২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমা চাইতে হবে : ছাত্রশিবির

- ছবি : সংগৃহীত

সম্প্রীতি বাংলাদেশ নামের সংগঠন কর্তৃক দাড়ি রাখা ও টাখনুর উপর কাপড় পরিধানসহ ইসলামের বেশ কিছু মৌলিক বিধানকে ‘জঙ্গিবাদের (সন্ত্রাসবাদ)’ লক্ষণ হিসেবে চিহ্নিত করে বিজ্ঞাপন ও প্রচারণার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। মঙ্গলবার এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. মোবারক হোসাইন ও সেক্রেটারি জেনারেল মোঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই, জঙ্গিবাদকে পুঁজি করে ইসলামবিরোধী কোন ষড়যন্ত্র দেশবাসী মেনে নিবে না। ইসলাম নিয়ে দৃষ্টতাপূর্ণ আচরণের জন্য পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমা চাইতে হবে।
যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, গত ৭ মে রোববার দেশের প্রায় প্রতিটি জাতীয় দৈনিকে সন্দেহভাজন ‘জঙ্গি সদস্য’ সনাক্তকরণের ২৩টি উপায় জানিয়ে প্রচারণা ও বিজ্ঞাপন দিয়েছে সংগঠনটির আহ্বায়ক অভিনেতা পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়। পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় তার প্রচারণা ও বিজ্ঞাপনটিতে সন্দেহভাজন ‘জঙ্গি’ চেনার যে বৈশিষ্ট্যগুলো উল্লেখ করেছেন তার মধ্যে কয়েকটি হচ্ছে-ধর্মীয় বিষয়ে পড়াশুনা বৃদ্ধি, ধর্মীয় উপদেশমূলক কথাবার্তা বলা, ইসলামী শাসনব্যবস্থা, শরীয়া আইনে আগ্রহ প্রকাশ করা, ধর্মচর্চার প্রতি ঝোঁক, দাড়ি রাখা ও টাখনুর উপর কাপড় পরিধানসহ কিছু মৌলিক ইসলামী অনুশাসনের বিষয়।
নেতৃবৃন্দ বলেন, এগুলো সুষ্পষ্টভাবে ইসলামের মৌলিক বিষয় এবং এ বিষয়গুলোকে তাচ্ছিল্য করা মানে সরাসরি ইসলামকে অবমাননা করা। ইসলামের এ বিষয়গুলো কোনভাবেই জঙ্গিবাদকে উৎসাহিত করে না বরং সঠিকভাবে ইসলাম চর্চার মাধ্যমে জঙ্গিবাদ থেকে যুব সমাজকে দূরে রাখা সম্ভবপর হয়। প্রকৃত ইসলাম চর্চার সাথে জঙ্গিবাদের কোন সম্পর্ক নেই। এদেশের ইসলাম প্রিয় ছাত্রজনতা এ মৌলিক বিষয়গুলো মেনে চলেন এবং একইসাথে তারা জঙ্গিবাদকেও ঘৃণা করেন। মূলত জঙ্গিবাদকে পুঁজি করে ইসলামী অনুশাসন থেকে যুব সমাজকে দূরে রাখতেই সুপরিকল্পিতভাবে উদ্দেশ্যমূলক এসব প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এটি পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞতা অথবা বিদ্বেষের প্রতিফলন। এই উদ্যোগ যে ইসলামী মূল্যবোধকে ধ্বংস করার সুস্পষ্ট ষড়যন্ত্র, তাতে কোন সন্দেহ নেই। এই ষড়যন্ত্রমূলক উদ্যোগ সম্প্রীতি রক্ষা করবে না বরং বিনষ্ট করবে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সঠিকভাবে ইসলামের চর্চা ও বাস্তব জীবনে ইসলামের অনুসরণই জঙ্গিবাদ থেকে যুব সমাজকে মুক্ত রাখতে পারে। কিন্তু পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই দায়িত্বহীন কর্মকাণ্ড প্রকৃতপক্ষে উস্কানিমূলক। এ বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা প্রতিটি ধর্মপ্রাণ মুসলমানের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ করেছে। বাংলার ইসলামপ্রিয় ছাত্রজনতা ইসলামবিরোধী ষড়যন্ত্র কোনভাবেই মেনে নিবে না। আমরা অবিলম্বে এই কাণ্ডজ্ঞানহীন প্রচারণা বন্ধের দাবী জানাচ্ছি। একইসাথে ইসলাম নিয়ে দৃষ্টতাপূর্ণ আচরণের জন্য পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমা চাইতে হবে। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই, জঙ্গিবাদকে পুঁজি করে ইসলামবিরোধী কোন ষড়যন্ত্র দেশবাসী মেনে নিবে না।


আরো সংবাদ



premium cement