জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ডাকে বৈঠকে বসেছে রাজনৈতিক দলগুলো
- অনলাইন প্রতিবেদক
- ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৫:৩২, আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৫:৫৭
রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে বৈঠকে বসেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন’।
বিকেল ৩টায় বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এই বৈঠক শুরু হয়েছে। এটি কমিশনের প্রথম বৈঠক।
বৈঠকে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এলডিপি, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর), নাগরিক ঐক্য, ইসলামী আন্দোলন, খেলাফত মজলিশ, গণসংহতি আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দরা রয়েছেন।
এই বৈঠকে জাতীয় নাগরিক কমিটিও অংশ নিচ্ছে। কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারির নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল রয়েছেন।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এই বৈঠকে কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সদস্য বিচারপতি এমদাদুল হক এবং দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশন প্রধান ইফতেখারুজ্জামান।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপির প্রতিনিধি দলে রয়েছেন জমির উদ্দিন সরকার, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমেদ ও হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দলে আছেন নায়েবে আমীর সৈয়দ আবদুল্লাহ মো: তাহের, সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল এএইচএম হামিদুর রহমান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদের সদস্য মশিউল আলম।
ইসলামী আন্দোলনের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলে রয়েছেন প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমেদ ও যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান।
খেলাফতে মজলিশের প্রতিনিধি দলে রয়েছেন আমীরে মজলিশ মাওলানা আবদুল বাছিদ আজাদ ও মহাসচিব আহমেদ আবদুল কাদের।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে সাত সদস্যের ‘জাতীয় ঐকমত্য মিশন’ গঠন করা হয়।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণআন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে রাষ্ট্র সংস্কার ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করেন অন্তর্বর্তী সরকার। এসব কমিশনের মধ্যে চারটি কমিশন ১৫ জানুয়ারি প্রাথমিক প্রতিবেদন এবং গত ৮ ফেব্রুয়ারি সংবিধান, বিচার বিভাগ, নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, দুর্নীতি দমন কমিশন জমা দেয়।
এরপর সংবিধান, বিচার বিভাগ, নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, দুর্নীতি দমন কমিশন ও পুলিশ সংস্কারে কমিশনগুলোর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় ৮ ফেব্রুয়ারি।