৩১ আগস্ট ২০২৪, ১৬ ভাদ্র ১৪৩১, ২৫ সফর ১৪৪৬
`

যে কারনে প্রধানমন্ত্রীকে ‘কওমী জননী’ উপাধি দেয়া হল

গোপালগঞ্জের গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসার মহাপরিচালক মুফতি রুহুল আমীন ‘কওমী জননী’ ঘোষণা দেন। তিনি নড়াইল থেকে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী। - ছবি: সংগৃহীত

দেশের কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক আলেম-ওলামাদের ‘শোকরানা মাহফিল’ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘কওমি জননী’ উপাধি দিয়েছেন একজন আলেম। রোববার দুপুরে কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি’আতিল কওমিয়া বাংলাদেশের শোকরানা মাহফিলে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী।

এই মাহফিলেই প্রধানমন্ত্রীকে কওমি জননী উপাধিতে ভূষিত করেন কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড গওহরডাঙ্গার চেয়ারম্যান ও গোপালগঞ্জের গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসার মহাপরিচালক মুফতি রুহুল আমীন।

গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসার মহাপরিচালক বলেন, “এই ১৪ লাখ শিক্ষার্থীর জননীর ভূমিকা আপনি পালন করেছেন। আজকে আমি এই মহা কওমি সমুদ্রে ঘোষণা করতে চাই—কওমি জননী এই উপাধি দিলাম। আপনি কওমি জননী। আপনার এই মাতৃত্বে ভমিকা, মায়ের ভূমিকা না থাকলে এই দেশের বিরোধী যারা আছে, সাহাবাদের শত্রু, বাংলাদেশের শত্রু এই জামায়াত-মওদুদিবাদীরা এ দেশে হতে দিত না।’

মাওলানা মুফতি রুহুল আমীন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইল ১ আসন থেকে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী। তিনি সেখানে নির্বাচনী প্রচারণাও চালিয়েছেন।

শোকরানা মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন হেফাজতে ইসলামের আমির ও চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফী।

কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিসের সনদকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রির স্বীকৃতি দিয়ে সংসদে আইন পাস হওয়ায় এই ‘শোকরানা মাহফিল’-এর আয়োজন করা হয়েছে।

 

আরো পড়ুন : শেখ হাসিনার নতুন উপাধি ‘কওমী জননী’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ০৪ নভেম্বর ২০১৮


দেশের কওমী মাদরাসার আলেমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘কওমী জননী’ উপাধিতে ভূষিত করেছে।

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘শোকরানা মাহফিল’ থেকে এ উপাধী দেয়া হয়। শোকরানা মাহফিলে সারা দেশ থেকে কওমী মাদরাসার ছাত্র ও আলেমরা উপস্থিত হয়েছেন। সকাল ৯টায় পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে মাহফিল শুরু হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভাপতিত্ব করছেন হেফাজতে ইসলামের আমির ও চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক মাওলানা শাহ আহমদ শফী।


আরো পড়ুন : শোকরানা মাহফিলের মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী

নয়া দিগন্ত অনলাইন , ০৪ নভেম্বর ২০১৮


কওমী আলেমদের উদ্দ্যেগে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘শোকরানা মাহফিল’ শুরু হয়েছে। সকাল ৯টায় পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয়।

কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি’আতিল কওমিয়া বাংলাদেশের উদ্যোগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘শোকরানা মাহফিল’ শুরু হয়েছে। আজ রোববার সকাল ৯টায় পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে মাহফিল শুরু হয়। এর আগে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত কওমী মাদরাসার আলেম ও ছাত্ররা মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে উপস্থিত হন।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভাপতিত্ব করছেন হেফাজতে ইসলামের আমির ও চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক মাওলানা শাহ আহমদ শফী।

শোকরানা মাহফিলের সভাপতি মাওলানা শাহ আহমদ শফী ১০:৪৫ মিনিটে মঞ্চে উপস্থিত হন। এর কিছুক্ষণ পরই মাহফিলের প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত হন। এরপর প্রধানমন্ত্রী আহমাদ শফীর সাথে কুশল বিনিময় করেন। এছাড়া সরকারের শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল ও নৌমন্ত্রী শাহজাহান খান উপস্থিত আছেন।

কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিসের সনদকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রির স্বীকৃতি দিয়ে সংসদে আইন পাস হওয়ায় এই ‘শোকরানা মাহফিল’-এর আয়োজন করা হয়েছে।

ঢাকাসহ সারা দেশের কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বাস, ট্রেন, লঞ্চে করে ভোর থেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে রওনা দিয়েছেন। রাজধানীর মিরপুর, ফার্মগেট, মোহাম্মদপুর, গুলিস্তান, শাহবাগসহ বিভিন্ন জায়গায় মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শোকরানা মাহফিলে অংশ নিতে যেতে দেখা গেছে। টিএসসি ও মাজারগেট দিয়ে মাহফিল স্থানে প্রবেশ করছেন সারা দেশ থেকে আসা বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান উপলক্ষে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। থানা পুলিশ, মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি), সাদা পোশাকের গোয়েন্দা পুলিশ ছাড়াও আয়োজক আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি’আতিল কওমিয়া বাংলাদেশের স্বেচ্ছাসেবীরা নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছেন।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও এর চারপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও এপিবিএনের সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। শাহবাগ ও টিএসসি মোড়ে প্রস্তুত রাখা হয়েছে পুলিশের সাঁজোয়া যান। ইউনিফর্মের পাশাপাশি সাদা পোশাকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।

শাহবাগ, মৎস্য ভবন, হাইকোর্টের সামনের এলাকা, দোয়েল চত্বর, টিএসসি থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রতিটি প্রবেশপথে সতর্ক অবস্থা দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের। এ ছাড়া প্রতিটি প্রবেশপথে বসানো হয়েছে আর্চওয়ে। মেটাল ডিটেক্টর ও হাতে তল্লাশির মধ্য দিয়ে সভাস্থলে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে।

অনুষ্ঠানের কারণে রাজধানীর শাহবাগ মোড়, মৎস্য ভবন, দোয়েল চত্বর এলাকায় ব্যারিকেড দিয়ে সব ধরনের যানবাহন প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে ভেতরে সীমিত আকারে যান চলাচল করছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement