শীতার্তদের পাশে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান শিবির সভাপতির
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২২ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৯:৪৬
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. মোবারক হোসাইন শীতার্তদের সহায়তায় সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়ে বলেছেন, সারা দেশে হাড় কাঁপানো কনকনে শীত নেমেছে। বইছে মৃদু ও মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। একইসাথে বেড়েছে গরিব-দুঃখী মানুষের দুর্ভোগ। শীতের দূর্ভোগ জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলছে। এ অবস্থায় শীতার্তদের এড়িয়ে যাওয়া চরম অমানবিক কাজ হবে। তাই মানবিক আবেদনে সাড়া দিয়ে শীতার্তদের সহায়তায় সরকার, সমাজের বিত্তবানসহ সকলের এগিয়ে আসা জরুরী।
রোববার রাজধানীতে ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সেক্রেটারি জেনারেল সিরাজুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
শিবির সভাপতি বলেন, প্রাকৃতিক নিয়মে ঋতুর পরিবর্তনে প্রতিবছর শীতকাল আসে। কিন্তু শীত এলেই দেশের হতদরিদ্র মানুষ অমানবিক কষ্ট ভোগ করে। বর্তমানে প্রচণ্ড শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ। শীতবস্ত্রের অভাবে দরিদ্রদের ভোগান্তি সীমাহীন। যা প্রায় প্রতি বছরেরই নিয়মিত চিত্র। চলতি শীতে শীতার্ত মানুষের প্রতি সমাজের সামর্থ্যবান ও বিত্তশালীদের সাহায্য এবং সহানুভূতির হাত সম্প্রসারিত করা জরুরী। পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র সরবরাহ করে সাধ্যমতো শীতার্তদের পাশে এসে দাঁড়ানো দরকার। নিঃস্বার্থভাবে বিপদগ্রস্থ মানুষের সাহায্য ও সেবায় এগিয়ে আসা এখন সমাজের চাহিদা। এ কাজের জন্য নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পরকালিন পুরস্কার প্রাপ্তির কথা ঘোষণা করেছেন। রাসুল সা. বলেছেন, ‘‘এক মুসলমান অন্য মুসলমানকে কাপড় দান করলে আল্লাহ তাকে জান্নাতের পোশাক দান করবেন। ক্ষুধার্ত অবস্থায় খাদ্য দান করলে আল্লাহ তাকে জান্নাতের সুস্বাদু ফল দান করবেন। কোনো মুসলমানকে তৃষ্ণার্ত অবস্থায় পানি পান করালে আল্লাহ তাকে জান্নাতের সিলমোহরকৃত পাত্র থেকে পবিত্র পানি পান করাবেন”। (সুনানে আবু দাউদ)।
তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে শীতার্ত মানুষের করুন চিত্র তুলে ধরা হচ্ছে। কিন্তু সরকার দূর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুতি ও সক্ষমতার কথা বললেও শীতার্তদের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। যা অনাকাঙ্খিত ও অমানবিক। এ অবস্থায় অন্যের দিকে তাকিয়ে থাকা অর্থহীন। সুতরাং যার যার অবস্থান থেকে শীতার্তদের পাশে দাঁড়ানো প্রতিটি মনুষত্ববোধ সম্পন্ন মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। ছাত্রশিবির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সাধ্য অনুযায়ী অসহায় দরিদ্রদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছে। শীতার্ত মানুষের শীত লাঘব ও তাদের সহযোগিতার জন্য নেতাকর্মীদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাতে হবে। প্রত্যেক জনশক্তিকে শীতার্তদের মাঝে কমপক্ষে একটি করে শীতবস্ত্র বিতরণ করতে হবে। যদিও তা পর্যাপ্ত নয় তবুও সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধ থেকে ছাত্রশিবির দুস্থদের পাশে দাঁড়াতে চেষ্টা করেছে এবং এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ। আমরা ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীসহ সমাজের প্রতিটি শ্রেণী-পেশার মানুষ এবং সরকারকে অসহায়, দুস্থ মানুষের শীতের কষ্ট লাঘবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।
শিবির সভাপতি শীতার্ত মানুষদের জন্য আল্লাহর রহমত কামনা ও দোয়া করে বক্তব্য সমাপ্ত করেন।