রাখাইন স্টেট : ঘুমধুমে স্থলবন্দর করার চিন্তা করছে সরকার
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২:১০
![](https://www.dailynayadiganta.com/resources/img/article/202502/19690438_148.jpg)
নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, মিয়ানমারের পরিস্থিতি যাই হোক পার্শ্ববর্তী রাখাইন স্টেটের কথা মাথায় রেখে টেকনাফের ঘুমধুমে স্থলবন্দর করার চিন্তা করছে সরকার।
তিনি বলেন, টেকনাফ স্থলবন্দরকে নৌবন্দরে পরিণত করা যায় কিনা তাও ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম বন্দরের কার ও কাস্টমস অকসান শেড পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে সকালে নিলামযোগ্য বিভিন্ন দামী গাড়ি ও পণ্যসামগ্রী দেখতে চট্টগ্রাম বন্দরের কার শেড ও কাস্টমস অকসান শেড পরিদর্শনে আসেন নৌ পরিবহন উপদেষ্টা।
এ সময় তিনি দ্রুত নিলামযোগ্য পণ্য ও গাড়ি সরিয়ে বন্দরের জায়গা খালি করার নির্দেশ দেন।
পরে বন্দর অভ্যন্তরে বিভিন্ন জেটি পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমে নৌ উপদেষ্টা বলেন, মিয়ানমারে যাই হোক সীমান্তবর্তী রাখাইন স্টেটের সাথে সম্পর্ক রাখতে হবে। রাখাইনের কথা বিবেচনায় নিয়ে টেকনাফের ঘুমধুমে স্থলবন্দরের চিন্তা করছে সরকার। পাশাপাশি টেকনাফ স্থলবন্দরকে নৌবন্দরে পরিণত করার বিষয়ও ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বন্দরের জায়গা থেকে পণ্য সরাতে কাস্টমসের অগ্রগতি ভালো উল্লেখ করে নৌ উপদেষ্টা বলেন, কিছু আইনি পরিবর্তন আনতে হচ্ছে। কারণ, আইনি জটিলতায় দীর্ঘ দিন পড়ে থাকা পণ্য নিলামে তুলতে প্রতিবন্ধকতায় পড়ছে কাস্টমস।
উপদেষ্টা আরো বলেন, বেশকিছু স্থলবন্দর চিহ্নিত করা হয়েছে, যেগুলোর আয় নেই। এগুলো বন্ধ করা যায় কিনা তা নিয়েও ভাবা হচ্ছে।
এদিকে উপদেষ্টা পরিদর্শনকালে বন্দরের নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল ও পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল বেসরকারিকরণের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ করেছে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলসহ বন্দর শ্রমিকদের একাংশ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নৌ পরিবহন উপদেষ্টা বলেন, দেশের ক্ষতি হবে এ রকম কোনো চুক্তি বন্দর করবে না।
সূত্র : ইউএনবি
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা