পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সাথে বিদেশী শক্তি অবশ্যই জড়িত : মেজর হাফিজ
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৮:৪৯

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সাথে বিদেশী শক্তি, প্রতিবেশী রাষ্ট্র অবশ্যই জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম।
এ সময় তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশের সকল শিক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় শহীদ সেনা দিবস উপলক্ষে ‘পিলখানায় সংঘটিত নির্মম হত্যাকাণ্ডে শাহাদতবরণকারী শহীদ অফিসারদের স্মরণে’ এক বিশেষ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
হাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সাথে বিদেশী শক্তি, প্রতিবেশী রাষ্ট্র অবশ্যই জড়িত। এর সাথে সাথে ব্যর্থতা ও গ্লানি বহন করতে হবে তৎকালীন সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদকে। বাংলাদেশের মিডিয়ায় মাঝেমধ্যে ইরেস্পন্সিবল কথাবার্তা বলে। যেটি আমরা ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারিতে দেখেছি। একজন নারী সাংবাদিক নানা ধরনের কল্পকাহিনী প্রচার করছিলেন বিডিআরের অফিসারদের অপবাদ দিয়ে।’
‘মিডিয়ার উদ্দেশ্যে বলতে চাই, সেনাবাহিনীর আইনে আছে কোথাও যদি একটি বিদ্রোহ সংঘটিত হয় এই বিদ্রোহের কথা যে শুনে এবং দেখে সে যদি সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা না করে এই বিদ্রোহ থামাতে, তাহলে সে-ও এই বিদ্রোহের জন্য অভিযুক্ত হবে। ওইখানে বিডিআরের যারা ছিল তারা যদি বিদ্রোহ থামাতে উদ্যোগ না নিয়ে থাকে তাহলে তারাও অভিযুক্ত। সুতরাং সামরিক বাহিনী ও বিডিআরের আইন সম্পর্কে জেনে-শুনে আপনারা রিপোর্ট করবেন,’ বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘দুঃখ লাগে সাবেক সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদ তার কমরেডদের বাঁচানোর চেষ্টা না করে তিনি অনির্বাচিত একজন প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়ে বসেছিলেন। তাকে কে বলেছিল প্রধানমন্ত্রীর কাছে যেতে। তার তো উচিত ছিল তার কমরেডদের বাঁচানোর জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা। আর যে সকল অফিসাররা পিলখানার গেটের বাইরে সমবেত হয়েছিলেন, নির্দেশের অপেক্ষায় ছিলেন। এই নির্দেশের কোনো প্রয়োজন ছিল না। কেন সেনাবাহিনী সেদিন কোনো ব্যবস্থা নিতে পারল না- এই দুঃখটি নিশ্চয়ই প্রত্যেকটি শহীদ পরিবারের মনে চিরকাল গেঁথে থাকবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা এত বছর ধরে চেষ্টা করেছি এই দিনটিকে যেন শহীদ সেনা দিবস হিসাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। অবশেষে সেই স্বীকৃতি পাওয়া গেছে। সেজন্য আমি বর্তমান সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তবে বাংলাদেশের জন্য সামনে আরো কঠিন সময় অপেক্ষা করছে।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সেনাপ্রধান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, পিলখানায় সংঘটিত বিডিআর হত্যাকাণ্ডের জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের সভাপতি মেজর জেনারেল আ ল ম ফজলুর রহমান, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শাহাদতবরণকারী শহীদ অফিসারদের পরিবারবর্গ ও অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তারা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা