ঐতিহ্যের পতন : আওয়ামী লীগের জন্য সামনে কী অপেক্ষা করছে?
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৪:০৮, আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৪:১১
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একসময়ের সবচেয়ে প্রভাবশালী শক্তি হিসেবে বিবেচিত আওয়ামী লীগ বর্তমানে জনসমর্থনের তীব্র সংকটে পড়েছে। দলটির বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী ও তরুণ সমাজের প্রত্যাখ্যান, বিশেষ করে গত বছরের গণআন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী তরুণদের ক্ষোভ, এর ভবিষ্যৎকে আরো অন্ধকারাচ্ছন্ন করে তুলেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাসভবন ভাঙচুর এই বার্তাই বহন করে যে, আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য ও তাদের শাসননীতি জনগণের একটি বড় অংশের কাছে অগ্রহণযোগ্য হয়ে পড়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি ও দলটির প্রতি জনমনে সঞ্চিত ক্ষোভ কিভাবে আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে, তা এখন সময়ের অপেক্ষা। কাতারভিত্তিক বার্তা সংস্থা আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এমনটাই মন্তব্য করা হয়েছে। নয়া দিগন্তের পাঠকদের জন্য প্রতিবেদনটি অনুবাদ করেছেন, আফরা সাইয়ারা পরমা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় ভারতে নির্বাসিত শেখ হাসিনা অনলাইনে তার সমর্থকদের নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে একটি উত্তপ্ত বক্তৃতা দেন। এর পরপরই জনতা ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে জড়ো হয় এবং তার বাবা ও দেশের স্বাধীনতার নায়ক শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরের বাসভবনের পাশাপাশি বিক্ষোভকারীরা আওয়ামী লীগের নির্বাসিত নেতাদের বাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেয়।
এর আগে, জুলাই-আগস্টে হাসিনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভের সময় ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতেও হামলা চালানো হয়। ছাত্র ও তরুণদের নেতৃত্বে এই বিক্ষোভ বিতর্কিত সরকারী চাকরির কোটা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে শুরু হয়েছিল। কিন্তু হাসিনা সরকারের কঠোর দমন-পীড়নে বিক্ষোভ দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় পুলিশের সাথে সংঘর্ষে কমপক্ষে ৮৩৪ জন নিহত এবং ২০ হাজার আহত হয়।
শেখ মুজিবুর রহমান ও ধানমণ্ডি ৩২-এর তাৎপর্য
১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জাতির মুক্তি সংগ্রামে শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছিল। নতুন জাতির প্রথম রাষ্ট্রপতি এবং পরবর্তীকালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মুজিবুর রহমানের নেতৃত্ব দেশের প্রাথমিক বছরগুলোকে একটি রূপ দেয়। তিনি বিরোধী দলগুলোকে নির্মূল করার জন্য ১৯৭৫ সালের ২৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল) নামে পরিচিত একটি বিতর্কিত একদলীয় রাষ্ট্র ব্যবস্থা চালু করেন। এই ব্যবস্থা রাষ্ট্রকে গণমাধ্যমের ওপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ দেয়। রাষ্ট্র, সরকার ও দলীয় কার্যাবলী একীভূত করে এবং সামরিক কর্মী, পুলিশ, বিচারক ও বেসামরিক কর্মচারীদের দলের সদস্য হতে বাধ্য করে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শেখ মুজিব এবং তার পরিবারের সকল সদস্যকে ঢাকার ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর সড়কে অবস্থিত তার বাসভবনে এক সামরিক অভ্যুত্থানে হত্যা করা হয়।
সেই সময় শেখ হাসিনা ও তার বোন রেহানা জার্মানিতে ছিলেন। পরে তারা ভারতে আশ্রয় নেন এবং ১৯৮১ সালের মে মাসে শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ফিরে আসার আগ পর্যন্ত সেখানেই অবস্থান করেন। ফিরে আসার পর তিনি ১৯৮১ সালের ১০ জুন দেশের স্বাধীনতার স্মারক হিসেবে বাসভবনটিকে জাদুঘরে রূপান্তরিত করার ঘোষণা দেন। ১৯৯৪ সালের ১৪ আগস্ট জাদুঘরটি উদ্বোধন করা হয়। সেই সময়ে সামরিক-সমর্থিত সরকারের ধারাবাহিকতার পর বাংলাদেশে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়।
বেগম খালেদা জিয়ার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সরকারকে পরাজিত করে শেখ হাসিনার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে এই বাড়িটির তাৎপর্য ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শেখ মুজিবকে হত্যার আগ পর্যন্ত এই বাড়িতে তার সাথে অনেক বিশ্বনেতাই দেখা করেছিলেন।
সাম্প্রতিক হামলার সূত্রপাত যেভাবে
বিক্ষোভকারীরা শেখ মুজিবের বাড়ি ও অন্যান্য আওয়ামী লীগ সদস্যদের সম্পত্তিকে বছরের পর বছর ধরে কর্তৃত্ববাদী শাসন, দুর্নীতি এবং দমনের প্রতীক হিসেবে দেখে।
গত বছর হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়ার পর থেকে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িটি ভেঙে ফেলার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারণা জোরদার হয়ে ওঠে।
মঙ্গলবার বিবিসি বাংলায় প্রকাশিত খবরে বলা হয়, বুধবার রাতে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে ভাষণ দেবেন। এরপর গত বছর হাসিনার বিরুদ্ধে প্রচারণার অগ্রভাগে থাকা স্টুডেন্টস অ্যাগেইনস্ট ডিসক্রিমিনেশন আন্দোলনের নেতারা ভারতকে বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধ শুরু করার’ অভিযোগ করেন।
বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ছাত্র সংগঠনের নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ ফেসবুকে এক বার্তায় বলেন, ‘আজ রাতে বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদের আস্তানা থেকে মুক্ত হবে।’
এর প্রতিক্রিয়ায় পুলিশ ধানমণ্ডি ৩২ এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করে।
শেখ হাসিনার পারিবারিক বাসভবনে কী হয়েছিল?
বুধবার সন্ধ্যার দিকে বিক্ষোভকারীরা ঢাকার ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর মোড়ে পুলিশের ব্যারিকেডের সামনে জড়ো হয়। নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য সেনাবাহিনীর একটি দল পুলিশের সাথে কিছুক্ষণের জন্য যোগ দেয় কিন্তু বিক্ষোভকারীদের সাথে সংক্ষিপ্ত বাকবিতণ্ডার পর তারা সেখান থেকে সরে যায়।
আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) শেখ হাসিনা লাইভ বক্তৃতা দেয়ার সময় অন্তর্বর্তী সরকারকে বেআইনিভাবে ক্ষমতা দখলের অভিযোগ এনে প্রতিরোধের আহ্বান জানান।
বিক্ষোভকারীরা, যাদের অনেকেই স্টুডেন্টস অ্যাগেইনস্ট ডিসক্রিমিনেশন আন্দোলনের সাথে যুক্ত, তারা ক্ষোভে ফেটে পড়ে। এ সময় তারা লাঠি, হাতুড়ি ও অন্যান্য সরঞ্জাম নিয়ে বাড়িটিতে হামলা চালায় এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। অন্যরা ভবনটি ভেঙে ফেলার জন্য একটি ক্রেন ও খননকারী যন্ত্রও নিয়ে আসে।
খননকারী যন্ত্রটি ভাঙতে শুরু করার সাথে সাথে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী উল্লাসে ফেটে পড়ে। এ সময় তারা ‘ফ্যাসিবাদী দুর্গটি ভেঙে ফেলো, ভেঙে ফেলো!’, ‘দিল্লি না ঢাকা? ঢাকা, ঢাকা!’ বলে স্লোগান দিচ্ছিলেন।
বিক্ষোভকারীদের একজন সাঈদ আহমেদ বলেন, ‘এই বাড়িটি ফ্যাসিবাদের প্রতীক। ফ্যাসিস্ট হাসিনা নির্বাসিত অবস্থায় আমাদের দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন। আমরা ফ্যাসিবাদের কোনো চিহ্নই অক্ষত রাখব না।’
তবে অনেকের কাছ থেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়াও দেখা গেছে।
ইকবাল নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘নিঃসন্দেহে হাসিনা দোষী, তার কারণে মানুষ কষ্ট পেয়েছে। কিন্তু এই বাড়িটির ঐতিহাসিক তাৎপর্য রয়েছে। আমি মনে করি না এটি সঠিক পদক্ষেপ।’
বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শেখ মুজিবের বাড়িতে হামলা ঠেকাতে পুলিশ কী পদক্ষেপ নিয়েছে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন: "আমরা চেষ্টা করেছি। আমি নিজে গভীর রাত পর্যন্ত সেখানে ছিলাম।"
শেখ মুজিবের বাড়িতে হামলা ঠেকাতে পুলিশ কী পদক্ষেপ নিয়েছে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শেখ মো: সাজ্জাত আলী বৃহস্পতিবার বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করেছি। আমি নিজে গভীর রাত পর্যন্ত সেখানে ছিলাম।’
কোন কোন ভবনে হামলা চালানো হয়েছিল?
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রথম আলোর এক প্রতিবেদন অনুসারে, বুধবার রাত থেকে দেশের অন্তত ১৯টি শহরে একই রকম ঘটনা ঘটেছে।
এর মধ্যে রয়েছে পূর্বাঞ্চলীয় জেলা কুমিল্লা ও মধ্যাঞ্চলীয় জেলা টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগের অফিস ভেঙে ফেলা, খুলনা, নোয়াখালী ও কুষ্টিয়া জেলায় বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নির্বাসিত নেতার বাসভবন এবং সিলেট ও রংপুরের বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে শেখ মুজিবের দেয়ালচিত্র ধ্বংস করা।
সরকার ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের প্রতিক্রিয়া কী?
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে অন্তর্বর্তী সরকার বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ভারতে বসে জুলাইয়ের বিদ্রোহ সম্পর্কে হাসিনার ভাষণ ’জনগণের ক্ষোভের’ জন্য দায়ী।
অন্তর্বর্তী সরকার হাসিনার বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের অপমান ও অস্থিতিশীলতা উস্কে দেয়ার অভিযোগ করেছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. ইউনূসের কার্যালয় থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘তার কথা জুলাইয়ের গণহত্যার ক্ষতে নতুন করে আঘাত করেছে, যার ফলে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে ‘
এতে বলা হয়েছে, ‘সরকার ভারতকে তাদের ভূখণ্ড বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য ব্যবহার করতে না দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।’
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ‘আইন প্রয়োগকারী সংস্থা শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ নিচ্ছে। উস্কানিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাও বিবেচনা করা হবে।’
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অন্তর্বর্তী সরকার আগের রাতের অগ্নিসংযোগের বিরুদ্ধে আরো কঠোর অবস্থান নেয়। একটি নতুন বিবৃতিতে তারা বলেছে যে তারা ভাঙচুর ‘দৃঢ়ভাবে প্রতিহত’ করবে এবং ‘নাগরিকদের জীবন ও সম্পত্তি রক্ষার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত।’
সরকার জোর দিয়ে বলেছে যে জুলাইয়ের হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ীদের বিচারের অগ্রগতি হচ্ছে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দলের নেতা শফিকুর রহমান ফেসবুকের এক বার্তায় শেখ হাসিনাকে বক্তৃতার মাধ্যমে ‘উস্কানি’ দেয়ার জন্য দায়ী করেন।
এদিকে বিএনপির সিনিয়র নেতা হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি যে কিছু লোক আগামী দিনে গণতন্ত্রের পথকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য এই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে থাকতে পারে। বিশেষ করে, আমাদের অবশ্যই তদন্ত করতে হবে যে আমাদের প্রতিবেশী দেশ এর সাথে কোনোভাবে জড়িত কিনা।’
আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ কী?
বাংলাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী রাজনৈতিক শক্তি আওয়ামী লীগ এখন ব্যাপক প্রতিকূলতার সম্মুখীন হচ্ছে।
বিশ্লেষকরা বলেন, শেখ মুজিবের বাসভবন ভাঙচুরের ঘটনা জনগণের একটি অংশের, বিশেষ করে গত বছরের গণ-বিক্ষোভের নেতৃত্বদানকারী ছাত্র ও তরুণদের, দলের ঐতিহ্যের প্রতি তীব্র প্রত্যাখ্যানের ইঙ্গিত দেয়।
জোবান ম্যাগাজিনের বিশ্লেষক ও সম্পাদক রেজাউল করিম রনি বলেন, ‘৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরপরই বাড়িটি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আংশিক ভাঙচুর সত্ত্বেও এটি বেশিভাগ ক্ষেত্রেই অক্ষত ছিল। এখন শেখ হাসিনা বিদ্রোহ অস্বীকার করছেন এবং গণহত্যার জন্য কোনো অনুশোচনা দেখাচ্ছেন না। বরং তার সমর্থকদের উস্কে দিচ্ছেন। তাই জনগণ যা অবশিষ্ট ছিল তা শেষ করে এর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের অনেকেই এ পদক্ষেপের সমালোচনা করছেন। কিন্তু তাদের বোঝা উচিত যে বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ শেখ মুজিবুর রহমানের সময় থেকেই শুরু হয়েছিল এবং হাসিনার সময়ে তা চরমে পৌঁছেছিল। জুলাইয়ের বিদ্রোহের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে যে আওয়ামী লীগের এই গোষ্ঠীগত, পেশী-ভিত্তিক রাজনীতি আর টিকে থাকবে না।
রনি জানান, আওয়ামী লীগের কোনো ভবিষ্যৎ তিনি দেখতে পাচ্ছেন না।
তিনি বলেন, ’তাদের কলঙ্কিত পতনের পর নেতৃত্বের পরিবর্তনও আওয়ামী লীগকে আর জনপ্রিয় করতে পারবে না।’