প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ছিল আয়নাঘর, সব খুঁজে বের করা হবে : প্রেস সচিব
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২০:৪৬
![](https://www.dailynayadiganta.com/resources/img/article/202502/19691941_168.jpg)
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ‘বাংলাদেশে যত আয়নাঘর রয়েছে সব খুঁজে বের করা হবে। এটা ঢাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না, প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ছিল।’
বুধবার দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরো বলেন, ‘গুম কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী এবং নিরাপত্তা বাহিনী যে তদন্ত করছে তার ভিত্তিতে ধারণা করা যায় যে সারাদেশে ৭০০ থেকে ৮০০ আয়নাঘর রয়েছে। এ ধরনের ঘর আরো বের হচ্ছে। তাতে বুঝা যাচ্ছে যে এটি শুধু ঢাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না, প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ছিল। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদনে স্পষ্ট লেখা আছে, গুম ও খুনের সাথে পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরাসরি জড়িত ছিল, তার নির্দেশেই এগুলো হয়েছে।’
এছাড়াও তিনি বলেন, ‘আমরা তিনটি এলাকায় আয়নাঘর পরিদর্শন করি। তার মধ্যে দুটি র্যাবের, আর একটি ডিজিএফআই’র। সেখানে বন্দীদের কিভাবে রাখা হতো, নির্যাতন করা হতো, কিভাবে সময় কাটিয়েছেন, কেউ কেউ সেখানে সাত থেকে আট বছর কাটিয়েছেন, তার বর্ণনা আসলে প্রকাশ করার মতো না। এই পরিদর্শনে এগুলো প্রকাশ পায়। প্রধান উপদেষ্টা প্রতিটি স্পটে গেছেন। সেখানে যারা বন্দী ছিলেন তারা তাদের সাথে হওয়া ঘটনাগুলো প্রধান উপদেষ্টাকে বর্ণনা করেছেন।’
এদিকে আয়নাঘরের আলামত নষ্ট করা হয়েছে কিনা সেটা গুম কমিশন দেখছে। যে মামলাগুলো হচ্ছে সেগুলো আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটররা দেখছেন। প্রত্যেকটি আয়নাঘর এভিডেন্স হিসেবে সিলগালা করা থাকবে। কারণ, আমাদের লিগ্যাল প্রসেসে এগুলো সময় লাগবে। গুম কমিশন বলবে আলামত আদৌ নষ্ট হয়েছে কিনা। কিছু কিছু জায়গা দেখেছি যে প্লাস্টার করা হয়েছে। কিছু জায়গায় রুম ছোট ছিল, দেয়াল ভেঙে বড় দেখানো হয়েছে। এসব বিষয় গুম কমিশন এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল দেখবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
বিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও অপূর্ব জাহাঙ্গীর, সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহমদ।
সূত্র : বাসস
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা