১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

সরকারের কাছের লোকেরাই সিন্ডিকেট করে জনগণের পকেট কাটছে : নজরুল ইসলাম

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান - নয়া দিগন্ত

সরকারের কাছের লোকেরাই সিন্ডিকেট করে জনগণের পকেট কাটছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা জেলা বিএনপির উদ্যোগে ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাকসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

বক্তব্যের শুরুতেই জলোচ্ছ্বাসে দেশের মানুষের যাতে ক্ষতি না হয় এই কামনা করেন নজরুল ইসলাম খান।

জনজীবন একেবারে বিষন্ন হয়েছে এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধি এই জনদুর্ভোগ থেকে জনগণকে বাঁচানো সরকারের কাজ না। সরকারের কাছের লোকেরাই সিন্ডিকেট করে জনগণের পকেট কাটছে এতে সরকারের কোনো সমস্যা নেই। জনগণ অসন্তুষ্ট হলেও সরকারের কিছু যায়-আসে না। কারণ জনগণের ভোটের প্রয়োজন নেই সরকারের।

বাংলাদেশের ঋণ হয়েছে ১০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি এমন মন্তব্য করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, কার উপরে এই ঋণ? উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমার আপনার উপরে এই ঋণ। কিন্তু আমি আপনি এটি ভোগ করতে পারি নাই। এটা হাতেগোনা কিছু লোক ভোগ করেছে। ভোগ করে তারা দেশে কোটিপতি হয়েছে এবং বিদেশেও কোটিপতি হয়েছে। এটা ঠেকানোর জন্য সরকারের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজ না। সরকারের একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো তারেককে দেশে ফিরিয়ে এনে তাকে শাস্তির মুখোমুখি করা। কেন? কারণ শহীদ জিয়াকে মারা হয়ে গেছে। বেগম খালেদা জিয়াকে সুচিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। আরাফাত রহমান কোকো প্রাক্টিক্যালি বিনা চিকিৎসায় বিদেশে প্রাণ ত্যাগ করেছেন। এখন আছেই শুধু তারেক রহমান। জিয়া পরিবারকে এতই অপছন্দ তাদের, এখন তারেক রহমানকে নিয়ে এসে সাজা দিতে হবে শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে। কী অপরাধ? অনেক অপরাধ করেছেন সে জন্য তার সাজা হয়েছে।

তিনি বলেন, মামলায় বিচারক তারেক রহমানকে খালাস দিয়েছিলেন। কিন্তু ওই বিচারক আর দেশে থাকতে পারেননি। এস কে সিনহার মতো তাকে দেশত্যাগ করতে হয়েছে। উচ্চ আদালতে নিয়ে তাকে সাজা দেয়া হয়েছে। আরেক মামলায় প্রথম তিনটা চার্জশিটের কোনোটাতেই তারেক রহমানের নাম ছিল না।

সরকার প্রতি আক্ষেপ করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, জনগণ বসে নেই।

বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, আমি অবাক হই, আওয়ামী লীগ কিভাবে ভুলে যায় তাদের নিজেদের ইতিহাস! ৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থানের সময় পাকিস্তান সরকার আওয়ামী লীগের সকল পর্যায়ের নেতাদেরকে আটক করেছিলেন কিন্তু গণঅভ্যুত্থান আটকাতে পারেনি।


আরো সংবাদ



premium cement