আবার যখন শুরু হলো, তখন নিজেরটা ছাড়িনি : দীপু মনি
- শরীফ চৌধুরী, চাঁদপুর
- ১০ জানুয়ারি ২০১৯, ১৮:০০, আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০১৯, ১৯:১২
৫০ জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছে চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের। এই কলেজ স্থাপনে নিজের অবদানের কথা তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, আমি যখন যেখানে গেছি, চাঁদপুরবাসী জানতে চেয়েছিল মেডিকেল কলেজ করবেন কিনা। আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। যখন আবার মেডিকেল কলেজ অনুমতি দেয়া শুরু হলো, তখন নিজেরটা ছাড়েনি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের প্রথম বর্ষের এমবিবিএস কোর্সের শিক্ষার্থীদের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠানে দীপু মনি এসব কথা বলেন।
বিগত দিনে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া সম্পর্কে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের যত বেশি চাহিদা থাকে সেটি বের করার জন্য যারা অসদুপায় অবলম্বন করে তারা ফাঁকফোকর খুঁজে বের করার চেষ্টা করে। আমাদের দায়িত্ব, এটি যাতে কোনোভাবেই না হয় এবং এক্ষেত্রে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিরাট ভূমিকা রাখতে পারেন। যে কোনো মূল্যে প্রশ্ন ফাঁস বন্ধ করা এবং এ কাজে যারা অতীতে জড়িত ছিল এবং সামনে যদি চেষ্টা করে তাদেরকে আইনের আওতায় যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে তিনি বলেন, ১০ জানুয়ারি বীরের জাতীর যাত্রা শুরু হয়েছিলো। লক্ষকোটি মানুষ প্রিয় নেতাকে কাছে পেয়েছে সেদিন। মহান মুক্তিযদ্ধে ৩০ লাখ মানুষ আত্মদান করেছিলো, ২ লাখ মা বোন ইজ্জত দিয়ে ছিলো, ১ কোটি মানুষ ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলো আর সাড়ে ৩০ লক্ষ মানুষ দেশে বাস্তুহারা হয়েছিলো।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে দীপু মনি বলেন, মেডিকেল কলেজের পড়াশুনা খুবই কষ্টের। তোমরা এখানে পড়াশুনা করে অনেক কিছুই মনে আসবে, কেনো এখানে পড়তে আসলাম। কিন্তু এখান থেকে তোমরা যখন পাশ করে বের হবে, তখন মনে করবে অনেক কিছুই অর্জন করেছো। সেবা প্রদান করার যে তিপ্তি তোমরা তখনই বুঝতে, যখন ডাক্তার হয়ে সেবা প্রদান করবে।
আমি তোমাদেরকে বলবো ভালো ডাক্তার হওয়া অবশ্যই প্রয়োজন। তার চাইতে বড় প্রয়োজন ভালো মানুষ হওয়া। ক্লাসের বাইরেও একটি জগত আছে, সেই সম্পর্কেও তোমাদের জানতে হবে। মনটাকে খেলা রাখতে হবে। শেখার কোন শেষ নেই। সারাদিন শিকতে হবে, সারাদিন জানতে হবে। আমরা সবাই সবার জন্য। আমরা ভালো মানুষও হওয়াটে গুরুত্ব দিতে হবে।
এটা হলে সবকিছুই সফল ভাবে অর্জন করতে পারবো। জীবনের কোন কিছু রাজনীতির উদ্ধে কিংবা রাজনীতির বাইরে নয়। এখানে রাজনৈতিকমুক্ত মেডিকেল হবে সেটি নয়, এখানে রাজনৈতিক হানাহানিমুক্ত মেডিকেল কলেজ হবে। চাঁদপুর শহর একটি শান্তিপূর্ণ শহর। আমাদের সংবিধানের বাইরে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই।
চাঁদপুরে এই প্রথম চালু হওয়া মেডিকেল কলেজের প্রথম বর্ষের কোর্সে ৫০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে ক্লাশ শুরু হলো। যা বর্তমানে আড়াইশ’ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে অস্থায়ী ক্যাম্পাসে চলমান রয়েছে। চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. জামান সালাউদ্দিনের সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য রাখেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, সহ-সভাপতি ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু, জেলা বিএমএ এর সভাপতি ডা. সৈয়দ এম এন হুদা, সাধারণ সম্পাদক ডা. মাহমুদুন নবী মাসুম।
অভিভাবকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম আনোয়ারা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. রিদওয়ানুল হক, চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন লামিয়া নওরিন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা