১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০১ মাঘ ১৪৩১, ১৪ রজব ১৪৪৬
`
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

ফ্যাসিজমে সবচেয়ে বেশি ইনফেক্টেড বিএনপি-জামায়াত

- ছবি - নয়া দিগন্ত

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বিচার তো রাজনৈতিক সরকার করে, ফাঁসি তো দিয়েছে রাজনৈতিক সরকার। ফ্যাসিজমে সবচেয়ে বেশি ইনফেক্টেড হয়েছি আমরা আর জামায়াতে ইসলামী। আমাদের ওপর তো ফ্যাসিস্টদের নিপীড়ন নির্যাতন বেশি হয়েছে, তাহলে ফ্যাসিস্টের বিচার আমরা করব না, কে করবে? বিচারের প্রক্রিয়া তো শুরু হয়েছে, এখান থেকে সরে যাওয়ায় কোনো উপায় নেই। আবার তড়িঘড়ি করা যাবে না, তাহলে বিচার প্রশ্নবিদ্ধ হবে। একটি প্রক্রিয়ায় চলবে, শেষ করব, এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই।

আজ মঙ্গলবার গুলশান বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছি, জাতীয় সরকারের পূর্বে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের কোনো প্রশ্নই উঠে না। কারণ এখন পুরো জাতির ফোকাসটা জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিকে আর সমস্যা ওইখানে। গত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে তারা ভোট দিতে পারেনি, জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারেনি। তাই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র সুগমের যে পথ সেটি মানুষ করতে চায়। স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিরা তো জাতিকে চালায় না, দেশ চালায় না। আইন প্রণয়ন করে জাতীয় সংসদ, দেশ চালায় জাতীয় সংসদ, গণতন্ত্রের মূল জায়গাটা কিন্তু জাতীয় সংসদ। জাতীয় সংসদ যদি (ফাংশনাল) কার্যকরী হয়, জাতি কার্যকরী হয় আর এটি যদি ইনফেক্টিভ হয়, জাতিও ইনফেক্টিভ হয়।

এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, লোকাল গভর্মেন্ট হলো স্থানীয় সরকার। লোকাল গভর্মেন্ট যদি বাতিল না করা হয়, তবে কিভাবে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে? এমন প্রশ্ন রাখেন তিনি।

আমি অবাক হই, সেই সাথে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন মির্জা ফখরুল, এমন একটা ক্রিটিক্যাল মুভমেন্টে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ছাড়া, অন্য নির্বাচন করার চিন্তাটা আসে কোথা থেকে?

সংবিধান সংস্কার নিয়ে করা প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের কাছ থেকে আমরা একটা খসড়াপত্র পেয়েছি, তিনি আমাদের অনুরোধ করেছেন, মতামত জানাতে। বিষয়টা এত বেশি সংবেদনশীল ও গুরুত্বপূর্ণ! এটা এক দিনের নোটিশে করা সম্ভব নয়। আমরা এ বিষয়ে আলোচনা করেছি, করছি। অন্যন্য দলগুলোর সাথে আলোচনা করতে হবে। শুধু তাই নয়, আইন বিশেষজ্ঞদের সাথে বসতে হবে।

নির্বাচন প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী তাদের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে নির্বাচনের কথা বলছে, আমরা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে নির্বাচনের কথা বলছি। নির্বাচন হওয়ার ব্যাপারে আমাদের মাঝে কোনো দ্বিমত নেই। পার্থক্য তো দেখছি না।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা আগে থেকেই বলে আসছি, ভারতের সাথে আমাদের যে চুক্তিগুলো আছে, জনসম্মুখে প্রকাশ করা উচিত, যদিও বা পার্লামেন্টে করা উচিত ছিল। এমন কোনো চুক্তি গ্রহণযোগ্য হতে পারে না, যেটা বাংলাদেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে যাবে। এটা কোনোমতেই বাংলাদেশের মানুষ মেনে নিবে না। এ ব্যাপারে অন্তর্বতী সরকার একটি স্ট্যান্ড নিয়েছে, যেটি বাংলাদেশের জন্য সম্মানের।


আরো সংবাদ



premium cement