এরশাদের কবরের জন্য ৫ কোটি টাকা দেয়ার ঘোষণা মামুনের
- বিশেষ সংবাদদাতা
- ০৪ জুলাই ২০১৯, ১৩:০১
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কবরস্থানের জায়গা কেনার জন্য পাঁচ কোটি টাকা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী মামুনুর রশিদ।
গতকাল বুধবার বেলা ৩টা থেকে শুরু হয়ে আড়াই ঘণ্টাব্যাপী জাপার প্রেসিডিয়াম ও সংসদ সদস্যদের যৌথসভায় এরশাদের সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা ও এরশাদের কবরস্থান কোথায় হবে তা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জাপার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। সভায় জাপার ৩৮ জন প্রেসিডিয়াম ও সংসদ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
সভায় দেশের বাইরে থেকে ভালো চিকিৎসক আনা যায় কি না তা নিয়েও আলোচনা হয়।
এর আগে বেলা ১টায় এক প্রেসব্রিফিংয়ে জি এম কাদের জানান, এরশাদের শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে উন্নত হয়েছে। বুধবার সকালে আমি সিএমএইচে গিয়েছিলাম। তিনি আমার কণ্ঠ শুনে চোখ ও হাত নাড়িয়েছেন।
বিকেলে জাপার যৌথসভার বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, সভায় উপস্থিত অধিকাংশ নেতারা এরশাদের কবরস্থান নিজস্ব কেনা জায়গায় পাবলিক প্লেসে করার পক্ষে মতামত দেন। যদিও কয়েকজন প্রেসিডিয়াম দাবি করেন, এরশাদ সেনানিবাস অথবা আসাদ গেটের বিপরীতে সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে তার কবরের কথা বলেছেন। সভায় পার্টির নেতারা এর বিরোধিতা করে বলেন, এরশাদ দেশের ১৭ কোটি মানুষের নেতা। তার কবরস্থান যদি সেনানিবাসে হয় তাহলে সাধারণ মানুষ তার কবরস্থান জিয়ারত করতে যেতে পারবেন না।
সূত্র জানায়, সভায় জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, সফিকুল ইসলাম সেন্টু মোহাম্মদপুর আদাবরে কবরস্থান কেনার প্রস্তাব দেন। কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘আদাবর না পাওয়া গেলে সাভারে আমার নিজস্ব জায়গা থেকে দুই বিঘা জায়গা এরশাদের কবরস্থানের জন্য লিখে দেয়া যেতে পারে। এরপর প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী মামুনুর রশিদ পাবলিক প্লেসে এরশাদের কবরস্থান করার দাবি জানিয়ে বলেন, নেতা এরশাদের কবরস্থানের জন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে পাঁচ কোটি টাকা দেবো। তিনি বলেন, স্যারকে যদি চিকিৎসার প্রয়োজনে বিদেশে নেয়া হয়, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের যাবতীয় খরচও আমি বহন করব।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- এম এ সাত্তার, সাহিদুর রহমান টেপা, শেখ মুহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম, সুনীল শুভ রায়, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, এটিইউ তাজ রহমান, আজম খান প্রমুখ।
সভা শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, এরশাদের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। এরশাদ মূলত মাইলিড প্লাস্টিক সিনডম রোগে আক্রান্ত। সভায় বাইরে থেকে চিকিৎসক আনার বিষয়েও আলোচনা হয় বলেও জানান।
এদিকে, আজ বৃহস্পতিবার এরশাদের ভাই ও পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জি এম কাদের জানিয়েছেন, এরশাদের শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত, বিদেশে নেয়ার অবস্থা নেই। তবে উন্নতির আশা রয়েছে।
গত ২২ জুন বারিধারার প্রেসিডেন্ট পার্কের বাসভবনে অসুস্থ হয়ে পড়লে এরশাদকে দ্রুত সিএমএইচে নেয়া হয়। বর্তমানে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন আছেন।