১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪ মাঘ ১৪৩১, ১৭ রজব ১৪৪৬
`

একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নতুন প্রজন্মকে প্রস্তুত হতে হবে : ড. রেজাউল করিম

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলা কমিউনিটি সেন্টারে মোহাম্মদপুর পশ্চিম থানা জামায়াত আয়োজিত ইসলামী ছাত্রশিবিরের সদ্য বিদায়ী ও সাবেক সাথী সদস্যদের নিয়ে প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দিচ্ছেন ড. রেজাউল করিম। - ছবি : নয়া দিগন্ত

আজকের তরুণরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাই তারুণ্য নির্ভর ন্যায়-ইনসাফভিত্তিক সুখী-সমৃদ্ধ নতুন বাংলাদেশ গড়তে যুব সমাজকে ময়দানে অকুতোভয় সৈনিকের ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলা কমিউনিটি সেন্টারে মোহাম্মদপুর পশ্চিম থানা জামায়াত আয়োজিত ইসলামী ছাত্রশিবিরের সদ্য বিদায়ী ও সাবেক সাথী সদস্যদের নিয়ে প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

থানা আমির মুহাম্মদ মাসুদুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি রবিউল ইসলাম রুবেলের পরিচালনায় প্রীতি সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াসিন আরাফাত। উপস্থিত ছিলেন জোনের টিম সদস্য প্রিন্সিপাল সিরাজুল ইসলাম, থানা শূরা ও কর্মপরিষদ সদস্য নূরে আলম সিদ্দিকী, রুহুল আমিন, আশরাফুল আলম, আবুল কালাম আজাদ, সাইফুর রহমান, তাইয়্যেবুর রহমান, মুফতি মারুফ বিল্লাহ ও আলী আহমেদ মজুমদার প্রমুখ।

ড. রেজাউল করিম বলেন, ছাত্র আন্দোলনই ইসলামী আন্দোলনের বীজতলা। মূলত, ছাত্র আন্দোলনকেই মূল আন্দোলনের ‘পাওয়ার হাউস’ বলা হয়ে থাকে। বীজতলা যত সমৃদ্ধ ও উর্বর হবে উৎপাদনও ততই গতিশীল ও সমৃদ্ধ হবে। তাই ইসলামী আন্দোলনকে মজবুত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করতে হলে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনকেই প্রাণবন্ত ও কার্যকারী করে তুলবে হবে। ইসলামের দাওয়াত প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছানোর জন্য দেশের তরুণ সমাজকেই প্রতিটি মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছতে হবে। মানুষের সমস্যা চিহ্নিত করে তা সমাধানের জন্য সাধ্যমত প্রচেষ্টা চালাতে হবে।

তিনি বলেন, তারুণ্য নির্ভর দাওয়াতি কার্যক্রম সম্প্রসারণ করতে পারলেই আগামী দিনে ইসলামের বিজয় অনিবার্য হয়ে উঠবে।

তিনি আরো বলেন, ইসলামী আন্দোলনে অবসর গ্রহণের কোনো সুযোগ নেই বরং জীবনের শেষদিন পর্যন্ত দ্বীনকে বিজয়ী করার জন্য প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালানো প্রত্যেকের জন্যই অত্যাবশ্যকীয় কর্তব্য। সকল নবী-রাসূলগণকেই আল্লাহ তায়ালা এই দায়িত্ব দিয়ে দুনিয়াতে প্রেরণ করেছিলেন। বিশ্বনবীও (সা.) একই দায়িত্ব নিয়ে এসেছিলেন। তার আসহাবগণও ইকামাতে দ্বীনের মিশন নিয়ে কাজ করে গেছেন। সে ধারাবাহিকতায় তা এখন আমাদের ওপর অত্যাবশ্যকীয় হয়ে গেছে। তাই কারো পক্ষেই এই আন্দোলন থেকে পিছপা হওয়ার সুযোগ নেই বরং জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সকলকে দ্বীনে হক প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে অবিচল ও আপসহীন থাকতে হবে। তিনি দেশকে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে নতুন প্রজন্মকে যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান।


আরো সংবাদ



premium cement
খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের কিছুটা অবনতি ট্রাম্পের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা মুদ্রাস্ফীতি বাড়াতে পারে চকরিয়ায় মসজিদের বাথরুম থেকে মুসল্লির লাশ উদ্ধার মিয়ানমার থেকে আমদানিকৃত ২২ হাজার টন চাল খালাস শুরু লালমনিরহাটে আজহারীর মাহফিল, রেল বিভাগের অতিরিক্ত ১৭ ট্রেন ৫ দিনের নবজাতককে নদীতে ফেলে দিলো স্কুলশিক্ষিকা মা পটপরিবর্তনেই খরচ কমলো ৪৮ শতাংশ গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি একদিন পিছিয়ে কার্যকর ফ্যাসিবাদীদের পলায়নে সহায়তাকারীরা বিমানবন্দরে এখনো বহাল তবিয়তে ট্রাম্পের আমলে অনিশ্চয়তায় এশিয়ান মিত্রজোট বৈষম্যহীন বাংলাদেশ কায়েম না হওয়া পর্যন্ত জামায়াত থামবে না : ডা: শফিকুর রহমান

সকল