,ডা: রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, ডা: পারভেজ রেজা কাকন, ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুল আলম, ইঞ্জিনিয়ার আসাদুজ্জামান চুন্নু, কৃষিবিদ প্রফেসর ড. এস এম আমিনুজ্জামান, কৃষিবিদ প্রফেসর ড. রাশেদুল ইসলাম, প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান, প্রফেসর ড.নুর মহল আক্তার বানু, প্রফেসর ড. নাজমুন নাহার তনু, প্রফেসর ড. সারোয়ার হোসেন, ড. রুহুল আমিন ,ইঞ্জিনিয়ার জহির, ইঞ্জিনিয়ার সাখাওয়াত হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মোসলেম উদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ হানিফ, ইঞ্জিনিয়ার ফখরুল আলম, বিপ্লবুজ্জামান বিপ্লব।
পরে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন, জিয়া পরিষদ, ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সাদা দল, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সাদা দল, এসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ, এগ্রিকালচারিস্ট এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, জাতীয়তাবাদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স এসোসিয়েশ্ন অব বাংলাদেশ, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কর্মময় জীবন তুলে ধরে ডা: এজেডএম জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, স্বাধীনতার অন্যতম মূলস্তম্ভ বহুদলীয় গণতন্ত্র জাতিকে উপহার দিয়ে জিয়া মুক্ত গণতান্ত্রিক চর্চার পথকে সুগম করেছিলেন। শাসক হিসেবে জিয়াউর রহমান এ কারণেই সবার থেকে আলাদা ছিলেন। তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে জিয়াউর রহমান দেশকে স্বনির্ভরতার পথে তুলে দিয়েছিলেন।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় জীবনে জিয়াউর রহমানের আবির্ভাব এক ক্রান্তিকালে। ১৯৭১ সালে তার কণ্ঠে স্বাধীনতার ঘোষণা সেই সময় সারাদেশে মানুষের মনে সাহস ও উদ্দীপনা যুগিয়েছিল। তিনি জাতীয় সকল সঙ্কটে দেশ ও জনগণের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য তাকে বীর উত্তম খেতাব দেয়া হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধের ময়দানে বীরোচিত ভূমিকা এবং একটি নতুন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণে তার অনবদ্য অবদানের কথা জাতি কোনো দিন ভুলবে না।
ডা: জাহিদ বলেন, এই মহান উদার গণতন্ত্রী শহীদ জিয়ার জনপ্রিয়তা দেশী-বিদেশী চক্রান্তকারীরা কখনোই মেনে নিতে পারেনি। এই চক্রান্তকারীরা ১৯৮১ সালের ৩০ মে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে হত্যা করে। এই মর্মান্তিক ঘটনার মধ্য দিয়ে দেশবাসী একজন মহান দেশপ্রেমিক জাতীয়তাবাদীকে হারায়। তবে চক্রান্তকারীরা যতই চেষ্টা করুক কোনো ক্ষণজন্মা রাষ্ট্রনায়ককে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিলেই তিনি বিস্মৃত হননি, বরং জনগণের হৃদয়ে চিরজাগরুক হয়ে অবস্থান করছেন তিনি।
জিয়াউর রহমান জীবনের সবচেয়ে বড় তিনটি দিক তুলে ধরে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেন, একটা হচ্ছে যে, জিয়াউর রহমান জাতির সবচেয়ে দুঃসময়ে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে জাতিকে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে অনুপ্রাণিত করেছিলেন। শুধু ঘোষণাই নয়, জীবনবাজী রেখে অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছেন এবং যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন। দ্বিতীয়টি হচ্ছে যে, তিনি ১৯৭৫ সালে যখন জাতি প্রায় দিশেহারা- কোন দিকে যাবে বুঝতে পারছে না তখন আবার তিনি ওই সিপাহী-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে জনগণের সামনে এসে দাঁড়িয়ে ফেইস করে, চ্যালেঞ্জ করে মুখোমুখি দাঁড়িয়েছিলেন এবং স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করেছিলেন। তার আরেক অনন্য কীর্তি হচ্ছে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ সৃষ্টি। এটি ছিল একটি বিশাল কর্ম। কারণ জাতীয়তাবাদী দর্শন একটি জাতিও দেশের রক্ষাকবচ। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পর জাতীয়তাবাদী চিন্তার প্রতিফলনের যে প্রয়োজন দেখা দিয়েছিল, তার তাগিদ অনুভব করতে পেরেছিলেন জিয়াউর রহমান। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের ধারায় ও সময়ের প্রয়োজনে সৈনিক জিয়া রূপান্তরিত হন রাষ্ট্রনায়কে। জিয়া যে চেতনার অগ্নিশিখা প্রজ্বলিত করেছিলেন তা আজও অম্লান।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা