১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখতে জ্ঞানার্জনকে গুরুত্ব দিতে হবে : ড.আজম ওবায়েদুল্লাহ

বই পাঠ প্রতিযোগিতার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান - ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. আজম ওবায়েদুল্লাহ বলেছেন, মানুষকে আল্লাহ তায়ালা শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন জ্ঞান দ্বারা। সুতরাং শ্রেষ্ঠত্বের জায়গা ধরে রাখতে হলে জ্ঞানার্জনকে গুরুত্ব দিতে হবে। তবে নির্দিষ্ট কিছু পুস্তকে জ্ঞানকে সীমাবদ্ধ করা যাবে না। নব্য জাহেলিয়াতকে মোকাবেলা করতে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে জ্ঞানের সব শাখায় বিচরণ করতে হবে।

সোমবার রাজধানীর এক মিলনায়তনে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে ‘হাকীকত সিরিজ পাঠ প্রতিযোগিতা ২০২৪'-এর পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. আজম ওবায়েদুল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ওলামা বিভাগের সেক্রেটারি মাওলানা ড. খলিলুর রহমান মাদানী ও সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি দেলাওয়ার হোসাইন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আজম ওবায়দুল্লাহ বলেন, ছাত্রশিবির হলো সেই সংগঠন যেখানে জ্ঞানকে প্রাধান্য দিয়ে যোগ্য নাগরিক তৈরির চেষ্টা করা হয়। আজকের আয়োজন আগামীর জন্য জ্ঞানী তৈরি করা। যারা বিশ্বময় খ্যাতি তৈরি করবে। মুসলিম উম্মাহর জ্ঞানের জগতে নেতৃত্ব দিবে। আমরা আশা করি, এমন আয়োজন অব্যাহত থাকবে এবং মুসলিম উম্মাহর প্রত্যাশা পুরণে আজকের আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে ইনশাআল্লাহ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী বলেন,‘পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ তায়ালার প্রথম নির্দেশনাই ছিল জ্ঞানার্জনের জন্য। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে মুসলমানরা জ্ঞানার্জন থেকে পিছিয়ে এসেছে আর কাফেরেরা সেটা গ্রহণ করেছে। ফলে আজ দুনিয়ার অর্থনীতি, সংস্কৃতি, বিজ্ঞানসহ সর্বক্ষেত্র তারা নিয়ন্ত্রণ করছে। আমাদের আবারো সেই সোনালী দিন ফিরিয়ে আনতে হবে। উম্মাহর হতাশা দূর করে প্রত্যাশা পুরণ করতে হবে। আগামীর ইসলামী বিপ্লবের জন্য জ্ঞানই হবে মূল হাতিয়ার ইনশাআল্লাহ।'

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দেলাওয়ার হোসাইন সাইদী বলেন,‘আদর্শহীন ছাত্রসংগঠনগুলো সন্ত্রাস এবং নানারকম অপরাধের মাধ্যমে নিজেদের চরিত্র ও ক্যারিয়ার ধ্বংস করছে। অন্যদিকে চলমান অনৈতিক ও ধর্মহীন শিক্ষাক্রম সমাজ এবং রাষ্ট্রের জন্য ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। এ অবস্থায় আগামী প্রজন্মের জন্য দ্বীনি জ্ঞান খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। ইসলামী ছাত্রশিবির ছাত্রদের জ্ঞানের আলোকে যেন ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রকে আলোকিত করতে পারে তার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আর সামনেও অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।'

সভাপতির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন,‘আজকের এ আয়োজনের মূল উদ্দেশ্যে জ্ঞানের জগতের শুণ্যতা পুরণ এবং এগিয়ে যাওয়া। কুরআন এবং সুন্নাহ ভিত্তিক অধ্যায়নে মানুষ যেমন জ্ঞানী হবে তেমনি বিপদগামী হওয়া থেকে রক্ষা পাবে। তবে শুধু এ কয়েকটি বই পড়াই যথেষ্ট নয় বরং জ্ঞানের জগতে আরো বেশি বিচরণ করতে হবে। ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠায় ইসলামী সাহিত্য প্রতিনিধিত্ব করে। এক্ষেত্রে গভীর জ্ঞানার্জন ও ধারণের জন্য আল্লাহ ভীতি খুবই জরুরি। আমরা আশা করি, আজকের আয়োজন প্রত্যাশিত জ্ঞানী মানুষ তৈরিতে ভূমিকা পালন করবে ইনশাআল্লাহ।'

উল্লেখ্য, ৩টি বিভাগে হাকীকত সিরিজ পাঠ প্রতিযোগিতা অনু্ষ্ঠিত হয়।‘ক' বিভাগে ছাত্রশিবিরের সদস্য,‘খ' বিভাগে সাথী ও‘গ' বিভাগে কর্মীরা অংশগ্রহণ করে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি


আরো সংবাদ



premium cement