বিএনপির সাবেক এমপি হাফিজ ইব্রাহিমের বক্তব্যের প্রতিবাদ জামায়াতের
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯:১২
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ভোলা-২ আসনের সাবেক এমপি হাফিজ ইব্রাহিম ‘জামায়াতে ইসলামী স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল, তারা স্বাধীনতা যুদ্ধে এ দেশে মা বোনদের খুন ও সম্ভ্রমহানির সাথে জড়িত ছিল’ মর্মে গত ১৮ জানুয়ারি যে বক্তব্য দিয়েছেন তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, হাফিজ ইব্রাহিম যে ভিত্তিহীন ও মিথ্যা বক্তব্য দিয়েছেন আমি তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তার এ বক্তব্যের মধ্যে সত্যের লেশমাত্রও নেই। তার বক্তব্যের জবাবে আমি স্পষ্ট ভাষায় জানাতে চাই যে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন তা তার নিজস্ব ও মনগড়া। তিনি জামায়াতে ইসলামী ও এই দলের নেতাদের বিরুদ্ধে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা এ দেশের কোনো আদালতে আজ পর্যন্ত প্রমাণিত হয়নি।’
মতিউর রহমান আকন্দ আরো বলেন, ১৯৭৯ সালের পর থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ১৯৮৮ সালের মার্চের, ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারির একতরফা পাতানো নির্বাচন ছাড়া বাকি সকল জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াত অংশগ্রহণ করেছিল এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আসনে জয়লাভ করেছিল। জামায়াতের নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্যগণ জাতীয় সংসদে গিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী ১৮টি আসনে জয় লাভ করে বিএনপিকে সরকার গঠনে নিঃশর্ত সমর্থন দিয়ে ক্ষমতায় বসিয়েছিল। তার পরে বিএনপির সাথে জোটবদ্ধভাবে ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াত অংশগ্রহণ করে ১৭টি আসনে জয় লাভ করে বিএনপির সাথে সরকার গঠন করে। সেই সরকারে জামায়াতে ইসলামীর দু’জন মন্ত্রী ছিলেন। জামায়াতে ইসলামী দেশ, দেশের জনগণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। বিএনপি নেতা হাফিজ ইব্রাহিম জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে তিনি নিজের এবং নিজ দলের ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্ণ করেছেন।’
‘নিজের মর্যাদার কথা চিন্তা করেই জামায়াতের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন ও মিথ্যা বক্তব্য প্রদান করা থেকে বিরত থাকার জন্য আমি বিএনপি নেতা আলহাজ হাফিজ ইব্রাহিমের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি,’ বলেন অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা