১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

গোটা দেশের মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে : রিজভী

- ছবি - নয়া দিগন্ত

সরকার তার লোকদের সুখে-শান্তিতে রাখতে গোটা দেশের মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

আজ সোমবার দুপুরে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি ২৩ নং ওয়ার্ডের উদ্যোগে খিলগাঁও তালতলায় প্রচণ্ড তাপদাহে অতিষ্ঠ মানুষদের মাঝে বিশুদ্ধ খাবার পানি, স্যালাইন ও লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ক্রীড়া সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক এবং রামপুরা থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নীলুফার ইয়াসমীন নীলু।

রিজভী বলেন, এই দেশে না কি অনেক উন্নয়ন করা হয়েছে। প্রতিদিন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা চিৎকার করে কথা বলতে বলতে তাদের গলার ভিতরে আলসার হয়ে গেছে। যদি সত্যিকারের উন্নয়ন হয়, তবে সেই উন্নয়ন তো হবে মানুষটা কেন্দ্র করে। আওয়ামী নেতাদের বিদেশে বাড়ি বানানোর জন্য তো উন্নয়ন নয়। যে উন্নয়নের ছবি দেখে আওয়ামী লীগের নেতারা আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ। সেই উন্নয়ন তো জনগণ দেখতে চায়নি।

তিনি বলেন, জনগণ একটু বুক ভরে শ্বাস নিতে চায়। একটা নিশ্চিত নিরাপত্তার মধ্যে থাকতে চায়। বিশুদ্ধ বাতাস গ্রহণ করতে চায়। কিন্তু এই সরকার তা দেয়নি। জনগণের অক্সিজেন কেড়ে নিয়েছে। নিশ্বাস প্রশ্বাস কেড়ে নিয়েছে। তথাকথিত উন্ননের নামে দেশকে একটি গ্যাস চেম্বারে পরিণত করেছে।

‘আজ দেশে বৃক্ষ নেই, নদী ভরাট, খালভরাট সব দখল করেছে। তাহলে বৃষ্টি হবে কেন, তাহলে গাছের পাতা থাকবে কেন, গাছে ফল থাকবে কেন?’

রিজভী বলেন, সমস্ত বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে ‘কয়লা পুড়ে বিদ্যুৎ তৈরি করা যাবে না’। এই সরকার কারো কথা শোনেনি। কারণ তার লোকদের টাকা চাই। লোকদের পকেট ভরা চাই। আপনার লোকদের সুখে-শান্তিতে রাখতে গোটা দেশের মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়ে কবরস্থান দিকে ঠেলে দিয়ে, কয়লা পুড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করেছে। তার পরিণতি কি? আজ ২৮ দিন যাবত দেশের মানুষ তাপদাহে পুড়ছে, স্কুলেরছাত্র শিক্ষক সহ ১৭ জন মারা গেছেন।

সাবেক ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামানের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, উনি তো অনেক আগেই গণতন্ত্রকে হত্যা করেছেন। এখন সেই গণতন্ত্রকে কেটে কেটে টুকরো টুকরো করেছে এই সরকার তার সাজানো আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে।

এই সরকার এমন এক সরকার, তার পিছনে একটা সুপার সরকার আছে -সাবেক ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামানকে উদ্দেশ্য করে রিজভী বলেন, সত্যের পক্ষে আসুন। সাবেক আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনার বেনজীর আহমেদ এ আন্দোলন নিয়ে কত কথা বলেছিলেন। আপনারা যা করেছেন সে পাপের কিন্তু জবাবদিহিতা করতে হবে। কোথায় কী করেছেন তার রেকর্ড কিন্তু জনগণ রেখেছে, জনগণ জানে।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মো: রফিকূল ইসলাম, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, যুবদলের সহ সভাপতি জাকির হোসেন সিদ্দিকী, মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, ভিপি এজিএম শামসু, হাজী মোহাম্মদ ইউসুফ, দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত এবিএমএ আব্দুর রাজ্জাক, যুবদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহবুব মাসুম শান্ত, বিএনপি নেতা জাকির হোসেন, ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান আউয়াল, মহানগর উত্তর বিএনপি নেতা ফয়েজ আহমেদ ফেরু, আলহাজ্ব হেলাল কবির হেলু, নওগাঁ জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক তাজ, ছাত্রদল নেতা মিরাজ, ডা. মুশফিক, আশরাফুল আসাদ, যুবদল নেতা নজরুল ইসলাম-সহ নেতৃবৃন্দ।


আরো সংবাদ



premium cement