দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বেই সংগঠন দুর্বল হয়েছে : জিএম কাদের
- বিশেষ সংবাদদাতা
- ০৭ ডিসেম্বর ২০১৯, ২০:৫৯, আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০১৯, ২১:৪৯
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলের উপনেতা জিএম কাদের এমপি বলেছেন, নব্বই পরবর্তী থেকেই জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। আমরা অনেক ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে এসেছি। বাহিরের ষড়যন্ত্র আমাদের দমাতে পারেনি। কিন্তু অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব আমাদের পার্টিকে দূর্বল করে দিয়েছে। তিনি সকল ষড়যন্ত্র থেকে দলকে রক্ষা করতে পার্টির নেতা-কর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারর্স ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বলেন বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টি কেন্দ্রীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ও সংগঠনের সভাপতি লিযাকত হোসেন খোকা এমপির সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব বেলাল হোসেনের সঞ্চালনায় সম্মেলনে আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ।
বক্তব্য রাখেন জাপা মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি, প্রেসিডিযাম সদস্য জিয়াউদ্দিন বাবলু, গোলাম কিবরিয়া টিপু এমপি, এস.এম ফয়সল চিশতী, এড. রেজাউল ইসলাম ভুইয়া, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, আবু সাঈদ স্বপন প্রমুখ। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আলমগীর সিকদার লোটন, আলহাজ্ব আব্দুস সাত্তার মিয়া, নাজমা আক্তার এমপি, সংসদ সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজী, পীর ফজলুর রহমান মেজবাহ্, আহসান আদেলুর রহমান আদেল, উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য- এড. জিয়াউল হক মৃধা, ড. নূরুল আজহার শামীম, ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইকবাল হোসেন রাজু, জহিরুল ইসলাম জহির, মোঃ আরিফুর রহমান খান, হেনা খান পন্নি, সরদার শাহজাহান, শফিকুল ইসলাম শফিক, মোস্তফা আল মাহমুদ, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, শেখ আলমগীর হোসেন, নুরুল ইসলাম ওমর, আমির উদ্দিন আহমেদ ডালু, সুলতান আহমেদ সেলিম, এড. শাহিদা রহমান রিংকু, কেন্দ্রীয় নেতা বীরমুক্তিযোদ্ধা ইসহাক ভুইয়া, মোবারক হোসেন আজাদ, ফকরুল আহসান শাহজাদা, আমির হোসেন ভুইয়া, হারুন অর রশীদ, আব্দুল হামিদ ভাষানী, সুলতান মাহমুদ, এমএ রাজ্জাক খান, শারমিন পারভীন লিজা, সৈয়দা পারভীন তারেক, জাতীয় ছাত্র সমাজের সভাপতি ইব্রাহীম খান জুয়েল প্রমুখ।
সম্মেলন উপলক্ষে বর্ণিল সাজে সাজানো হয় ইঞ্জিনিয়ারিং ইনিষ্টিউট প্রাঙ্গণ। সকাল এগারটার সময় ঘোড়ার গাড়ি বহর নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে পৌছান জিএম কাদের। এরপর সংগঠনের আহবাযক লিযাকত হোসেন খোকা ও সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেনকে দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তেলন করে সম্মেলন উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে দলীয় ও জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। অনুষ্ঠানে সকল ডেলিগেট ও কাউন্সিলদের হলুদ গেঞ্জি ও মহিলাদের হলুদ কাপড় সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। সম্মেলনে আগত সকলকে একটি করে মগ উপহার দেয়া হয়। সম্মেলনে প্রায় পাচ সহস্রাধিক ডেলিগেট উপস্থিত ছিলেন।
জিএম কাদের বলেন, জাতীয় পার্টি দেশ ও জনসাধারনের দায়িত্ব গ্রহণ করতে প্রস্তুত আছে। দেশের মানুষ জাতীয় পার্টিকে আরো শক্তিশালী রাজনৈতিক প্লাটফর্ম হিসেবে দেখতে চায়। ৯০ সাল পর্যন্ত জাতীয় পার্টি দেশের প্রধান রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে ছিলো। কিন্তু ৯১ সালের পর থেকে জুলুম-নির্যাতন আর হামলা-মামলা দিয়ে জাতীয় পার্টিকে দুর্বল করতে পারেনি। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পরেই জাতীয় পার্টি তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তি। বিএনপি নেতৃত্ব সংকটে বিলিন হতে পারে। সেক্ষেত্রে জাতীয় পার্টিই একমাত্র বিকল্প শক্তি হিসেবে সাধারন মানুষের সামনে রয়েছে। তাই দেশের মানুষ অনেক আশা নিয়ে জাতীয় পার্টির দিকে তাকিয়ে আছে।
জিএম কাদের বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে জাতীয় পার্টি তিন নাম্বার দল। প্রথম শক্তিশালী দল হচ্ছে আওয়ামী লীগ। দুই নাম্বার দল বিএনপি হলেও জেলে থেকে আর দেশের বাইরে থেকে দল চালাতে হিমশিম খাচ্ছে। তারা ধীরে ধীরে তাদের সাংগঠনিক শক্তি পিছনের দিকে যাচ্ছে। এ অবস্থায় তারা নেতৃত্ব সংকটে পরতে পারে। সার্বিক বিবেচনায় জাতীয় পার্টি এখন ভালো অবস্থায় আছে। কারণ এরশাদের সুশাসনের কথা মানুষ ভূলেনি। তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, জাতীয় পার্টি কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি না। এটা সবার। সবাইকে নেতৃত্বের প্রতি অনুগত্য থাকতে হবে। নিজেরা নিজেদের ধ্বংস না করলে কেউ আমাদের ধ্বংস করতে পারবেনা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা