‘রমজানের শিক্ষাকে বাকি ১১ মাসের মডেল হিসেবে নিতে হবে’
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৫৮
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা অঞ্চল দক্ষিণ পরিচালক সাইফুল আলম খান মিলন বলেছেন, ‘পবিত্র মাহে রমজানের শিক্ষাকে আগামী ১১ মাসের মডেল হিসেবে নেয়ার জন্য জামায়াতের নেতাকর্মীদের মনোযোগী হতে হবে।’
তিনি ইসরাইলি দখলদারির অবসান ঘটিয়ে স্বাধীনতাকামী ফিলিস্তিনের পাশে থাকতে মুসলিম উম্মাহকে এগিয়ে আসার উদাত্ত আহ্বান জানান।
সোমবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা জেলা দক্ষিণ আয়োজিত ভার্চুয়াল ঈদ পুনর্মিলনীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও জেলা আমির মাওলানা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি এ বি এম কামাল হোসাইনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ মহানগরী আমির মাওলানা আবদুল জব্বার। আরো বক্তব্য রাখেন জেলা নায়েবে আমির মো: শাহিনুর ইসলাম, জেলা শ্রমিক কল্যাণ বিভাগের সভাপতি ডা. শহিদুজ্জামান, জামায়াত নেতা অ্যাডভোকেট আবদুর রাজ্জাক মণ্ডল, আবদুর রহিম মজুমদারসহ জেলা ও বিভিন্ন থানার নেতা।
সাইফুল আলম খান মিলন বলেন, ‘আজ সামগ্রিকভাবে আমাদের দেশের যে পরিস্থিতি তাতে সৎ, দক্ষ ও যোগ্য নেতৃত্ব ছাড়া দেশকে উন্নয়নের রাজপথে নিয়ে আসা সম্ভব নয়। মূলত সৎ-দক্ষ এবং যোগ্য নেতৃত্বের জন্য দেশ ও জাতি অধীর আগ্রহে আপেক্ষা করছে। তাই এদেশকে রক্ষার জন্য জামায়াতের সকল জনশক্তিকে সৎ, দক্ষ এবং যোগ্য নেতা হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। একই সাথে ইসলামের ব্যাপক প্রচার এবং প্রসারের কাজ জামায়াতের কর্মীদের নিরলসভাবে করতে হবে। আল্লাহর সন্তুষ্টির প্রেরণায় উজ্জীবিত হয়ে এ কাজে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।’
তিনি বলেন, ‘অতীতে ইসলামের প্রচার এবং প্রতিষ্ঠার কাজ যারাই করেছেন তাদেরকে জেল, জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। আজকেও যারা এই কাজ করবেন তাদেরকেও নানা ধরনের জুলুম-নির্যাতনের শিকার হতে হবে। আগামীতে এদেশে দ্বীনের বিজয়ের জন্য সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে যথাযথভাবে ভূমিকা রাখতে হবে। এ জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে হবে। আল্লাহর সাহায্য ছাড়া দ্বীনের বিজয় সম্ভব নয়।’
সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন বলেন, ‘পরিস্থিতি যাই হোক আমাদেরকে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও ইসলাম রক্ষায় সর্বস্ব দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। পবিত্র কালামে হাকিমে ইরশাদ হয়েছে, হালকা কিংবা ভারী যে অবস্থায় আছি, সে অবস্থাতেই বেরিয়ে পড়তে হবে। মূলত দ্বীন কায়েমের সংগ্রামে অংশগ্রহণ করা সবচেয়ে বড় ফরজ। এ জন্য আমাদের সবাইকে সক্রিয়ভাবে দ্বীন প্রতিষ্ঠার কাজে অংশগ্রহণ করতে হবে।’
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা