বুয়েটকে ‘জঙ্গি রাজনীতি’র কারখানায় পরিণত করার প্রমাণ পেলে সরকার অ্যাকশনে যাবে : কাদের
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ৩১ মার্চ ২০২৪, ১৫:৩৩, আপডেট: ৩১ মার্চ ২০২৪, ২০:৪৯
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়কে (বুয়েট) অপরাজনীতির কারখানা বানানো হচ্ছে কি না- তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘বুয়েটের ঘটনার তদন্ত হচ্ছে। বুয়েটকে জঙ্গি রাজনীতির কারখানায় পরিণত করার প্রমাণ পেলে সরকার অ্যাকশনে যাবে।’
রোববার (৩১ মার্চ) সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে চট্টগ্রাম বিভাগের ভিভিন্ন পর্যায়ের আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন।
সভায় চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তর্গত সাংগঠনিক জেলাসমূহের নেতারা, জাতীয় সংসদের দলীয় ও স্বতন্ত্র সদস্যরা এবং দলীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বুয়েটের ঘটনা তদন্ত চলছে। আমরা খতিয়ে দেখছি। সেখানে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করার নামে বুয়েটকে একটা অপরাজনীতি জঙ্গিবাদের কারখানায় পরিণত করা হবে। এটা যাতে না হয়, আমরা তা তদন্ত করে দেখছি। এরকম কিছু পাওয়া গেলে সরকারকে অ্যাকশনে যেতে হবে।’
বুয়েটে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা সব অপকর্ম, অন্যায়ের বিরুদ্ধে ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো ট্রলারেন্স। সেই নীতিতে আমরা এগিয়ে চলছি। বুয়েটে আবরার হত্যায় কাউকে ছাড় দেয়া হয়নি। বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডে নেতাকর্মীদের দণ্ড হয়েছে, কাউকে ছাড় দেয়া হয়নি।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বুয়েটে সেদিন কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল না আর আমি রাজনীতি করি বলে বুয়েটে যেতে পারবো না- এটা কোন ধরনের আইন? কোন ধরনের নিয়ম?’
মতবিনিময় সভায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে অবাদ ও সুষ্ঠু করার বিষয়ে সরকারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা এমপি-মন্ত্রী সাহেবরা যদি হস্তক্ষেপ থেকে বিরত থাকি তাহলে বিনা প্রতীকে নির্বাচন করার যে উদ্দেশ্য নেত্রী করেছেন- তা স্বার্থক হবে।’
তিনি বলেন, ‘কেউ ক্ষমতার দাপট ও ক্ষমতার অপব্যবহার করবেন না। যার নির্বাচন করার ইচ্ছা আছে করবেন। সে স্বাধীনতা আছে। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। জনগণ যাকে ইচ্ছা নির্বাচিত করবে। নির্বাচন কমিশন স্বাধীন, যদি কোনো অনিয়ম মনে করে তারা ব্যবস্থা নেবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘চার ধাপে অনুষ্ঠিত হবে উপজেলা নির্বাচন। কাজেই আমাদের দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। ভালোভাবেই চলছে সবকিছু। এর মধ্যে দায়িত্বশীলদের এমন কিছু কথাবার্তা দলকে সংকটে ফেলে। ফ্রি স্টাইলে যা কিছু বলবেন- এটা তো আওয়ামী লীগ নয়। দলের গঠনতন্ত্র নিয়ম-কানুন আছে। এগুলোর অ্যাকশন আমরা নিব। ইতোমধ্যেই কিছু অ্যাকশনও নেয়া হয়েছে।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি নেতারা কেউ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের কথা বলেন, আবার কেউ ভারতীয় পণ্য বর্জনের কথা বলেন। সেই পাকিস্তানি আমল থেকে যে ভাষায় আইয়ুব খান কথা বলেছে, আজকে সেই ভাষায় কথা বলছে বিএনপি। তাদের সব ইস্যুই মার খেয়েছে ভোটে পরাজিত হয়ে। এখন তাদের ইস্যু ভারত বিরোধিতা। অ্যান্টি ইন্ডিয়া ফোভিয়া তৈরি করার ইস্যু খুঁজে নিয়েছে।’
রিজার্ভ নিয়ে বিএনপি মিথ্যাচার করছে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি যখন ক্ষমতা ছেড়ে যায় তখন বাংলাদেশের রিজার্ভ ছিল সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলার। আর তারা এখন রিজার্ভ নিয়ে কটাক্ষ করে। যখন রিজার্ভ ২১ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে, ঈদ উপলক্ষে সে রিজার্ভ আরো বাড়বে এটাই স্বাভাবিক। তারা না জেনে-শুনেই মিথ্যাচার ও অপপ্রচার করছে।’
বাজার দর নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কিছু পণ্যের দাম কমেছে। বাজার উঠানামা করবেই। বিশ্ব সংকট এর জন্য দায়ী, আর শাস্তি পাচ্ছি আমরা। আমাদের একজন শেখ হাসিনা আছেন বলেই এ সংকট অতিক্রম করার সাহস আমরা পাচ্ছি। ইনশাআল্লাহ এ সংকট কেটে যাবে।’
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন নিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সম্মেলন করে সেখানে কমিটি গঠন করা হবে। আমরা সম্মেলন করে কমিটি করতে চাই। কেউ ক্ষমতার দাফট দেখাবেন না।’
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল আলম হানিফ ও ডা: দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, কৃষিবিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, অর্থবিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান ও উপদফতর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র : বাসস
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা