হরতাল-অবরোধের হুঁশিয়ারি দিলেন রিজভী
- অনলাইন প্রতিবেদক
- ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২২:১৪
শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সরকারের বার্তা না পেলে হরতাল-অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচি দিয়ে দেশকে অচল করে দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘জনগণকে সম্পৃক্ত করে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে যাচ্ছি আমরা। হরতাল-অবরোধ ওই শান্তির প্রবক্তারাই চালু করেছে। সরকার যদি আমাদের রোডমার্চ, জনগণের মিছিলে ও সম্পৃক্ততায় কোনো বার্তা না পায় বা না বোঝে, তাহলে দিনের পর দিন হরতাল-অবরোধ করে এই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।’
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর উদ্যোগে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে এক আলোচনা সভা ও সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা ভীতিকর অসুস্থ সমাজ তৈরি করেছে। ভীতি ও আতঙ্কের অন্ধকার রাত তৈরি করে তিনি আরেকটি নির্বাচন করে নিজে নিজে প্রধানমন্ত্রী ও সরকার গঠন করার পাঁয়তারা করছেন, তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। আদালতের কার্যক্রম এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গায়েবি মামলা দেখে আমরা তা বুঝতে পারছি।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, আমরা নানা দুঃশাসন দেখেছি, এই দেড় দশকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নানা তাণ্ডব দেখেছি। আমরা তাণ্ডব দেখেছি সশস্ত্র যুবলীগ-ছাত্রলীগের। তারা আবরারকে হত্যা করে কিভাবে নৃত্য করেছে। আমরা দেখেছি- ২০০৬ সালে লাশের ওপর নৃত্য করতে। তাদের সেই নৃত্য এখনো থামেনি, এখনো চলছে। তাদের যুবলীগ-ছাত্রলীগ দ্বারা গঠিত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি আরেকটি যুক্ত হয়েছে আদালতের বিচারকরা। তারা আরো নিষ্ঠার সাথে শেখ হাসিনার পৈশাচিক স্বৈরতন্ত্রের স্বপক্ষে নেমে একের পর এক সাজা দিচ্ছে। যেখানেই দেখি হাইকোর্ট জর্জকোট সেখানেই তাদের ছাত্রলীগ যুবলীগের লোক। এই সমাজে কি আর কেউ প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় চান্স পায় না? শুধু তারাই চান্স পাবে? যারা সক্রিয় রাজনীতি করে তারা খুব কম চান্স পায় কিন্তু একটিমাত্র দলের তারা সবাই চান্স পায়।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিসিএস পরীক্ষায় ভেরিফিকেশন গেলে পুলিশ দেখে সেই ছেলেটা আওয়ামী লীগ পরিবারের নাকি। যদি দেখে তার কেউ কোনো আত্মীয় বিএনপি করে, তাহলে সে চান্স পায় না। তাকে ক্যাডার বানানো হয় না। এইজন্য ফ্যাসিস্টদের সাথে জনগণ পেরে ওঠে না।
তিনি বলেন, এই সরকারের পতন ঘটিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে এবং উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।
সংগঠনের সভাপতি জাহানারা খাতুনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবির সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক সিনিয়র সাংবাদিক রুহুল আমীন গাজী, বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা: রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা