২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকীতে থাকছে না জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান

করোনা মোকাবিলায় সরকারের সমন্বয় নেই: মির্জা ফখরুল
ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। - ছবি : নয়া দিগন্ত

আগামী ৩০ মে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৩৯তম শাহাদাতবার্ষিকী। অন্যান্য বছর বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শাহাদাতবার্ষিকী পালন করা হলেও এবার কোনো সমাবেশ বা বড় পরিসরে অনুষ্ঠান থাকছে না।

আজ বুধবার দুপুরে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অনলাইন প্লাটফর্ম জুমের মাধ্যমে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন তিনি। যেখানে বিভিন্ন গণমাধ্যমের রিপোর্টাররা যুক্ত ছিলেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে ৩০ মে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দেশের অন্যান্য দলীয় কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং দলীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। একইদিনে সকাল ১১টায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে শুধু স্থায়ী কমিটির সদস্যবৃন্দ পুস্পস্তবক অর্পণ করবেন।

তিনি বলেন, বিকেল সাড়ে তিনটায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ভার্চুয়াল আলোচনা হবে। যেখানে দেশের বরেণ্য ব্যক্তি ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির কয়েকজন সদস্য বক্তব্য রাখবেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে শহীদ জিয়ার অবদান শীর্ষক মোট ১২টি টপিকস নিয়ে ১০ জুন পর্যন্ত আলোচনা অব্যাহত থাকবে। তাছাড়া প্রতিবছর ঢাকা মহানগরীর থানায় থানায় বিএনপির নেতাকর্মীরা রান্না করা খাবার বিতরণ করতেন। তবে এবার তৈরি খাবার নয় খাদ্যের উপাদান, কাপড় বা নগদ অর্থ সহায়তা করতে পারবেন। কোনোমতেই কোনো জমায়েত বা সমাবেশ করা যাবে না।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, করোনা মোকাবেলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যে নির্দেশনা দিয়েছেন সেটা আমাদের মেনে চলতে হবে। ইতিমধ্যে করোনাভাইরাসে বাংলাদেশী যারা মারা গেছেন তাদেরসহ অন্য সবার রূহের মাগফিরাত কামনা করছি। সেইসাথে আক্রান্তদের আশু সুস্থতা কামনা করছি।

মির্জা ফখরুল বলেন, শহীদ জিয়া বাঙালি জাতিকে একটি বাংলাদেশী জাতি হিসেবে পরিচিতি দিয়েছেন। তিনি অল্প সময়ের মধ্যে দেশবাসীর হৃদয়ে অবস্থান করে নিয়েছেন। তার হাত ধরেই বাংলাদেশে গার্মেন্টস শিল্প প্রতিষ্ঠিত ও সমৃদ্ধশালী হয়েছে। বাংলাদেশের এমন কোনো খাত নেই যেখানে শহীদ জিয়ার হাতের স্পর্শ নেই। তিনি সবক্ষেত্রে উন্নতি সাধন করতে পেরেছিলেন। আমরা তার রূহের মাগফিরাত কামনা করছি।

এসময় শহীদ জিয়ার বিভিন্ন অবদানের কথা তুলে ধরে বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব।

এখন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ ও মোকাবিলায় সরকারের চরম অবহেলা ও সমন্বয়হীনতা রয়েছে। যে কারনে দেশে করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে চলেছে। তারা করোনা মোকাবিলায় লকডাউনের নামে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। ফলে মানুষ ছুটি ভোগ করছে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এখনো কোয়ারেন্টাইনে আছেন।


আরো সংবাদ



premium cement
যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের সাথে বসতে চান পুতিন মাদকের টাকার জন্য মাকে হত্যা! আদানির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভারতীয় অর্থনীতি-রাজনীতিতে যে প্রভাব ফেলবে বিচ্ছেদে খুশি নন সায়রা-রহমান কেউই! তবুও কেন হলো অস্ট্রেলিয়ায় আদিবাসীদের সাথে বর্ণবৈষম্য, আদানির বিরুদ্ধে অভিযোগ মণিপুরে আরো ১০ হাজার জওয়ান পাঠাচ্ছে ভারত সরকার এক-তৃতীয়াংশ ইহুদি-আমেরিকান কিশোর হামাসের প্রতি 'সহানুভূতিসম্পন্ন' সব সংস্কার শেষে নির্বাচনের পক্ষে ৬৫.৯ ভাগ মানুষ সোনার দেশ- এটিই হবে ভবিষ্যতের বাংলাদেশ জুলাই বিপ্লবে আহত বাবুকে নেয়া হচ্ছে থাইল্যান্ড সৈন্যের বিনিময়ে উত্তর কোরিয়াকে ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে রাশিয়া!

সকল