৩০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬ মাঘ ১৪৩১, ২৯ রজব ১৪৪৬
`

‘শবে মেরাজ থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশকে কোরআনের আলোকে সাজাতে হবে’

বাংলাদেশ নেজাম ইসলাম পার্টি আয়োজিত পবিত্র শবে মেরাজের আলোচনা সভা - ছবি : নয়া দিগন্ত

শবে মেরাজ থেকে শিক্ষা নিয়ে বাংলাদেশকে কোরআনের আলোকে সাজাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দীন।

মঙ্গলবার বিকেলে মাওলানা আব্দুল লতিফ নেজামী (রহ.) মিলনায়তনে বাংলাদেশ নেজাম ইসলাম পার্টি আয়োজিত পবিত্র শবে মেরাজের আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এরশাদুর রহমানের সভাপতিত্বে ‘ইসলামী রাষ্ট্র গঠনে মেরাজের তাৎপর্য ও শিক্ষা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান মেহমান হিসেবে আলোচনা করেন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা আবু ইয়াহইয়া জাকারিয়া আল হুসাইনী।

অনুষ্ঠানে প্রধান মেহমান বলেন, পবিত্র মেরাজ থেকে জাতি শিক্ষা নিয়ে বাংলাদেশে কোরআনের সংবিধান প্রতিষ্ঠায় কাজ করবে। দেশে কুরআনের শাসন প্রতিষ্ঠা হলে মুসলমানরা দুনিয়া ও আখিরাতে লাভবান হবে। অন্য ধর্মাবলম্বীর মানুষরাও শান্তিতে বসবাস করবে।

অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দীন বলেন, মক্কায় চরম প্রতিকূলতা ও প্রতিবন্ধকতার যাঁতাকলে নিষ্পিষ্ট মুষ্টিমেয় ঈমানদার লোকদের মদিনায় হিজরতের মাধ্যমে আল্লাহ দীন নবী মুহাম্মদ সা:-এর নেতৃত্বে বিজয়ী হওয়াই ছিল কুদরতের ফায়সালা। সেই বিজয়ের আগে যে ঘটনাটি ছিল একান্তই প্রয়োজনীয় ও অপরিহার্য, সেটিই সংঘটিত হলো হিজরতের এক বছর আগে, যা মেরাজুন্নবী হিসেবে পরিচিত।

তিনি বলেন, শেষ নবী মুহাম্মদ সা: শুধু নবী নন, নবীদের ও নেতা সাইয়্যদুল মুরসালীন। তাই তার রেসালাতের বিশেষ মর্যাদা আল্লাহ প্রদত্ত সনদ প্রাপ্তির এটাই ছিল তার প্রতি মহান আল্লাহ বিশেষ উপহার। বর্তমান অনুকুল পরিবেশে শবে মেরাজ থেকে শিক্ষা নিয়ে বাংলাদেশকে কোরআন দিয়ে সাজাতে হবে। এখনো অনেক রাজনৈতিক দলের নেতারা ইসলামকে কটাক্ষ করে কথা বলে। ফ্যাসিস্ট হাসিনা ইসলাম ও মুসলমানদের কটাক্ষ করে অহংকারী হয়ে উঠেছিল। দাম্ভিকতার শেষ পরিণতি কী হয় সেটা মনে রাখা দরকার। ইনশাআল্লাহ, আগামী দিনে বাংলাদেশের জনগণ কোরআনের পক্ষে ভোট দিয়ে বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে মাথা উচু করবে।

আলোচনা সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেত্রীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


আরো সংবাদ



premium cement