‘ঐক্যবদ্ধ না হলে দেশ ও জাতির মুক্তি মিলবে না’-ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৫ মার্চ ২০২৪, ১৬:৫৫
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, ‘পবিত্র মাহে রমজানের শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হয়ে তাকওয়াভিত্তিক ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা এবং আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন বিজয়ী করার মাধ্যমে ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় সমাজের সকল শ্রেণি ও পেশার মানুষকে একযোগে কাজ করতে হবে। তিনি সেই স্বপ্নের সমাজ প্রতিষ্ঠা ও গণমানুষের অধিকার আদায়ে জামায়াতের পাতাকাতলে সকলকে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামে অবতীর্ণ হওয়ার আহ্বান জানান।’
সোমবার রাজধানীর একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের রামপুরা থানা দক্ষিণ আয়োজিত এক সুধী সমাবেশ ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
থানা আমির ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রশীদের সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিলে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি নাজিম উদ্দীন মোল্লা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন থানা সেক্রেটারি খালিদ সাইফুল্লাহসহ স্থানীয় নেতারা।
ড. রেজাউল করিম বলেন, ‘আমরা যাতে জীবনের সকল ক্ষেত্রে তাকওয়ার নীতি অবলম্বন করতে পারি সেজন্যই রমজানের সিয়াম পালনকে আমাদের জন্য অত্যাবশ্যকীয় করা হয়েছে। রমজানের প্রকৃত শিক্ষায় হচ্ছে প্রবৃত্তির ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে সুন্দর ও সুকুমার বৃত্তির চর্চার জন্য জন্য নিজেকে প্রস্তুত করার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করা। যার মাধ্যমে আত্মগঠন ও তাজকিয়া অর্জন সম্ভব হয়। এই মহিমান্বিত মাসেই বিশ্ব মানবতার মুক্তির সনদ মহাগ্রন্থ আল কুরআন নাযিল করা হয়েছে। এই মোবারক মাসেই বদর যুদ্ধের বিজয়-সহ ইসলামের বড় বড় বিজয় অর্জিত হয়েছে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় আমাদের দেশ ৯০ শতাংশ মুসলমানের দেশ হলেও গণবিরোধী সরকার মাহে রমজানেই রোজাদারদের ওপর হয়রানি ও জুলুম-নির্যাতন চালাচ্ছে। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল ধর্মের মানুষের জন্য ধর্ম পালন উম্মুক্ত হলেও সরকরি নীলনকশায় ক্যাম্পাসে ইফতার মাহফিলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আর দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির কারণেই ধর্মপ্রান্ত মানুষের সিয়াম পালন কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। মূলত, এই সরকার বিনা ভোট ও ইসলাম বিরোধী সরকার। তাই গণমানুষের অধিকার ও ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় এই গণবিরোধী সরকারের পতনের কোনো বিকল্প নেই। তিনি সরকার পতনের লক্ষ্যে দলমত নির্বিশেষে সকলকে রাজপথে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।’
তিনি বলেন, ‘গণমানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য যাকাতভিত্তিক অর্থনীতির কোনো বিকল্প নেই। আর সুদভিত্তিক অর্থনীতি হচ্ছে জুলুম ও শোষণের হাতিয়ার। মূলত, যাকাত একটি অত্যাবশ্যকীয় ইবাদত। যাকাত ইসলামী অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি। তাই দেশকে ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ ও আত্মনির্ভরশীল করতে হলে যাকাতভিত্তিক ইসলামী অর্থনীতি চালু করতে হবে। যা বিত্তবান মানুষের কাজ থেকে আদায় করে জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ, সমাজের দারিদ্র বিমোচন ও আর্ত-মানবতার কল্যাণে ব্যয় করতে হবে। তাহলেই দেশ ও জাতিকে আত্মনির্ভরশীল করা সম্ভব। তিনি যাকাতভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে জোরদার করার জন্য সমাজের প্রভাবশালী ও বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।’
প্রেস বিজ্ঞপ্তি