শিক্ষাব্যবস্থাকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করা হয়েছে : মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৫৫
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেছেন, ‘যাদের কথাবার্তা হিংসাত্মক তারাই ফ্যাসীবাদীর উত্তরসূরি। মূলত, বিগত ৫৩ বছর ধরে জাতিকে নানাভাবে বিভক্ত করা হয়েছে। ফলে দেশের কোনো শ্রেণির ও পেশার মানুষ ভালো ছিল না। শিক্ষক সমাজ জাতির জাগ্রত বিবেক ও মানুষ গড়ার কারিগর হলেও তাদের বেতন ভাতা মোটেই সম্মানজনক নয়। দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকেও পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছিল অস্ত্র ও মদসহ নানাবিধ ধ্বংসাত্মক উপকরণ। বাধ্য হয়ে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষার্থীদের বিদেশ পারি দেয়ার মাধ্যমে মেধা পাচার হয়েছে। যারা দেশে ছিলেন তাদের চাকরি নেই। তাই জামায়াত ক্ষমতায় গেলে দেশে অবৈতনিক এমন শিক্ষা ব্যবস্থা কায়েম করবে যাতে আমাদের নতুন প্রজন্ম বিশ্বকে নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে পারে।’
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মিরপুর-১২ হারুন মোল্লা মাঠে পল্লবী থানা উত্তর জামায়াত আয়োজিত এক কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
থানা আমির মাওলানা সাইফুল কাদেরের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি মুহাম্মদ মহিউদ্দীনের সঞ্চালনায় সম্মেলনের উদ্বোধনী ঘোষণা করেন জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের শহীদ শাহরিয়ার আলভীর গর্বিত বাবা আবুল হাসান।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি আব্দুস সালাম ও পল্লবী জোন পরিচালক মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন।
এছাড়াও অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রুপনগর থানা আমির আবু হানিফ, পল্লবী দক্ষিণ থানা আমির আশরাফুল আলম ও পল্লবী মধ্য থানা আমির রইসুল ইসলাম প্রমুখ।
সেলিম উদ্দিন বলেন, ‘দেশের কক্ষচ্যুত রাজনীতিকে কক্ষপথে ফেরানোর দায়িত্ব রাজনীতিকদেরই। মূলত, শ্রেণি বিশেষের দায়িত্বহীনতার কারণে আমাদের জাতীয় জীবনের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। তাই সবার আগে আমাদেরকে পুরাতন ও নেতিবাচক স্বভাবের পরিবর্তন করতে হবে। বক্তব্য দেয়ার ব্যাপারে গ্রহণ করতে হবে অতিমাত্রায় সতর্কতা। হানাহানী ও বিভেদের সৃষ্টি হয় এমন বক্তব্য পরিহার করা দরকার। জাতি বিভক্ত হলে ফ্যাসীবাদ ও আধিপত্যবাদীদের ফিরে আসার পথ সুগম হয়।’
তিনি রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব ও কর্তব্য স্মরণ করে দিয়ে বলেন, ‘প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের উচিত জনগণের কাছে তাদের কর্মসূচি দেশ ও জাতির সামনে তুলে ধরা। এসব বিবেচনায় দেশের মানুষ ভোট দিয়ে যাদেরকে নির্বাচিত করবেন তারাই দেশ শাসন করবেন। অন্যরা তাদেরকে সহযোগিতা করবে।’
তিনি দেশে একটি জনপ্রতিনিধিত্ব সরকার প্রতিষ্ঠায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি