ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ঢাবি শিক্ষার্থীদের জুতা নিক্ষেপ কর্মসূচি পালন

নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন ছাত্রলীগের ৭৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ‘হেইট থ্রু’ কর্মসূচি পালন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা। কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের ছবিসম্বলিত একটি ব্যানারে জুতা নিক্ষেপ করার পর পুড়িয়ে দেয় শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (৪ জানুয়ারি) ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘ঢাকা ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস রাইটস ওয়াচ’ নামের একটি প্লাটফর্মের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

এসময় শিক্ষার্থীরা ‘মুজিববাদ মুর্দাবাদ, ইনকিলাব জিন্দাবাদ; আমার সোনার বাংলায়, মুজিববাদের ঠাঁই নাই/স্বৈরাচারের ঠাঁই নাই; হাসিনা/সাদ্দাম/কাদের/শয়নের গালে গালে, জুতা মারো তালে তালে; আমার ভাই কবরে, খুনী কেন বাহিরে’ ইত্যাদি স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা।

কর্মসূচিতে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘গত ১৫ বছর স্বৈরাচার সরকার দেশের মানুষের উপর অমানবিক নিপীড়ন চালিয়েছে। হাজার হাজার নিরপরাধ মানুষকে হত্যা, গুম করেছে। সদ্য নিষিদ্ধ ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের অমানবিক নির্বাচন করেছে। এখনো সেই আমরা সেই ক্ষতচিহ্ন বুকে বয়ে বেড়াচ্ছি। সেজন্য আমরা আজকে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শেখ মুজিব, হাসিনাসহ সকল নেতাদের ছবিতে গণজুতা মারা প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছি। আমরা চাই এই দিনটি ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকুক।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সহ-সমন্বয়ক মোসাদ্দেক আলী ইবনে মুহাম্মদ বলেন, ম্যানার শেখানোর নাম করে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা শিক্ষার্থীদের সাথে ন্যাক্কারজনক কাজ করেছে। হলের সিটের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে রাত-দিন প্রোগাম করিয়েছে। আজকের এই দিনে তারা রাতে বলতো, আগামীকাল ভাইটাল প্রোগ্রাম আছে, কেউ অনুপস্থিত থাকলে তাকে হল থেকে বের করে দেয়া হবে। সন্ত্রাসীরা আমাদের ক্লাস-পরীক্ষার সময়ও ব্যাঘাত ঘটাত। আমাদের দাসপ্রথার মধ্যে ফেলে দিয়েছিল তারা। আমরা সন্ত্রাসীদের ছবিতে জুতা মারার পাশাপাশি, গেস্টরুম, গণরুম, ভাইটাল প্রোগ্রাম, আধিপত্যবাদ, লেজুড়বৃত্তি, ফ্যাসিবাদ, মুজিববাদ আমলের কবর রচনা করেছি। ভবিষতে যারা আমাদের উপর দমনপীড়নের কালচার শুরু করবে তাদের বিরুদ্ধেও লড়বে শিক্ষার্থীরা।’