২১ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭ মাঘ ১৪৩১, ২০ রজব ১৪৪৬
`

সংস্কার প্রশ্নে ৩১ দফার দিকে তাকান, অন্তর্বর্তী সরকারকে দুদু

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পরিষদের এক আলোচনা সভায় শামসুজ্জামান দুদু - ছবি : নয়া দিগন্ত

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ‘দেশের সংস্কার করতে বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলো যে ৩১ দফা দিয়েছে তার দিকে তাকান। তাহলে অতি সহজেই সংস্কার করতে পারবেন।’

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পরিষদের নবম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘৭২ থেকে ৭৫-এর সময়ে দেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল, খুন-খারাবি, রাহাজানি হয়েছিল। ৭৫-এর পটপরিবর্তনের পরে স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান প্রমাণ করেছিলেন জিনিসপত্রের দাম কিভাবে কমাতে হয়। দুর্ভিক্ষ এড়িয়ে বিদেশে চাল রফতানি কিভাবে করতে হয়, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কৃষকদেরকে তা দেখিয়েছিলেন। খাল খননের মধ্য দিয়ে আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি কৃষকের হাতে তুলে দিয়ে কৃষকের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাদামাটির মধ্যে কাজ করে কৃষকদেরকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন তিনি।’

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের বর্তমানে যে সংস্কারের প্রশ্ন উঠছে দেশের এই সংস্কার করতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাসনকালের দিকে তাকান, তাহলে দেখবেন কিভাবে সংস্কার করতে হয়। তারপরেও যদি বুঝতে সমস্যা হয় তাহলে বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল যারা সংস্কারের জন্য ৩১ দফা দিয়েছে সেটার দিকে তাকান। তাহলে দেখবেন কত সহজেই সংস্কার করতে পারবেন।’

তিনি বলেন, ‘দেশে একটি সরকার আছে, অন্তর্বর্তী সরকার। বিএনপিসহ যারা শেখ হাসিনাবিরোধী আন্দোলন করেছে তাদের পছন্দের সরকার। এই সরকারের সাফল্য ও ব্যর্থতা আমাদেরকে বহন করতে হবে। অর্থাৎ আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোকে বহন করতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘মানুষের যে প্রত্যাশার জন্য পরিবর্তন হয়েছে, জিনিসপত্র দাম কমবে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো হবে, মানুষ স্বস্তির সাথে বসবাস করতে পারবে, একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণ তার পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে পারবে। এখন যে পরিস্থিতি হয়েছে যার কারণে অনেক জিজ্ঞাসা তৈরি হয়েছে। জিজ্ঞাসা হচ্ছে যারা নির্বাচনের কথা বলছে তাদেরকে গণতন্ত্রের শত্রু হিসেবে আখ্যায়িত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কেউ কেউ বলার চেষ্টা করছে, শুধু নির্বাচন ও একটি দলকে ক্ষমতায় আনার জন্য এই পরিবর্তন হয়নি।’

ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ‘গণতন্ত্রে উত্তরণের জন্য প্রধান সিঁড়ি হচ্ছে নির্বাচন। কারণ শেখ হাসিনা নির্বাচনকে শুধু বাধাই দেয়নি, নির্বাচন নিয়ে তামাশা করেছে। এখন আমরা সেই নির্বাচনকে সরাসরি বিরোধিতা করছি এটা দুঃখজনক। এই জায়গা থেকে আমাদেরকে সরতে হবে। কারণ নির্বাচন গণতন্ত্র উত্তরণের জন্য প্রধান সিঁড়িই শুধু নয়, দেশে গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করতে নির্বাচন ছাড়া বিকল্প অন্য কোনো পথ নেই।’

তিনি বলেন, ‘এই সরকার কোনো রাজনৈতিক দলের সরকার না। সকল রাজনৈতিক দলের সমর্থনের সরকার। তাহলে সকল রাজনৈতিক দলের সেন্টিমেন্ট তাদেরকে বুঝতে হবে। সকল রাজনৈতিক দলের সেন্টিমেন্ট বুঝতে হলে গণতন্ত্রের পথে যাত্রা করতে হবে। আর গণতন্ত্রের পথে যাত্রা করতে হলে নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।’

কৃষকদলের সাবেক এই আহ্বায়ক বলেন, ‘ডক্টর ইউনূসসহ যারা এই সরকারে আছে তারা আমাদের জাতির একটি গৌরবের জায়গায় ছিল। এ সরকার শিক্ষিত ও মার্জিত ভালো সরকার। এ সরকার ব্যর্থ হোক- এটা বিএনপি চায় না। এই সরকারের মধ্য দিয়ে যেন একটি ভালো সরকার, ভালো ব্যবস্থাপনা, ভালো একটি লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতে পারি।’


আরো সংবাদ



premium cement
সুইজারল্যান্ডে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা তথ্য উপদেষ্টার সাথে অনলাইন এডিটরস অ্যালায়েন্সের মতবিনিময় দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন হচ্ছে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে বিপিএলে ব্যর্থ বাংলাদেশের ব্যাটাররা ফিলিস্তিনি সাবেক এমপির বর্ণনায় ইসরাইলি কারাগারের অমানবিক পরিস্থিতি দুই গ্রামের ব্যাপক সংঘর্ষে রণক্ষেত্র কোম্পানিগঞ্জ রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭১ শিক্ষার্থীকে স্থায়ীভাবে বহিস্কারে আল্টিমেটাম জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে তালা ঝুলিয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ পিলখানা হত্যাকাণ্ড : ১৭৮ বিডিআর জোয়ানের কারামুক্তিতে বাধা নেই পিএসএলে দল না পেয়ে হতাশ নন তাসকিন তাড়াশে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় উত্তেজনা

সকল