সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগ ভিত্তিহীন : জামায়াত
- বিজ্ঞপ্তি
- ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮, ২২:০৫
ঝিনাইদহ-৩ আসনে ২০ দলীয় জোটের মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী অধ্যাপক মতিয়ার রহমানকে তার স্ত্রীসহ ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা এবং সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগকে ভিত্তিহীন মিথ্যা আখ্যায়িত করে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর এবং সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান।
এক বিবৃতিতে বলেন, ফ্যাসিবাদী সরকার নির্বাচন বানচালের যে ষড়যন্ত্র করছে তার অংশ হিসেবেই ২৬ ডিসেম্বর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঝিনাইদহ-৩ আসনে ২০ দলীয় জোটের মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের জাতীয় সংসদ সদস্য পদ প্রার্থী অধ্যাপক মতিয়ার রহমানকে তার স্ত্রীসহ অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করেছে এবং আওয়ামী লীগের নেতারা জামায়াত ও এর নেতাদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীকে জড়িয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, অধ্যাপক মতিয়ার রহমান একজন অত্যন্ত জনপ্রিয় নেতা। তার জনপ্রিয়তায় ভীত হয়েই সরকার তাকে তার স্ত্রীসহ অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে তার আসনটি দলীয়ভাবে দখল করার চক্রান্ত করছে। সরকার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বেআইনীভাবে ব্যবহার করে ধানের শীষ প্রতীকের পদ প্রার্থীদের একদিকে গ্রেফতার করছে। অন্যদিকে প্রার্থীদের উপর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা ঐক্যবদ্ধভাবে হামলা করে তাদের হত্যার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
শুধু তাই নয়, আওয়ামী লীগ তাদের সমর্থক সংবাদপত্র ও মিডিয়ায় জামায়াতে ইসলামীসহ ২০ দলীয় জোটের এবং সকল বিরোধী দলের বিরুদ্ধে ঘৃণ্য অপপ্রচার চালাচ্ছে। তাদের লক্ষ্য ২০ দলীয় জোটসহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলোকে নির্বাচন বর্জনে বাধ্য করা। তাদের এ ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই আওয়ামী লীগের নেতারা গত ২৫ ডিসেম্বর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে ‘পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই’র সহায়তায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করতে বড় ধরনের সহিংসতা করার ষড়যন্ত্র করার ও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অপপ্রচারের’ ভিত্তিহীন মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপন করেছে। তাদের এ অভিযোগের মধ্যে সত্যের লেশমাত্রও নেই।
এছাড়াও সিরাজগঞ্জ-৪ আসনে ২০ দলীয় জোটের মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের জাতীয় সংসদ সদস্য পদ প্রার্থী মাওলানা রফিকুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে ২৫ ডিসেম্বর টিভি চ্যানেল ৭১-এর একটি টকশোতে ভিত্তিহীন মিথ্যা বক্তব্য প্রচার করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতাদের বক্তব্যের জবাবে আমি স্পষ্ট ভাষায় জানাতে চাই যে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাথে পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই’র কোন সম্পর্ক নেই।
অধ্যাপক মুজিব বলেন, সেনাবাহিনী কিংবা সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে জামায়াতের অপপ্রচারের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন মিথ্যা। সিরাজগঞ্জ-৪ আসনের ধানের শীষ প্রতীকের জাতীয় সংসদ সদস্য পদ প্রার্থী মাওলানা রফিকুল ইসলাম খানের জনপ্রিয়তায় ভীত ও বিচলিত হয়েই তার বিরুদ্ধে টিভি চ্যানেল ৭১-এর টকশোতে নাশকতায় জড়িত থাকার মিথ্যা অভিাযাগ করে পানি ঘোলা করছে এবং ভিত্তিহীন মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে ঘায়েল করার ষড়যন্ত্র করছে। তাদের এসব মিথ্যা প্রচারণা দেশের জনগণ বিশ্বাস করে না।
জামায়াতের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন মিথ্যা অপপ্রচার বন্ধ করে এবং ২০ দলীয় জোটের ধানের শীষ প্রতীকের জাতীয় সংসদ সদস্য পদ প্রার্থী অধ্যাপক মতিয়ার রহমানকে স্ত্রীসহ এবং ২০ দলীয় জোট ও অন্যান্য বিরোধী দলের গ্রেফতারকৃত নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দিয়ে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
শামীম ওসমানের অভিযোগ ভিত্তিহীন : আওয়ামী লীগের নারায়ণগঞ্জের নেতা একেএম শামীম ওসমান গত ২৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপন করেছেন দাবি করে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, গত ২৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগের নেতা একেএম শামীম ওসমান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে নাশকতা করার যে আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন তার কোন ভিত্তি নেই। জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে লক্ষ্য করে তার এ অমূলক আশঙ্কার আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
একেএম শামীম ওসমানের বক্তব্যের জবাবে আমি স্পষ্ট ভাষায় জানাতে চাই যে, পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই’র সাথে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের কোন সম্পর্ক নেই, এ কথা আমরা বারবার বলা সত্ত্বেও পুনরায় এ ধরনের মিথ্যাচার করা অত্যন্ত দুঃখজনক। জামায়াতের বিরুদ্ধে প্রদত্ত আওয়ামী লীগের নেতাদের মিথ্যা বক্তব্য সরকারের সমর্থক সংবাদপত্রগুলো আগ্রহের সাথে প্রচার করে। কিন্তু জামায়াতের পক্ষ থেকে ঐ সব মিথ্যা বক্তব্যের প্রতিবাদ জানানো সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট পত্রিকাগুলো তা ছাপে না।
এতেই বুঝা যায় যে, জামায়াতে ইসলামীকে রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার হীন উদ্দেশ্যেই এ ধরনের মিথ্যাচার করা হচ্ছে। জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে এ ধরনের ভিত্তিহীন মিথ্যা প্রচারণা চালানো থেকে বিরত থাকার জন্য তিনি একেএম শামীম ওসমানের প্রতি আহ্বান জানান। বিজ্ঞপ্তি।