১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০১ মাঘ ১৪৩১, ১৪ রজব ১৪৪৬
`

পুলিশ ক্যাডারে নিয়োগে শারীরিক যোগ্যতা অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ

পুলিশ ক্যাডারে নিয়োগে শারীরিক যোগ্যতা অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ - ছবি : সংগৃহীত

পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগ, বদলি ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে বেশ কিছু সুপারিশ করেছে পুলিশ সংস্কার কমিশন। এতে পুলিশ ক্যাডারে নিয়োগের ক্ষেত্রে আলাদা শারীরিক যোগ্যতা অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দেন পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন।

এতে বলা হয়, ‘বর্তমান প্রচলিত ব্যবস্থাকে গতিশীল ও কাঠামোগত দক্ষতা বাড়াতে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের আওতায় সহকারী পুলিশ সুপারের নিয়োগ ক্ষেত্রে যে ধরনের শারীরিক ও মানসিক যোগ্যতার প্রয়োজন, তা উপেক্ষিত হচ্ছে।

‘এজন্য বর্তমান বিসিএস পরীক্ষায় পুলিশ ক্যাডারে নিয়োগের জন্য আলাদাভাবে শারীরিক যোগ্যতা (উচ্চতা ও ওজন ইত্যাদি পরিমাপ, ফিজিক্যাল এনডিউরেন্স টেস্ট, মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা ইত্যাদি) অন্তর্ভুক্ত করে আবেদনের যোগ্যতা নিরূপণ করা যায়।’

‘এতে আগ্রহী এবং যোগ্য প্রার্থীরা পুলিশ ক্যাডারে আবেদন করার জন্য সহজে বিবেচিত হতে পারবেন। এক্ষেত্রে দ্য বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (ইনফোর্সমেন্ট : পুলিশ) কমপজিশন অ্যান্ড ক্যাডার রুলস, ১৯৮০ সহ সংশ্লিষ্ট বিধি-বিধানের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনয়নের সুপারিশ করা হয়েছে।’

প্রতিবেদনে বলা হয়, সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড (এসএসবি) সভায় বাংলাদেশ পুলিশের এজেন্ডা থাকলে আইজিপিকে বোর্ডে উপস্থিত রাখার সুপারিশ করা হলো। পুলিশ সার্ভিসের পুলিশ সুপার, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পদায়নের জন্য ফিটলিস্ট প্রস্তুত করে নিয়মিত বিরতিতে হালনাগাদ করতে হবে। হালনাগাদকৃত তালিকা থেকে পুলিশ সুপার ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পদায়ন করতে হবে।

এছাড়াও সুপারিশে বলা হয়, বিশেষায়িত পুলিশ যথা (সিআইডি, সাইবার অপরাধ, বায়োমেট্রিক আইডেনটিফিকেশন ফিঙ্গারপ্রিন্ট ইত্যাদি) স্ব-স্ব বিভাগের ভেতরে বা সংশ্লিষ্ট পদে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পদায়ন করতে হবে। কনস্টেবল থেকে এএসআই এবং এএসআই থেকে এসআই পদোন্নতিতে প্রতি বছর পরীক্ষা দেয়া ও পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার রীতি বাতিল করে একবার উত্তীর্ণ হলে তাকে শারীরিক যোগ্যতাসাপেক্ষে পরবর্তী তিন বছরের জন্য পদোন্নতির যোগ্য হিসেবে বিবেচনার সুপারিশ করা হলো।

‘বিভাগীয় পদোন্নতির নীতিমালা সংস্কার করে কনস্টেবল/এসআই নিয়োগ স্তর থেকে একটি ক্যারিয়ার প্ল্যানিং প্রণয়ন করতে হবে। যাতে সদস্যদের মধ্যে পেশাদারিত্ব উন্নয়ন ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য উৎসাহ/উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়।’

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বর্তমানে থানাসহ বিভিন্ন দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে নারী পুলিশের সংখ্যা শতকরা মাত্র ৮ শতাংশ, যা জনসেবা বৃদ্ধিতে নিতান্ত অপ্রতুল। থানাসহ, ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার, সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন এবং অন্যান্য ইউনিট ও অফিসে কাঙ্ক্ষিত নারী পুলিশের সংখ্যা ১৬ হাজার ৮০১ থেকে বাড়িয়ে ২৯ হাজার ২৪৮ করার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। নারী পুলিশের সংখ্যা বাড়াতে বর্তমান অর্গানোগ্রামে পদ সৃষ্টি করতে হবে।
সূত্র : ইউএনবি


আরো সংবাদ



premium cement