২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

আন্দোলন দেখতে হলে সরকারি বাসা ছাড়েন, কাদেরকে আলাল

আন্দোলন দেখতে হলে সরকারি বাসা ছাড়েন, কাদেরকে আলাল - ছবি : সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য সমালোচনা করে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, `ওবায়দুল কাদের ব্যঙ্গ করে বলেছেন, ‘১২ বছর হয়ে গেল আন্দোলন কবে হবে।’ ওবায়দুল কাদের সাহেব আন্দোলন তো আপনাদের ঘরে শুরু হয়েছে টের পাচ্ছেন না? আপনার ভাই কাদের মির্জাই তো আন্দোলন। আপনার আত্মীয় নিক্সন চৌধুরী তো আন্দোলন। আপনার শামীম ওসমানই তো আন্দোলন। আপনার যে এসপি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে মারে, পিটায় সেটাই তো আন্দোলন। আপনাদের যে এমপি স্বাস্থ্য সচিবকে মেরে পুকুরে ফেলে দেয় ওটাইতো আন্দোলন। আর কত আন্দোলন দেখতে চান? আন্দোলন দেখতে হলে সরকারি বাসা ছাড়েন। পুলিশ ব্যারিকেড ছেড়ে রাস্তায় বের হন। দেখেন জনগণ কি আন্দোলন দেখাতে পারে।’

মঙ্গলবার দুপুরে বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, ‘বিএনপির আন্দোলনের ঘোষণা শুনতে শুনতে জনগণও এখন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। বিএনপির আন্দোলনের লক্ষ্য নির্ধারণ করতেই ১২ বছর চলে গেলো, কিন্তু আন্দোলন হবে কোন বছর?’

এদিন বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত মোমবাতি প্রজ্জ্বলন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আলাল এ কথা বলেন।

এসময় সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘সরকার এখন টিকা নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছেন। দেশের সকল জনগণ করোনামুক্ত হোক এটা আমরা চাই। কিন্তু আপনাদের তো সব জায়গায় দুই নম্বরি। মহিলা দলের এক বোন, তার নাম সাদিয়া বিলকিস খান। জাতীয় পরিচয়পত্র বানানোর জন্য তিনি নাম জমা দেন। এই ভুয়া নির্বাচন কমিশন থেকে তার নাম আসলো সাদিয়া বিস্কুট খান। এইতো দেশের অবস্থা। দেশটাকে তো আজ সেই জায়গায় নিয়ে গেছেন।’ তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রী টিকা নিয়েছেন, ভালো কথা। টিকা নিতে তো কেউ নিষেধ করে নাই। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর টিকা নেয়ার সময় দেখলাম যত চামচা-দালাল দাঁড়িয়ে আছে। কোরবানির গরু জবাই করতেও এত মানুষ লাগে না।’

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় আইডল হচ্ছে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এটা প্রতিষ্ঠা করেছে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। বাংলাদেশের মেয়েদের শিক্ষা বাধ্যতামূলক এটা চালু করেছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। আজ সেই নারী-শিশুরা পদে পদে নির্যাতন হচ্ছে, ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। কারণ তাদের পক্ষে কথা বলার মানুষ বেগম খালেদা জিয়ার কথা বন্ধ করা হয়েছে । গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। সুতরাং আজ আমাদের দায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে। বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে নারী ও শিশু ফোরা‌মের যে তাৎপর্য, কর্মসূচি সেগুলো সফল করা।

যুবদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যত অন্যায় অবিচার দুর্নীতি করেছে। এই সমস্ত অন্যায় ও ব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম যে কর্মসূচি নিয়েছে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন। এই মোমবাতি প্রজ্জ্বলন শুধু মোমবাতি নয়। এটা হচ্ছে আন্দোলনের প্রতীক মশাল। এই জ্বলন্ত মশাল দিয়েই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। তারেক রহমানকে দেশে ফেরত আনতে হবে। আর এ যে শেখের বেটি বসে আছে অন্যায়ভাবে, তাকে সেই আসন থেকে নামাতে হবে। এটাই হোক আজকের শপথ।’

আয়োজক সংগঠনের সদস্য মীর সরাফত আলী সপুর সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরীর সঞ্চালনায় মোমবাতি প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ‌সি‌নিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাড. রুহুল ক‌বির রিজভী, যুগ্ম-মহাস‌চিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম প্রমুখ।


আরো সংবাদ



premium cement