গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার নীলনকশা থামছে না : রিজভী
- অনলাইন প্রতিবেদক
- ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৩৮
গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে আওয়ামী সরকারের নীল নকশা থামছে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, তার অংশ হিসেবেই সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে এক প্রতিবাদ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে মিথ্যা মামলায় জামিন বাতিল করে কারাগারে প্রেরণের প্রতিবাদে যুবদলের উদ্যোগে তাৎক্ষণিক এই বিক্ষোভ মিছিল হয়। যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্নার নেতৃত্বে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ বিক্ষোভ মিছিল এবং সমাবেশ হয়।
রিজভী বলেন, ‘আজকে দেশে কর্মসংস্থান নেই। চারদিকে শুধু হাহাকার আর আহাজারি। তার ওপর ভয়ঙ্কর অগ্নিবর্ণরূপ বাংলাদেশের প্রকৃতি। এরমধ্যেও গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে আওয়ামী লীগ সরকারের নীল নকশা থামছে না। সেজন্যই যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে কারাগারে পাঠানো হলো। এরআগে অনেক নেতাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘সরকার মরণ খেলা খেলছে। আগুন নিয়ে খেলছে। কেননা প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে নারী-শিশুসহ অন্তত ২০ জন মারা গেছেন। এতে সরকারের কী দায় নেই? আপনি কয়লা পুড়িয়ে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র করে সুন্দরবন উজাড় করার ষড়যন্ত্র করছেন। দক্ষিণবঙ্গের সমুদ্র উপকূলের সব গাছ উজাড় করে দিচ্ছেন। এর প্রভাব তো পড়বেই।’
‘যেখানেই দুর্নীতি-লুটপাট সেখানেই আওয়ামী লীগ’ মন্তব্য করে রিজভী বলেন, ‘আজকে ব্যাংক, বীমা সর্বত্র হরিলুট চলছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ফাঁকা হয়ে গেছে। বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে মানুষ অতিষ্ঠ। তারা নাকি বিদ্যুতে স্বয়ংসম্পন্ন!’
রিজভী বলেন, ‘যেখানেই দুর্যোগ ও দুর্ভোগ সেখানেই আওয়ামী লীগ। এই যে তীব্র তাপপ্রবাহ। এজন্য কী সরকার দায়ী নয়? আজকে গাছপালা কেটে ফেলা হচ্ছে। নদী-নালা, খাল-বিল, হাওর-বাঁওড় সমস্ত কিছু ভরাট করা হচ্ছে। কার স্বার্থে ভরাট হচ্ছে? আওয়ামী ভূমিদস্যুদের স্বার্থে। যুবলীগ-ছাত্রলীগকে নতুনভাবে ভূমিদস্যু বানিয়ে জনগণের দম বন্ধ করা হচ্ছে। কারণ তারা তো এদেশে থাকবে না। তারা যাবে মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও দুবাই। সুতরাং ওদের তো দায় নেই।’
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘আজকে আমরা একটি মিছিল নিয়ে গেলে বামে-ডানে পুলিশ বাধা দেয়। কারণ আমরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছি। আজকে প্রতিবাদও করা যাবে না। মত প্রকাশের স্বাধীনতাও নেই। কই ব্যাংক লুটেরা ও ভূমিদস্যুদেরকে তো বাধা দেন না! এই দায়িত্বও তো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। অথচ আপনার গণতন্ত্রকামী মানুষকে বাধা দেন! তাদের মিছিল দেখলে ও স্লোগান শুনলে আপনারা বাধা দেন। আমি অবিলম্বে সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর মুক্তি দাবি করছি। অন্যথায় প্রতিটি আঘাত আপনাদের দিকে ফিরে যাবে। এটাই প্রকৃতির নিয়ম। অন্যায়-অবিচার না থামালে আপনাদের দিকেই ফিরে যাবে।’
যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না বলেন, ‘পুলিশ ও আদালতকে নিয়ন্ত্রণ করে জনগণের ভোটের অধিকার এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার চলমান আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া থেকে যুবদল নেতৃবৃন্দকে বিরত রাখা যাবে না; বরং এতে নেতাকর্মীদের ক্ষোভ ও প্রতিবাদের আকাঙ্ক্ষা আরো তীব্র থেকে তীব্রতর হবে। সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে রাজপথের আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমেই মুক্ত করে আনা হবে। এই অবৈধ সরকারের কছে মুক্তির দাবি জানানো হবে না।’
বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন যুবদলের সহ-সভাপতি জাহিদুর রহমান দীপু সরকার, কামরুজ্জামান দুলাল (সহ-সভাপতি পদমর্যাদা), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক- জিয়াউর রহমান জিয়া, কামাল আনোয়ার আহমেদ, আব্দুল জব্বার খান, বিল্লাল হোসেন তারেক, আজিজুর রহমান আজিজ (যুগ্ম-সাধারণ পদমর্যাদা), সহ-সাধারণ সম্পাদক- মাসুদ আহমেদ খান, আতিক আল হাসান মিন্টু, প্রচার সম্পাদক আব্দুল করিম সরকার, সাহিত্য প্রকাশনা সম্পাদক মেহবুব মাসুম শান্ত, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক, পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুল হক হিমেল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক- মাহফুজুর রহমান, মাহফুজ, সাখাওয়াত হোসেন চয়ন, গোলাম ফারুক, সহ-প্রচার সম্পাদক আশরাফুল আলম ফকির লিংকন, সহ-সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মাহমুদুল হাসান বাপ্পী, সহ-তথ্য সম্পাদক পার্থ দেব মন্ডল, ক্ষুদ্র ও কুটির মাজেদুল ইসলাম রুমন, কে এম সানোয়ার, মুসাব্বির শাফি, আমিনুর রহমান আমিন, সদস্য মিজানুর রহমান সুমন, নাসির উদ্দীন শাওন, মহানগর উত্তর যুবদলের আহ্বায়ক শরিফ উদ্দিন জুয়েল, সদস্য সচিব সাজ্জাদ মিরাজসহ যুবদলের কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন পর্যায়ের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।