বিভাজিত হওয়ায় আমাদের শিক্ষা বিশ্বমানের হয়নি : মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ৩০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪:১৯
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেছেন, ‘আমাদের দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর আবেগ-অনুভূতি, তাহজীব-তামুদ্দন, বোধ-বিশ্বাস অনুযায়ী আমাদের জাতীয় শিক্ষাকে ঢেলে সাজাতে হবে। দেশের বেশিভাগ তথা ৯০ ভাগ মানুষই ধর্মবিশ্বাসে মুসলিম। তাই আমাদের দেশের শিক্ষাকে ইসলামী আদর্শ ও আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটানোর কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা দ্বিধারায় বিভাজিত হওয়ায় স্বাধীনতার দীর্ঘ সময় পরেও শিক্ষাকে বৈশ্বিক মানে উন্নীত করা সম্ভব হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘ক্ষমতাসীনরা শুধু নিজেদের স্বার্থেই শিক্ষাকে যুগোপযোগী করে সংস্কার করেনি। তাই দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থেই আমাদেরকে সে অশুভ বৃত্ত থেকে বেড়িয়ে এসে বিশ্বমান বজায় রেখে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে। তাহলেই আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা একবিংশ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সমর্থ হবে।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর মধুবাগ মাঠে রমনা আইডিয়াল দাখিল মাদরাসার বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ড. মাওলানা হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে ও কালচারাল শিক্ষক সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগরী উত্তর জামায়াতের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক মু. আতাউর রহমান সরকার, হাতিরঝিল পূর্ব থানা সেক্রেটারি খন্দকার রুহুল আমীন ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম।
এ সময় অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন মাদরাসার শিফট ইনচার্জ জামাল উদ্দিন ও মাওলানা সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
সেলিম উদ্দিন বলেন, ‘ক্ষমতা কেন্দ্রিক অপরাজনীতিই আমাদের জাতীয় জীবনের সকল ক্ষেত্রেই নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। জনগণের কাছে ভোট নিয়ে ক্ষমতায় এসে ক্ষমতাসীনরা টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, দখলবাজী, ঘুষ-দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে শুধুই নিজেদের আখের গুছিয়েছে। শিক্ষাসহ রাষ্ট্রের কোনো সেক্টরেই কার্যকর কোনো সংস্কার করা হয়নি। ফলে স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা ও পদ্ধতি সে সনাতনী এবং নেতিবাচক বৃত্তেই রয়ে গেছে। জামায়াতে ইসলামী দেশে এমন এক শিক্ষা পদ্ধতি চালু করতে চায় যে ব্যবস্থায় শিশু শ্রেণি থেকে সর্বোচ্চ শ্রেণি পর্যন্ত কোরআন, হাদিস ও নৈতিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করে সুনাগরিক তৈরিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। অন্য ধর্মাবলম্বীদের জন্যও নিজ নিজ ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হবে। একজন যেমন শিক্ষার্থী ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত হবেন, ঠিক তেমনিভাবে তিনি আধুনিক শিক্ষায়ও যুগপৎভাবে শিক্ষিত হয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে আত্মনিয়োগ করবেন।’
তিনি শিক্ষার গুণগত পরিবর্তনে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ সমাজের সচেতন মানুষের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। বিজ্ঞপ্তি