সংবিধান কারো বাপের না : হাসনাত আব্দুল্লাহ
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৩:৫৫
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, সংবিধান কারো বাপের না।
আজ বুধবার দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এই মন্তব্য করেন তিনি।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, ১৯৭২ সালের সংবিধান প্রণয়ন কমিটি পাকিস্তানের সংবিধান বানানোর ম্যান্ডেট নিয়ে ভোট পেয়েছিলেন।
‘বংশগত আর রক্তের বড়াই দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনিদের যে অসম সুবিধা দেয়া হতো, আজকাল সংবিধান কমিটির সদস্যদের সন্তানদের সেরকম অসমভাবে মুজিববাদী সংবিধানের পক্ষে দাঁড়াতে দেখা যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, যে কমিটি এই ৭২'এর সংবিধান করেছে, সে কমিটি পাকিস্তানের সংবিধান বানানোর ম্যান্ডেট নিয়ে তারা ভোট পেয়েছিলেন। না, মানে মনে করাই দিলাম।
গত শনিবার (৪ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্যদের সন্তানেরা জানিয়েছেন, বাহাত্তরের সংবিধানকে ‘ছুড়ে ফেলে দেয়া’ বা ‘কবর দেয়া’র মতো কথা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের কথা মহান মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের শহীদ ও সংবিধান প্রণয়নের সাথে যুক্ত মানুষদের সর্বোপরি দেশের জনসাধারণকে অবজ্ঞা করার শামিল।
বাহাত্তরের সংবিধান নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন তারা।
হাসনাত আব্দুল্লাহর এই বক্তব্যের সাথে সুর মিলিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম। তিনিও একই ভাষায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
এর আগে ৩১ ডিসেম্বরের ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ কর্মসূচি ঘিরে ২৯ ডিসেম্বর একটি সংবাদ সম্মেলন করেছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। রাজধানীর বাংলামোটরের সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ওই সংবাদ সম্মেলনে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছিলেন, ‘আগামী ৩১ ডিসেম্বর নাৎসি বাহিনীর সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগকে অপ্রাসঙ্গিক ঘোষণা ও মুজিববাদী ৭২ এর সংবিধানকে কবর দেয়া হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছিলেন, ‘দেশের মানুষ যারা অভ্যুত্থানের সাথে সম্পৃক্ত ছিল, তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা কী ছিল সেগুলো লিখিতভাবে লিপিবদ্ধ থাকা উচিত। যেই দলিল বিগত সিস্টেমকে রিজেক্ট করবে। বিগত যেই সিস্টেমগুলোকে মানুষ গ্রহণ করেনি সেগুলোই ঘোষণাপত্রে তুলে ধরা হবে।’