‘শত্রুদের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আঘাত হানা’
- অনলাইন প্রতিবেদক
- ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩:০৮
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘২০০৯ সালের ২৫, ২৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের শত্রুদের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আঘাত হানা এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর যেন বল নষ্ট হয়ে যায়, যেন তারা দুর্বল হয়ে যায়। সে কারণেই এই ঘটনাগুলো ঘটানো হয়েছিল।’
আজ মঙ্গলবার সকালে বনানী সামরিক করবস্থানে শহীদ সেনাদের কবরে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকের এই দিন, একটি কালো দিন। এই দিন বাংলাদেশের শত্রুরা, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শত্রুরা চক্রান্ত করে বিডিআরে অভ্যুত্থানের নাম করে সেনাবাহিনীর চৌকস ৫৭ জন কর্মকর্তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে তছনছ করার অপচেষ্টা করে।
ঘটনার তৎকালীন সময়ের সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, সবচেয়ে দুর্ভাগ্যের বিষয় তখন যারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিলেন হাসিনা নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ, তারা অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনার সাথে যোগাসাজোস করে যথাসময়ে যেন ব্যবস্থা গ্রহণ না করে, তারা এই ঘটনাগুলো করতে দেন। দুই দিন ধরে বিডিআরের পিলখানায় হত্যাযজ্ঞ চলে, এখন পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ সঠিক নিরপেক্ষ তদন্ত হয়নি।’
অন্তর্বর্তী সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার আজকের দিনটিকে শহীদ সেনা দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছেন। এটার পূর্ণাঙ্গ সঠিক নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে মূল ঘটনা যেন উদঘাটন হয় এবং দোষীরা শাস্তি পায়- এমন প্রত্যাশা করেন বিএনপি মহাসচিব। সেই সাথে তিনি বলেন, এ দিনটি জাতির জন্য কলঙ্কজনক ঘটনা।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ১৬ বছর পর আজ আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। দেশে রাজনীতিতে একটা বিশাল পরিবর্তন হয়েছে। আমূল পরিবর্তন হয়েছে। দেশের ছাত্র জনতা ফ্যাসিস্ট শক্তিকে উৎখাত করে আমাদের সুযোগ করে দিয়েছে নতুন বাংলাদেশ নির্মাণ করার।
শহীদদের প্রতি তিনি গভীর শ্রদ্ধা ও পরিবারগুলোর প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন মির্জা ফখরুল।
শহীদদের আত্মত্যাগ যেন বিফলে না যায়, আমরা যেন স্বাধীন-সার্বভৌমত্ব জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারি, এই প্রত্যাশা করেন তিনি। সেই সাথে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা যেন স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব প্রশ্নে কোনো আপস না করি। আজকের এই হোক আমাদের প্রতিজ্ঞা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা