মদ আসে বিনা শুল্কে, খেজুর আমদানিতে লাগে শুল্ক : মির্জা আব্বাস
- অনলাইন প্রতিবেদক
- ২০ মার্চ ২০২৪, ১৮:৫৫, আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৪, ১৯:২৯
দেশের চলমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, আমাদের যুদ্ধ চলছে। অঘোষিত স্বাধীনতা যুদ্ধ। এই যুদ্ধে দেশের প্রতিটি মানুষকে শরিক হতে হবে। ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার সব পেশার মানুষকে। কেন না আমরা এখন ত্রিশংকু অবস্থায় আছি। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ নানা অসঙ্গতি দেখা দিয়েছে দেশে।
বুধবার বিকেলে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর ইস্কাটনে লেডিস ক্লাবে চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) এই ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
মির্জা আব্বাস আফসোস করে বলেন, আজকে দেশে মদ আমদানি হয় বিনা শুল্কে আর খেজুর আমদানি করতে হয় শুল্ক দিয়ে! আমরা কি এই দেশ চেয়েছিলাম? ৭১ সালে বাংলাদেশকে কেন স্বাধীন করেছিলাম? কথা ছিল গণতন্ত্র, মানুষের ভোটাধিকার ও কথা বলার অধিকার থাকবে। কিন্তু আমরা ভোটাধিকার, কথা বলার অধিকার ও গণতন্ত্র আজও পাইনি। এই পাওয়া না পাওয়ার পেছনে কারো প্রভাব রয়েছে।
তিনি বলেন, আজকে এই উপমহাদেশের অনেক ছোটো ছোটো দেশ বড় দেশের পেটে যাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ সেটা না। ইনশাআল্লাহ সময় সুযোগ আসবে দেশের জনগণ ও তরুণরা সেটা প্রমাণ করবে।
ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব ডা: মো: আবদুস সালাম এবং সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ডা. মো: মেহেদী হাসানের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান ডা: এজেডএম জাহিদ হোসেন, ড্যাবের প্রধান উপদেষ্টা ডা: ফরহাদ হালিম ডোনার, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল হাই শিকদার, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কেন্দ্রীয় নেতা ডা: পারভেজ রেজা কাকন, ডা: রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, পেশাজীবী পরিষদের কাদের গণি চৌধুরী, ইউট্যাবের ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, ঢাবি সাদা দলের অধ্যাপক লুৎফর রহমান, ড্যাব নেতা ডা: একেএম আজিজুল হক, ডা: এমএ সেলিম, ডা: মো: শহীদুল আলম, ডা: মোসাদ্দেক হোসেন বিশ্বাস ডাম্বেল, ডা: জহিরুল ইসলাম শাকিল, ডা: শহিদ হাসান, ডা: সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।
এছাড়া ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি ডা: মো: রফিকুল ইসলাম, জেড রিয়াজ উদ্দিন নসু, ডা: রফিকুল কবির লাবু, রফিক সিকদার, কাজী রওনকুল ইসলাম টিপু, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির, সাংবাদিক নেতা ইলিয়াস খান, মো: শহীদুল ইসলাম, এম খুরশিদ আলম, পেশাজীবী নেতা প্রকৌশলী খালেদ হাসান পাহিন, আশরাফ উদ্দিন বকুল, প্রকৌশলী মাহবুব আলম, অধ্যাপক শামসুল আলম, ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান, অধ্যাপক নূরুল ইসলাম, ড. আবুল হাসনাত মোহাম্মদ শামীম, ড্যাব নেতা ডা. মহিউদ্দিন ভুঁইয়া মাসুম, ডা: এরফানুল হক সিদ্দিকী, ডা: শাহ মুহাম্মদ আমানউল্লাহ, ডা: সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম, ডা: শেখ ফরহাদ, ডা: সৈয়দা তাজনিন ওয়ারিস সিমকী, ডা: জাহেদুল কবির জাহিদ, ওলামা দলের সাবেক নেতা শাহ মোহাম্মদ নেছারুল হক, কাজী মো: সেলিম রেজাসহ ড্যাব ও বিভিন্ন পেশার হাজারো নেতাকর্মী।
স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, দেশে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। স্থান কালভেদে কোনো আন্দোলন হয় না। আমাদের যখন সময় হবে আঘাত করার তখন আঘাত করবো। জালিমের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হলে জালিমকে সরাতে হবে। তবেই দেশের জনগণ মুক্তি পাবে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও গণতন্ত্র মুক্ত পাবে।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি চাইব না, আমরা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবো। দেশকে জালিমের হাত থেকে মুক্ত করব। আমরা কী পেলাম আর কী পেলাম না এই হিসাব করা যাবে না। বরং আমরা দেশকে কী দিলাম, জনগণের জন্য কী করতে পারলাম এই ভেবে আন্দোলনে নামতে হবে।
স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, আজকে জগদ্দল পাথরের মতো এই স্বৈরাচার সরকার বসে আছে। মনোবল শক্ত রাখুন, আমরা রাজপথে নেমেছি। যে গণতন্ত্রের জন্য আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছি এই সরকারকে হটিয়ে আবারো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করব ইনশাআল্লাহ। এটাই হোক আমাদের আজকের শপথ।
স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেন, আজকে আমরা কঠিন সময় পার করছি। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ দিশেহারা। সাধারণ মানুষ খেতে পারছে না। ইফতার মাহফিলে বাধা দেয়া হচ্ছে। গণতন্ত্র উত্তরণে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সরকার পতন ঘটিয়ে আমাদের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা