দিল্লিতে বসে ফোঁস ফোঁস করছে আওয়ামী লীগ : উপদেষ্টা মাহফুজ
- অনলাইন প্রতিবেদক
- ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮:৪২, আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ২০:০৬
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মাহফুজ আলম বলেছেন, ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা একটি রাষ্ট্র গঠনের সুযোগ পেয়েছিলাম কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি, আমাদের মধ্যে ঐক্যের ঘাটতি রয়ে গেছে। আমরা এখনো বুঝতে পারিনি, আওয়ামী লীগ শুধু রাজনৈতিকভাবে পরাজয় বরণ করে তারা শেষ হয়ে যায়নি বরং দিল্লির কোলে আশ্রয় নিয়ে তারা ফোঁস ফোঁস করছে।
আজ শনিবার লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ সরকারি কলেজে মাঠে এক গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিনিধিত্ব করছি, কোনোরকম রাজনৈতিক পক্ষপাত করতে চাই না। বরং রাজনৈতিক কর্মসূচিগুলো রাজনৈতিক দলগুলো রাজনৈতিকভাবে করবেন। বাংলাদেশপন্থী কারো সাথে আমাদের কোনো বিরোধ নেই। কিন্তু দিল্লির তাবেদারি করার কোনো প্রচেষ্টা হলে বিরোধ হবেই, হবে।
মাহফুজ আলম বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে লক্ষ্মীপুরে যারা শহীদ হয়েছেন আমরা তাদের পাবো না। কিন্তু তাদের যে স্পিড, চেতনা, তা আমাদের রক্তের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হবে। আমরা তাদেরই উত্তরসূরী। তারা যে স্বপ্ন-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে জীবন দিয়েছেন সেই ধারণা থেকে আমাদের পথচলা।
তিনি স্পষ্ট করে বলেন, আমি বলতে চাই এটা আমাদের প্রজন্মের লড়াই। এটা আমাদের ফ্যাসিবাদী বিরোধী শক্তির ও রাজনীতির স্বাবলম্বী হয়ে ওঠার লড়াই। কোনোভাবে যদি আবার আওয়ামী লীগ ভারতের কোল থেকে আমাদের দিকে চোখ রাঙ্গায় আমরা কি বসে থাকবো? তখন উপস্থিত জনগণ বলে না না না। আমরা বসে থাকবো না আমরা শহীদদের শাহাদাতের পথ ধরে রক্ত দিব।
তিনি বলেন, আমরা শুধু ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগের শাসনব্যবস্থা উৎখাত করে সন্তুষ্ট নই। আওয়ামী লীগের যতদূর আছে রাষ্ট্রীয় সেক্টরে সমাজে সংস্কৃতিতে প্রত্যেককেই আমরা বিচার করব। তাদের বিচার করেই আমাদের শহীদের যে আকাঙ্ক্ষা আছে সেদিকে আমরা এগোবো।
বিচারের সাথে সাথে আমরা সংস্কারের কথা বলছি এমনটি জানিয়ে তিনি বলেন, সংস্কার কমিশন থেকে যেগুলো রিপোর্ট এসেছে রাজনৈতিক ঐক্যমন্ত্রীর ভিত্তিতে যে সংস্কারগুলো না করলেই নয় নির্বাচনের পূর্বে সে সকল সংস্কার করতে চাই। সংস্কার শুধু মুখের বুলি নয়। যেসব প্রতিষ্ঠানগুলো আপনাকে টিকিয়ে রেখেছিল সেই প্রতিষ্ঠানগুলো একই রকম রেখে আমরা নির্বাচনে যেতে পারি না। যেসব প্রতিষ্ঠানে হাসিনার দালালরা আছে তাদের বিচার করেই আমাদেরকে নির্বাচনের দিকে এগোতে হবে।
বাংলাদেশে সেনা শাসন আসার কোনো প্রেক্ষিত নেই এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমরা ৩ আগস্টেই বলেছিলাম, ওয়ান ইলেভেন চাই না। ওয়ান ইলেভেন নিয়ে মিছেই ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। এ সময় তিনি দেশের সকল রাজনৈতিক দলকে আহ্বান জানান, আসুন বাংলাদেশ পন্থার ভেতর দিয়ে আমরা যারা ফ্যাসিবাদ বিরোধী শক্তি আছি, ঐক্যবদ্ধ হই, সরকারকে সহযোগিতা করি সংস্কার করার জন্য। প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কার হলেই উপকৃত হবে দেশের মানুষ।
‘আওয়ামী ফ্যাসিবাদ, যারা এদেশের আলেমবিরোধী, প্রতিষ্ঠানবিরোধী, নারীবিরোধী তাদের কাউকে নির্বাচনের অংশগ্রহণ করতে দেয়া হবে না হবে না হবে না’।
তিনি বলেন, আমি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিনিধিত্ব করছি, কোনোরকম রাজনৈতিক পক্ষপাত করতে চাই না। বরং রাজনৈতিক কর্মসূচিগুলো রাজনৈতিক দলগুলো রাজনৈতিকভাবে করবেন। বাংলাদেশপন্থী কারো সাথে আমাদের কোনো বিরোধ নেই। কিন্তু দিল্লির তাবেদারি করার কোনো প্রচেষ্টা হলে বিরোধ হবেই, হবে।
তিনি আরো বলেন, ‘এবার আমরা কারো মদদে, কোনো রাষ্ট্রের মদদে হাসিনাকে উৎখাত করিনি। আমরা ছাত্র-জনতা রক্ত দিয়ে হাসিনাকে উৎখাত করেছি। আর কারো তাবেদারি করার আমাদের কোনো দরকার নেই। আমরা শেখ হাসিনার তাবেদারি করার প্রক্রিয়াকে নস্যাৎ করে এ স্বাধীনতা এনেছি। আমরা আর কারো কাছে মাথা নত করব না’।