সাহারা মরুভূমির গরমের মতো অনুভূত হচ্ছে : সরকারকে দায়ী করে রিজভী
- অনলাইন প্রতিবেদক
- ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৫৩
শনিবারে স্কুল খোলার বিষয়ে সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, রাস্তাঘাট এত উত্তপ্ত যে মানুষ কম বের হচ্ছে। এর মধ্যেই স্কুল-কলেজ শনিবারই খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। অর্থাৎ এই বাচ্চা এই কিশোরদেরকেও এ সরকার আগুনের মধ্যে পুড়িয়ে মারতে চাচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা পাকিস্তান আমলেও গ্রীষ্মকালীন ছুটি কাটাতাম। অথচ এই সরকার রমজান মাস একটি ইবাদতের মাস, সেই মাসেও ১৫ দিন স্কুল খোলা রেখেছিল। যেখানে স্কুল সপ্তাহে দুই দিন বন্ধ তার মধ্যে শনিবারে খোলা রেখে বাচ্চাদেরকে আগুনের মধ্যে ঠেলে দেয়া হচ্ছে।
‘একটা গণদুশমন সরকার না হলে এটা করত না। একটা গণবিরোধী সরকার না হলে এই নীতি গ্রহণ করত না।’- বলেন রিজভী।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাজধানীর ফকিরাপুল বাজারে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি আয়োজিত ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় রিজভী আরো বলেন, বাংলাদেশ এখন উত্তপ্ত আগুনের মতো পরিবেশ। এই উত্তপ্ত গরমে মানুষের ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। এটার জন্য একমাত্র দায়ী এই গণবিরোধী সরকার। এরা নদী রক্ষা করতে পারেনি। ভূমিদস্যুরা নদী দখল করে রেখেছে। অন্যায়ভাবে গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সরকার কিছুই করছে না। প্রখ্যাত বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, কয়লা পুড়িয়ে তাপকেন্দ্র করলে দেশের কোনো লাভ হবে না। দেশের গাছ, মাছ, ফসল পুড়ে যাবে। কুয়াকাটায় তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, বাগেরহাটের রামপালে কয়লা পুড়িয়ে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র করেছে, যার কারণে সমুদ্র পাড়ে নারিকেল গাছে নারকেল ধরে না, ফসল হয় না। আমাদের নিঃশ্বাস, আমাদের অক্সিজেন হচ্ছে সুন্দরবন, সেই সুন্দরবনকে পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। উজাড় করে দেয়া হচ্ছে। এই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে একটি গণবিরোধী সরকার। তাই আজ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। এই দেশে নদী খাল বিল দিয়ে ভরা কিন্তু সেই নদী খাল বিলগুলো ভরাট হয়ে যাচ্ছে। সারাদেশ গরমে উত্তপ্ত হয়ে পড়েছে। ৪১ ডিগ্রি তাপমাত্রা মনে হচ্ছে ৪৩ বা ৪৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা। এরকম গরম বাংলাদেশের ইতিহাসে আর কখনো পড়েনি। সাহারা মরুভূমির গরমের মতো অনুভূত হচ্ছে। যে দেশে এত গাছপালা এত নদী খাল সেই দেশে এরকম গরম হওয়ার কথা না; শুধু সরকারের লুটেরা নীতি, নদী ভরাট করার নীতির কারণে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, আমার দেশের মানুষদের গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। লালমনিরহাট এখন কসাইখানা। একদিন পরপর বিএসএফ বাংলাদেশের মানুষদেরকে গুলি করে হত্যা করছে। সেখানে সরকারের প্রতিবাদ নাই। সেখানে তারা মাথা নিচু করে থাকেন। আর দেশের মানুষকে তিনি দম বন্ধ করে আগুনে পুড়িয়ে মারার ব্যবস্থা করছেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন- বিএনপি নাকি যেকোনোভাবে ক্ষমতা দখল করতে চায়। আমরা দখল করতে যাব কেন? দখল তো আপনারা করে রেখেছেন। জনগণ ছাড়া, ভোট ছাড়া ক্ষমতা দখল করে রেখেছেন। দেশের জনগণ চায় আন্দোলনের মাধ্যমে অতি দ্রুত এ সরকারের পতন হোক এবং জনগণের ভোটের মাধ্যমে সরকার গঠন করা হোক।
ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে তিনি আরো বলেন, দেশে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে দেশের মানুষ ধুঁকে ধুঁকে মারা যাবে। এইজন্য দেশের জনগণ চায় এই সরকারের বিদায়। এই সরকারের পদত্যাগের মাধ্যমেই দেশের জনগণ মুক্তি পাবে।
এ সময় তিনি পথচারী রিকশাচালকদের মাঝে পানি, খাবার স্যালাইন এবং সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ মোঃ রফিকুল ইসলাম, সহ অর্থনৈতিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, তাঁতীদলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, মৎস্যজীবীদলের সদস্য সচিব আবদুর রহিম, যুবদলের সহ সভাপতি জাকির হোসেন সিদ্দিকী, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি, যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন আনু, সহ সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, শামসুর রহমান, যুবদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহবুব মাসুম শান্ত, সাদিউল কবির নীরব, তৌহিদুল হাসান রিয়ন, বিএনপি নেতা জাকির হোসেন, ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি এজমল হোসেন পাইলট, তারেক উজ জামান তারেক, কাজী রফিকুল ইসলাম, ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডাঃ তৌহিদুর রহমান আউয়াল, লিয়াকত হোসেন, সহ সাধারণ সম্পাদক মাইন উদ্দিন নিলয়, স্বাস্থ্য সম্পাদক ডাঃ সাইফুল আলম বাদশা, মতিঝিল থানা বিএনপি নেতা জাহিদুল হক জাহিদ, আলমগীর হোসেন, ঢাবি ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক রাজু আহমেদ, বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক ডাঃ পিয়াস হাসান, মৎস্যজীবী দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক যুগ্ম আহ্বায়ক নাদিম চৌধুরী, অধ্যক্ষ সেলিম মিয়া, ওমর ফারুক পাটোয়ারী, জাহাঙ্গীর আলম সনি, মোঃ শাহ আলম, কবির উদ্দিন মাস্টার, নওগাঁ জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক তাজ, সোহাগ, পল্টন থানা ছাত্রদলের আল আমিন, ছাত্রদল নেতা মিরাজ, ডাঃ মুশফিক, আশরাফুল আসাদ, যুবদল নেতা নজরুল ইসলাম, মন্জুর রহমান, আল আমিন, ফরিদ, মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমির হোসেন আমির ও সদস্য সচিব মোঃ বাকীবিল্লাহ, দক্ষিণের সদস্য সচিব কেএম সোহেল রানা, সদস্য হাজী আনোয়ার হোসেন, মোঃ ইব্রাহিম চৌধুরী, হাজী আবু বকর সিদ্দিক, মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব কেএম সোহেল রানা, মোহাম্মদ শাহাদত হোসেন ও আনোয়ার হোসেন রিপন, মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক মনজুর রহমান ভূঁইয়া ও গিয়াস উদ্দিন, যাত্রাবাড়ী থানার সভাপতি মোঃ আলী মন্ডল, কদমতলী থানার সাধারণ সম্পাদক রায়হানুল ইসলাম রাজু ও সিনিয়র সহ-সভাপতি রফিক-সহ নেতৃবৃন্দ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা