সর্বদলীয় বৈঠকে যাচ্ছে না ১২ দলীয় জোট
- বিশেষ সংবাদদাতা
- ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৩১, আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৩৯
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করতে ডাকা আজ বৃহস্পতিবারের সর্বদলীয় বৈঠকে যাচ্ছে না বিএনপির সাথে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা ১২ দলীয় জোট। জোটের তরফ থেকে বিকেল ৪টায় পুরানা পল্টনের জামান টাওয়ারে সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়েছে। একই সময়ে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সর্বদলীয় বৈঠকটি হওয়ার কথা রয়েছে।
জোটের শীর্ষ নেতারা আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাদের বৈঠকে অংশ না নেয়ার কথা জানিয়ে বলেছেন, ‘বৈঠকে না যাওয়ার সুস্পষ্ট এ যৌক্তিক কারণ রয়েছে।’
১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র সৈয়দ এহসানুল হুদা নয়া দিগন্তকে বলেন, ‘আমরা ৪টায় সংবাদ সম্মেলন ডেকেছি। সেখানে জোট নেতারা থাকবেন। সেখানে আমরা বিস্তারিত কথা বলব।’
১২ দলীয় জোট ছাড়া বৈঠকে যাওয়ার বিষয়ে কিছু রাজনৈতিক দল তাদের অবস্থান এখনো পরিষ্কার করেনি।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে রাজনৈতিক দল ও অন্যান্য অংশীজনের সাথে বৃহস্পতিবার সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হয়েছে। যেখানে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসও থাকবেন।
জানা গেছে, জুলাই গণঅভ্যুথানের ঘোষণাপত্রের বিষয়বস্তু নিয়ে বিএনপি ও তাদের আন্দোলনের শরিকদের দ্বিমত রয়েছে।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, সরকারের দেয়া খসড়া ঘোষণাপত্রের বেশ কিছু বিষয়ে দলটি একমত নয়। তাছাড়া বিএনপির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দায়সারাভাবে গত ১৫ বছরের গুম, খুন ও নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে বলে মনে করছে দলটি। এছাড়া ’৭২ সালের সংবিধান বাতিল বা সংশোধনের বিষয়টি উল্লেখ করা আছে খসড়া ঘোষণাপত্রে। দলটির নেতারা মনে করছেন, এর মানে ’৭২ সালের সংবিধান বাতিল করার লক্ষ্য নিয়েই এই ঘোষণাপত্র তৈরি করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে। তিনি বলেন, ‘আমরা সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের কাছ থেকে ঘোষণার খসড়াপত্র পেয়েছি। তিনি আমাদের মতামত জানাতে অনুরোধ করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘বিষয়টি এত বেশি সংবেদনশীল ও গুরুত্বপূর্ণ যে এক দিনের নোটিশে এটা করা সম্ভব নয়। আমরা (দলে) এ বিষয়ে আলোচনা করেছি এবং আরো আলোচনা করব। অন্যান্য দলের সাথে এ বিষয়ে আলোচনা করতে হবে। শুধু তা-ই নয়, সংবিধান বিশেষজ্ঞ যারা আছেন, তাদের সাথেও কথা বলতে হবে। কারণ সংবিধানের ব্যাপারেও বহু কথা আছে, যেগুলো আমাদের দেখতে হবে।’
দলটির নেতারা জানান, মির্জা ফখরুল ইসলামের এই বক্তব্যে বিএনপির অবস্থান উঠে এসেছে। আজকের বৈঠকে বিএনপি গেলেও দলটি সেই কথাই জানিয়ে আসবে।
এর আগে, গত ৩১ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি ঘোষণাপত্র দেয়ার ঘোষণা দিলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়ে ওঠেনি। মূলত বিএনপির বিরোধিতার কারণেই ঘোষণাপত্র দেয়ার ওই কর্মসূচি বাতিল করতে বাধ্য হয় বৈষম্যবিরোধীরা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা