বিএনপি সবসময় মানুষের কল্যাণে সংস্কার করেছে : সেলিমা রহমান
- অনলাইন প্রতিবেদক
- ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪:৫৬
দেশের প্রতিটি ক্লান্তিকালে বিএনপি হাল ধরেছে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেছেন, ‘আজকে বিএনপির ৩১ দফা সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে বুঝাতে হবে। বিএনপি সবসময় মানুষের কল্যাণে সংস্কার করে গেছে। একটা কথা মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশে যতগুলো ক্লান্তিলগ্ন এসেছে, বিএনপি প্রতিটি সময় হাল ধরেছে।’
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের (বীর উত্তম) ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সেলিমা রহমান বলেন, ‘আজকে জুলাই-আগস্টে আমাদের যে আন্দোলন হয়েছে, বুকের রক্ত দিয়ে যারা এদেশকে মুক্ত করেছে তাদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা এবং অভিনন্দন রয়েছে। কিন্তু সেইসাথে মনে রাখতে হবে, তাদের বুকের রক্ত কিন্তু এখনো শুকায়নি। রাজপথ এখনো তাদের রক্তে লাল হয়ে আছে। কিন্তু শেখ হাসিনাকে নিয়ে ভারত সরকার এই দেশে আন্তর্জাতিক চক্র হিসেবে নানারকম মিথ্যা প্রপাগাণ্ডা ছড়িয়ে দেশকে নানাভাবে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।’
তিনি বলেন, ‘আজকে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি ৫ আগস্ট। স্বৈরাচারের পতনের মধ্য দিয়ে আমরা কথা বলার স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছি। আমরা মুক্তভাবে নিশ্বাস নিতে পারছি। এটা কিন্তু দীর্ঘ আন্দোলনের ফল ছিল। বিগত ১৫ বছর বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল নির্যাতিত, গুম-খুনের শিকার হয়েছে। আমাদের নেতাকর্মীরা ঘরে ঘুমাতে পারত না।’
বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ‘আজকে শহীদ জিয়াউর রহমানের নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। একটা দানবীয় সরকার দুইটা প্রজন্মকে জিয়াউর রহমানের নাম জানতে দেয়নি। এত বঙ্গবন্ধু বঙ্গবন্ধু করেছে কিন্তু, তার মেয়ে (শেখ হাসিনা) শেখ মুজিবের নাম একবারে তলানিতে নিয়ে গেছে।’
সেলিমা রহমান বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শিশুদের জন্য শিশু একাডেমি করেছেন। শিশু পার্ক করেছেন। এমন কিছু নেই, যা তিনি শিশুদের জন্য করেননি। নারী ক্ষমতায়নের সবচেয়ে বড় সংস্কারক ছিলেন জিয়াউর রহমান।’
তিনি আরা বলেন, ‘আজকে শিশু পার্ক নেই। শিশু একাডেমি নেই। আজকে প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা অন্যের কালচার নিয়ে কাজ করেছি। একটি দানবীয় সরকার শুধুমাত্র তার নিজের ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখার জন্য পার্শ্ববর্তী দেশের হাত ধরে দেশের মানুষের ভোটের অধিকার, মৌলিক অধিকারসহ সবকিছু কেড়ে নিয়েছে।’