প্রস্তাবিত বাজেট শ্রমবান্ধব হয়নি : শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৪ জুন ২০২৩, ২৩:২৭
২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট প্রত্যাখান করে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান বলেছেন, অর্থমন্ত্রীর উত্থাপিত বিশাল বাজেটে শ্রমজীবী মানুষের সাথে মারাত্মক বৈষম্য করা হয়েছে। এ বাজেটকে কোনোভাবেই শ্রমবান্ধব বলা যাবে না।
রোববার (৪ জুন) বিকেলে ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো যৌথ বিবৃতিতে নেতারা এসব কথা বলেন।
নেতারা বলেন, সরকার উন্নয়নের ঢাক-ঢোল পিটিয়ে সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে ফেলেছে। সরকারের উন্নয়ন শ্রমজীবী মানুষের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। সাধারণ জনগণের পেট ও পকেট আজ স্বস্তিতে নেই। একদিকে দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতিতে চলছে। অন্যদিকে কর্মসংস্থানহীন অবস্থায় রয়েছে কোটি কোটি মানুষ। প্রস্তাবিত বাজেটে এ সকল মানুষের জীবন স্বাভাবিক করার কোনো নির্দেশনা নেই। এই কথা দিবালোকের মতো স্পষ্ট দেশের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষদের কোনো গুরুত্ব সরকারের কাছে নেই। যদি থাকতো তার প্রতিফলন বাজেটে থাকতো। অথচ দেশের অর্থনীতির চাকা সচলের জন্য শ্রমজীবী মানুষরা সর্বদা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে অনবরত কষ্ট করে যাচ্ছে। আজ তারাই রাষ্ট্রের দুয়ারে অপ্রয়োজনীয় ও অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে। দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে তাদের অবদানকে তুচ্ছ করে দেখা হচ্ছে।
তারা বলেন, ক্ষমতাসীন সরকারের লোকদের সীমাহীন দুর্নীতি-লুটপাট ও বিদেশে অর্থপাচার, উন্নয়নের নামে অযথা প্রকল্পের নামে রাষ্ট্রীয় অর্থ অপচয় অব্যাহতভাবে চলছে। অন্যদিকে কাগজে কলমের হিসাব দেখিয়ে ধনী-গরিবের মধ্যকার বৈষম্য কম দেখিয়ে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশ দেখানো হচ্ছে। এটি শুভঙ্করের ফাঁকি ছাড়া আর কিছুই না। সরকারের এহেন তৎপরতা দেশের প্রথিতযশা অর্থনীতিবিদ, সুশীল সমাজের পাশাপাশি সাধারণ শ্রমজীবী মানুষদের নির্বাক করে দিয়েছে। ইতোমধ্যে অর্থনীতিবিদরা জানিয়ে দিয়েছেন এই বাজেট যে উচ্চবিলাসী ও ঋণ নির্ভর।
তারা আরো বলেন, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট পেশ করেছেন। এই বিশাল বাজেটে যেসব জিনিসের দাম কমানো হয়েছে তা সাধারণ গরিব মানুষ কিনে না! সাধারণ শ্রমজীবী মানুষের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রসহ শিক্ষা উপকরণের দাম বাড়ানো হয়েছে। এক্ষেত্রে শ্রমিক পরিবারের সন্তানরা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে। সব মিলিয়ে বলা যায় শ্রমজীবী মানুষের এই বাজেটের কোনো মূল্য কাছে নেই। আমরা চাই শ্রমজীবী মানুষ দু’বেলা পরিবার-পরিজন নিয়ে একটু ভালোভাবে খেয়ে বেঁচে থাকুক। এই লক্ষ্যে অর্থমন্ত্রীকে অবশ্যই এই বাজেট সংশোধন করতে হবে। শ্রমজীবী মানুষের জন্য কল্যাণমুখী বাজেট প্রণয়ন করতে হবে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি