২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তাই এখন তাদের ভরসা

লাইনে দাঁড়িয়ে খাবার নিচ্ছে রূপনগর বস্তিবাসীর লোকজন - ছবি : নয়া দিগন্ত

মিরপুরের রূপনগর বস্তিতে বুধবারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিঃস্ব হয়ে গেছে শত শত পরিবার। পুড়ে যাওয়া ধ্বংসস্তূপে খুঁজে বের ফিরছেন পুড়ে যাওয়া টিন ও বিভিন্ন লোহার আসবাবপত্র।

এসব দরিদ্র মানুষগুলোর এখন মাথা গোজার কোনো ঠাঁই নেই। গেল রাতটি কাটিয়েছেন বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনের বাসায়। আর যাদের ঢাকায় কোনো আত্মীয়-স্বজন নেই, তারা আশেপাশের পরিচিত লোকের বাসায় রাত কাটিয়েছেন।

এমনই একজন নাসিমা বেগম (২৫)। পেশায় গার্মেন্টস কর্মী তিনি। দীর্ঘ দিন যাবৎ এক সন্তান ও স্বামীকে নিয়ে এ বস্তিতে বসবাস করে আসছেন। অগ্নিকাণ্ডে তার ঘরের সব আসবাবপত্র, জামাকাপড়, সহায় সম্বল বলতে যা ছিল সব পুড়ে গেছে। আজ থাকার জন্য ঘর নেই। তাই খাবার জন্য চাল, ডাল কিছুই নেই। সব পুড়ে গেছে। ছাই উল্টে উল্টে খুঁজছেন তার ঘরের পুড়ে যাওয়া স্টিলের খাট আর আলমারি। মনের মধ্যে আশা, আগুনে সব পুড়ে গেলেও স্টিলের জিনিসগুলো হয়ত ভালো থাকতে পারে। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন যে খাবার বিতরণ করছে তা সংগ্রহ করে দুপুরের খাবার সেরেছেন।

সর্বস্ব হারানো নাসিমা বেগম নয়া দিগন্তকে বলেন, থাকার কোনো জায়গা নেই। আসবাবপত্র, জামাকাপড়, চাল, ডাল সব পুড়ে গেছে। কিছুই নেই। রাতে ঘুমানোর জন্য কাঁথা-বালিশও আগুনে পুড়ে গেছে। আপাতত বোনের এক রুমের বাসায় উঠেছি। আজ এখান থেকে কাজ শেষ হলে বাসার খোঁজে বের হব। কোঁথাও অল্প খরচে এক রুমের বাসা পাওয়া যায় কিনা?

 

অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। গতকাল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত বস্তিবাসীদের পানি শুকনা খাবারসহ বিভিন্ন প্রকার খাবার সরবরাহ করেছে স্থানীয় কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। আজ বেলা দেড়টায় দেখা যায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এখানে খিচুড়ি বিতরণ করছে। ক্ষতিগ্রস্তরা লাইন ধরে খিচুড়ি সংগ্রহ করে তাদের দুপুরের ক্ষুধা মেটাচ্ছে।

স্থানীয় বিইউবিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের শিক্ষার্থী রামিসা নয়া দিগন্তকে বলেন, গতকাল অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হওয়ার সাথে সাথে সংবাদে আমাদের ক্লাস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং আমাদের শিক্ষকরা আমাদের নিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের এখানে এসেছেন এবং সহযোগিতা করেছেন। গতকালকে সারাদিন আমরা শুকনো খাবার ও পানি সরবরাহ করেছি। আজও আমরা এখানে শুকনো খাবার ও পানি নিয়ে এসেছি তাদেরকে সহযোগিতা করার জন্য।

মিরপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র ও স্কাউট সদস্য মোহাম্মদ নবিন নয়া দিগন্তকে বলেন, অগ্নিকাণ্ড ঘটার পর গতকাল আমরা এখানে এসেছি এবং আমাদের সাধ্যমত সহযোগিতা করেছি। আজ আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করতে এখানে এসেছি।


আরো সংবাদ



premium cement
এএফপির ২ গাজা যুদ্ধের সংবাদদাতা পুরস্কৃত ইসকনের শুরু যেভাবে, বিতর্কিত যে কারণে ‘জুলাই বিপ্লবে চট্টগ্রামের শহীদ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেবে চসিক’ জয় দিয়ে এশিয়া কাপ মিশন শুরু বাংলাদেশের বাংলাদেশে সংখ্যালঘু পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে ভারত : জয়শঙ্কর আইনজীবী আলিফ হত্যার বিচার ও ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে ঝিনাইদহে হেফাজতের বিক্ষোভ খাগড়াছড়িতে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেফতার চট্টগ্রাম আবাহনীকে হারাল কিংস আওয়ামী লীগের দোসররা ঘাপটি মেরে আছে : আব্দুল হাই শিকদার ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান এরদোগানের চলতি বছর প্রথমবারের মতো সিরিয়ার আলেপ্পো শহরে হামলা চালাচ্ছে বিদ্রোহীরা

সকল