ডাকসু নির্বাচন : ভিসির কার্যালয়ের সামনে ছাত্রদলের অবস্থান
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১২:২১, আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১২:২৭
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন নির্বাচন তিন মাস পেছানো ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সহাবস্থান নিশ্চিত করার দাবিতে ভিসির কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ৭ দফা দাবিতে আজ রোববার দুপুর ১২টা থেকে এই অবস্থান কর্মসূচিতে শুরু হয়েছে। এতে অংশ নিয়েছেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা আকরামুল হাসান, আসাদুজ্জামান আসাদ, এজমল হোসেন পাইলট, নাজমুল হাসান, জহিরুল ইসলাম বিপ্লব, আবু আতিক আল হাসান মিন্টু, নূরুল হুদা বাবু, করিম সরকার, মিনহাজুল ইসলাম ভুঁইয়া, আল মেহেদী তালুকদার, বাশার সিদ্দিকী, মেহবুব মাসুম শান্ত, মফিজুর রহমান আশিক, ঢাবি ছাত্রদলের হাফিজুর রহমান, আমিনুর রশিদ আমিনসহ ঢাবি ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
অবস্থান কর্মসূচিতে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিচ্ছেন।
এর আগে গতকাল শনিবার সকাল ১১টায় নয়াপল্টনস্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মনোনয়নের আবেদন ফরম বিতরণ শুরু করে ছাত্রদল। এই আবেদন ফরম বিতরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সভাপতিত্ব করেন ছাত্রদলের সভাপতি রাজিব আহসান এবং সভা পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান।
ফরম বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশারফ হোসেন, সাবেক ছাত্রনেতা রকিবুল ইসলাম বকুল, বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিম, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ওমর ফারুক সাফিনসহ ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
উদ্বোধনী বক্তব্যে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেশের ঐতিহ্যবাহী সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ। ’৫২’র ভাষা আন্দোলনের সোপান বেয়ে স্বাধীকারের আন্দোলন ’৬৯’র গণঅভ্যুত্থান এবং ’৭১’র মুক্তিযুদ্ধে দেশমাতৃকার স্বাধীনতা অর্জনে ডাকসু ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের অবদান গৌরবমন্ডিত। গণতন্ত্র হত্যাকারী ’৮০’র দশকের স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক আন্দোলনের নেতৃত্বেই ছিল এই ছাত্রসমাজ।
তিনি বলেন, দীর্ঘকাল পর দেশব্যাপী গণতন্ত্রের এক মূমুর্ষ পরিস্থিতিতে আগামী ১১ মার্চ ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, তবে অবৈধ শাসকগোষ্ঠী এই ডাকসু নির্বাচন নিয়ে কি নকশা করে রেখেছে তা এই মুহূর্তে বলা মুশকিল। কারণ গণতন্ত্রকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করতে আমরা ২৯ ডিসেম্বর রাতের নির্বাচন দেখেছি। তবে জাতির সকল আন্দোলন-সংগ্রামের অগ্রদূত হিসেবে ছাত্রসমাজের ঐতিহাসিক ভূমিকার পথ ধরেই জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল গণতন্ত্রের বন্ধ দরজা অর্গলমুক্ত করতেই সকল শক্তি দিয়ে এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। আলোকিত তারুণ্যের শক্তিকে কখনোই অন্ধ দানবীয় শক্তি দমন করতে পারেনি। ছাত্ররা সবসময়ই সত্যের পক্ষে ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে জনগোষ্ঠীর এক আপসহীন শক্তি। স্বৈরশাহী’র নিপীড়নযন্ত্রের ছোবল সত্ত্বেও ছাত্রসমাজকে নতজানু করা সম্ভব হয়নি। বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েই ছাত্ররা জনগণের সকল অধিকার আদায়ে ছিল অগ্রণী।
১১ মার্চ ডাকসু নির্বাচনে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা দুঃশাসনের বিরুদ্ধে নিরন্তর লড়াইয়ে লিপ্ত জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলকেই সমর্থন দিবে বলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ডাকসু নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও সুষ্ঠু করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ছাত্র সংগঠনের সহাবস্থান নিশ্চিত করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানান রিজভী।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা