মুজিব গণতন্ত্র হত্যাকারী আর জিয়া প্রতিষ্ঠাকারী : দুদু
- অনলাইন প্রতিবেদক
- ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬:২১
মুজিব আর জিয়া এক জিনিস নয় মন্তব্য করে বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ‘মুজিব গণতন্ত্র হত্যা করেছে আর জিয়া গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছে।’
‘জিয়াবাদ ও মুজিববাদ আর চাই না’ জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘আমি বলবো, ভাই আপনাকে কে দেখতে বলেছে? কে ঠিকাদারি দিয়েছে আপনাকে? মুজিব আর জিয়া এক জিনিস নয়। মুজিব গণতন্ত্র হত্যা করেছে আর জিয়া গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছে। মুজিব মুক্তিযুদ্ধের সময় পালিয়ে গেছেন, আর জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছেন এবং যুদ্ধ করেছেন। মুজিব বাংলাদেশের দুর্ভিক্ষ এনেছে, আর শহীদ জিয়া বাংলাদেশ থেকে দুর্ভিক্ষ দূর করেছেন। শহীদ জিয়া আর মুজিবের মধ্যে যে পার্থক্য বুঝে না, সে নাকি আবার রাজনৈতিক দল গঠন করবে! এটা দুঃখজনক। মানুষ জানে, শহীদ জিয়া, বেগম জিয়া এবং তারেক রহমান কি আর ফ্যাসিবাদ কি।’
আজ শুক্রবার দুপুরে ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটিতে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ধানের শীষ ঐক্য মঞ্চ (ঘাটাইল) দোয়া মাহফিলটির আয়োজন করে।
দুদু বলেন, ‘বাংলাদেশে যে সাম্প্রতিক অবস্থা, সেই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে অনেক কথা বলতে ইচ্ছে করে। গত ১৭ বছর ধরে এদেশে যে সীমাহীন লুটপাট, এত লুটপাট পৃথিবীর আর কোথাও হয়নি। রাষ্ট্রের দু’একটি ব্যাংক নয়, ঘোষণা দিয়ে ১০ থেকে ১২টি ব্যাংক খালি করে দিয়েছে। এমনকি কেন্দ্রীয় ব্যাংকে একটি পরিবারের সদস্যরা শুধু লুট-ই নয়, টাকা পাচার থেকে শুরু করে সবকিছু করেছে। এই পরিবার বুঝিয়েছে চুরি করা-ই তাদের কাজ। ডাকাতি করা-ই তাদের কাজ। একটা দেশে যারা রাজনৈতিক বলে দাবি করে, সেই পরিবারের শেখ মুজিবের ছেলে শেখ কামাল ব্যাংক ডাকাত হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘বিরোধী মতকে দমনের জন্য শেখ মুজিব রক্ষী বাহিনী বানিয়েছেন। তিনি ৪০ থেকে ৪৫ হাজার মানুষকে খুন, গুম, নিখোঁজ করেছেন। সিরাজ সিকদারের মতো ব্যক্তিকে শেখ মুজিব শুধু হত্যা-ই করেননি, জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে দম্ভের সাথে বলেছেন- ‘কোথায় আজ সিরাজ সিকদার?’
ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি বলেন, ‘শেখ মুজিবের কন্যা শেখ হাসিনা দম্ভ করে বলতেন, মুজিব কন্যা কখনো পালায় না। এখন কিভাবে পালালেন সেটা সবাই দেখেছে। বিশ্বে এমন নজির নেই। তার বোন শেখ রেহানা এবং তার তিন সন্তান সবাই চোর।’
দেশের চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি আরো বলেন, ‘এখন নির্বাচন নিয়ে নানান কথা হচ্ছে। গণতন্ত্র ফিরে না এলে অর্থাৎ ফ্যাসিবাদকে পরাজিত করার পরে জাতি গণতন্ত্রে ফিরবে, এটাতো বাস্তবসম্মত। গণতন্ত্রে ফেরার জন্য একমাত্র পথ হলো নির্বাচন। নির্বাচনের মধ্যে জাতিকে যদি না নিয়ে যাওয়া হয়, তাহলে গণতন্ত্র ফিরে আসার দ্বিতীয় কোনো পথ আছে বলে মনে হয় না। যারা গণতন্ত্রে ফিরতে চান, তারা গণতন্ত্রের কথা বলছেন। আর যারা নির্বাচনকে বিরোধিতা করতে চান, তারা গণতন্ত্রের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।’