জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠিত করতে না পারলে গণঅভ্যুত্থানের সুফল স্থায়ী হবে না : খেলাফত মজলিস
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮:২৭
জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠিত করতে না পারলে গণঅভ্যুত্থানের সুফল স্থায়ী হবে না মন্তব্য করে খেলাফত মজলিসের নেতারা বলেছেন, প্রকাশ্যে বিভেদ ও কাদা ছোঁড়াছুড়ি বন্ধ করে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের পক্ষে এবং ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য সুসংহত করা সময়ের অপরিহার্য দাবি।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বেলা ৩টায় খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত নির্বাহী বৈঠকে এসব কথা বলেন তারা। সভায় সভাপতিত্ব করেন দলটির আমির মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ।
দলের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সভায় নেতৃবৃন্দ উদ্বেগের সাথে বলেন, ‘দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের পক্ষে এবং ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ন্যূনতম জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠিত করতে না পারলে গণঅভ্যুত্থানের সুফল স্থায়ী হবে না। দেশ আবারো গভীর খাদের কিনারায় পৌঁছাবে, যেখান থেকে উত্তরণ অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে।’
নেতারা আরো বলেন, ‘আমাদের ভুলে গেলে চলবে না পতিত ফ্যাসিস্ট সরকার ও তাদের বিদেশী প্রভুর ইন্ধনে বিগত মাসগুলোতে দেশে সাম্প্রদায়িক উস্কানি, পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্থিতিশীলতা, বিভিন্ন অন্যায্য দাবি-দাওয়া নিয়ে রাজধানীতে অরাজকতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করা হয়েছিল। গণঅভ্যুত্থানের পক্ষে ঐক্য অটুট রাখতে মতাদর্শের ঊর্ধ্বে উঠে রাজনৈতিক দলসমূহের মধ্যে আন্তদলীয় সংলাপ অব্যাহত থাকা দরকার। প্রকাশ্যে বিভেদ ও কাদা ছোঁড়াছুড়ি বন্ধ করে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের পক্ষে এবং ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য সুসংহত করা সময়ের অপরিহার্য দাবি।’
‘আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, নিজেদের সীমাবদ্ধতাগুলো উত্তরণে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করুন। দ্রুত সময়ে প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে ২০২৫ এর মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করুন। আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাসকে সংবিধানের অন্যতম মূলনীতি হিসেবে প্রতিস্থাপন করে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল ও কুরআন-সুন্নাহবিরোধী কোন আইন না করার নিশ্চয়তাসহ সংবিধানের প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করুন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পোশাকী পরিবর্তনের চেয়েও সেবা এবং নৈতিক মানগত উন্নতি নিশ্চিত করুন। প্রশাসনে ঘাপটি মেরে থাকা ফ্যাসিস্ট অপশক্তির দোসরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। টাকার অবমূল্যায়ন কমিয়ে দ্রব্যমূল্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনুন। পাচারকৃত অর্থ দ্রুত সময়ের মধ্যে ফেরত আনার ব্যবস্থা করুন।’
দলের মহাসচিব ড: আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত নির্বাহী বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমির মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, অধ্যাপক সিরাজুল হক, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, এ বি এম সিরাজুল মামুন, ড: মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক আবদুল জলিল, ডা: এ এ তাওসিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান, অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান চৌধুরী, অধ্যাপক এ এস এম খুরশিদ আলম, মাস্টার আবদুল মজিদ, অধ্যাপক আহমদ আসলাম, প্রশিক্ষণ ও প্রকাশনা সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, অর্থ সম্পাদক আলহাজ্ব আবু সালেহীন, প্রচার ও তথ্য সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক এ কে এম মাহবুব আলম, যুববিষয়ক সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, মাওলানা আফতাব উদ্দিন আহমদ, সাহাব উদ্দিন আহমদ খন্দকার, ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজুর রহমান, মুফতি আবদুল হক আমিনী, জিল্লুর রহমান, জহিরুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা ফয়জুল ইসলাম, ডা: বোরহান উদ্দিন সিদ্দিকী, অ্যাডভোকেট শায়খুল ইসলাম, আমিনুর রহমান ফিরোজ, অধ্যাপক মাওলানা আজিজুল হক, আলহাজ্ব নুর হোসেন, মাওলানা মুশাহিদ আলী, মাওলানা আহমদ বিলাল, মাওলানা সাইফুদ্দিন আহমদ খন্দকার, মাওলানা মাহবুবুর রহমান হানিফ, সাখাওয়াত হোসেন মোহন, সিরাজুল হক, অধ্যক্ষ আবদুল হান্নান, মাওলানা নেহাল আহমদ, হাফেজ আবু সালমান, আবুল হোসেন, প্রিন্সিপাল মাওলানা আজিজুল হক প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি