২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫ মাঘ ১৪৩১, ২৮ রজব ১৪৪৬
`

শিশুরা আগামী দিনে দেশ ও জাতির কর্ণধার : নূরুল ইসলাম বুলবুল

জুরাইন এলাকায় জামায়াতে ইসলামীর পরিচালিত পাঁচটি বস্তিভিত্তিক স্কুলের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে শীতবস্ত্র উপহার ও বই উৎসব - ছবি : সংগৃহীত

আজকের শিশুরা আগামী দিনে দেশ ও জাতির কর্ণধার উল্লেখ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির মো: নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেছেন, ‘এই শিশুদের আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার বিপদগামীর পথে ঠেলে দিয়েছে। পথশিশুদের হাতে বই-কলম তুলে না দিয়ে তাদেরকে দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতারা মাদক বিক্রি ও সেবন করিয়েছে।’

তিনি বলেছেন, ‘জামায়াতে ইসলামী পথশিশুদের জন্য ঢাকা শহরে বস্তিভিত্তিক স্কুল প্রতিষ্ঠা করে তাদেরকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করার কাজ করছে।’

সোমবার (২৭ জানুয়ারী) সকালে রাজধানীর জুরাইন এলাকায় জামায়াতে ইসলামীর পরিচালিত পাঁচটি বস্তিভিত্তিক স্কুলের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে শীতবস্ত্র উপহার ও বই উৎসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মো: নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ‘কোনো জনপদের শিশুদের অবহেলা করা যাবে না। মনে রাখতে হবে, কয়লা পুড়িয়ে সোনা তৈরি হয়। তাই সকল ধর্ম বর্ণ, জাতি-গোষ্ঠীর শিশুদের সমান অধিকার দিয়ে আগামী দিনে দেশ ও জাতির কর্ণধার হিসেবে তাদেরকে তৈরি করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘সরকার আন্তরিক হলে মানুষের সকল অধিকার প্রতিষ্ঠা সম্ভব।’

ইবতেদায়ি শিক্ষকদের ওপর হামলার নিন্দা ও ঘটনার সাথে জড়িত পুলিশ সদস্যদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে ইবতেদায়ি শিক্ষকগণ রাষ্ট্র কর্তৃক বৈষম্যের শিকার।’

ইবতেদায়ি শিক্ষকদের কম বেতন দেয়া হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সরকারের কাছে প্রশ্ন, এই টাকায় একটি পরিবার নয়, একজন ব্যক্তি চলতে পারে কিনা বিবেচনা করুন। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা যত সুযোগ- সুবিধা পায়, ইবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষকদের একই সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করুন।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির আব্দুস সবুর ফকির বলেন, ‘বিগত বছরগুলোতে জামায়াতে ইসলামীকে উন্মুক্ত পরিবেশে সমাজ সেবা করতে দেয়া হয়নি। তবুও জামায়াতে ইসলামী সমাজ সেবা থেকে এক দিনের জন্যও বিরত ছিল না। কেন আমাদেরকে মানুষের কাছে আসতে দেয়া হয়নি, কেন আমরা সমাজ সেবা করতে গিয়ে হামলা-মামলা আর জেল-জুলুমের শিকার হতে হয়েছে? তার একমাত্র কারণ জামায়াতে ইসলামী সমাজের মানুষের কাছে যেতে পারলে আলোকিত সমাজ ও আলোকিত মানুষ গড়ে তুলবে। আর আলোকিত সমাজ ও আলোকিত মানুষ তৈরি হলে আওয়ামী লীগ এদেশের মানুষকে শোষণ করতে পারবে না, ভারতের আধিপত্য বিস্তারের সুযোগ থাকবে না। জামায়াতে ইসলামীর স্লোগান হচ্ছে, আল্লাহর আইন চাই, সৎ লোকের শাসন চাই। আমরা বাংলাদেশে আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠার জন্য সৎ ও দক্ষ নেতৃত্ব সৃষ্টির কাজ করছি। জনগণ জামায়াতে ইসলামীকে রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ দিলে, আমরা ইসলামী সমাজ ব্যবস্থার মাধ্যমে সমাজ থেকে সকল বৈষম্য দূর করে একটি কল্যাণ ও মানবিক রাষ্ট্র গঠন করতে প্রস্তুত।’

ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদের সদস্য শাহীন আহমেদ খানের পরিচালনায় শীতবস্ত্র উপহার প্রদান ও বই উৎসব অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন শ্যামপুর-কদমতলী জোন পরিচালক জয়নাল আবেদীন, কদমতলী দক্ষিণ থানা আমির ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমান, শ্যামপুর-যাত্রাবাড়ী থানা আমির মাওলানা জাকির হোসেন প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি


আরো সংবাদ



premium cement